somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঝরনার গল্প

০৮ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেই ভেঙে যাওয়াই হলো কিন্তু ঝরনার গল্পটা পুরোপুরি শেষ হলো না। সময় অনিশ্চিত গন্তব্যের সাথে অবিশ্বাস এক মিতালি পেতে দেখালো কি করে হারতে হয়? কি করে প্রকাশের মাত্রাটা বোতল বন্ধি করে আক্ষরিক একটি সম্পর্ক বানাতে হয়? একটি ঝরনা উৎপত্তির স্তর থেকে নিম্নমুখি হওয়ার যে রীতি চলে আসছে সভ্যতার লগ্ন ধরে সেখানে আবার তার ফিরে যাওয়ার কথাটা বড্ড বেমানান। বুঝতে পারিনা সত্যের এই হিসাবটুকু। লিখি লিখি করে শেষ সমাপনের আশায় ঝরনার গল্পটা লিখা শেষ হয়না। মনে হয় এই তো শেষ। কিন্তু আবার শুরু হয়ে যায় তার নিজস্ব ধারায়। আমি প্রতিনিয়ই তার গতির তোরে বেসামাল হয়ে যাই। আজ যে টুকু লিখছি হতে পারে সেটা গল্পটার সামান্য কিছু উপমা।
প্রতি সকালে শাওয়ারের নিচে নিজের উলঙ্গ শরীর ভিজানোর সময় একটি মিষ্টি অনুভূতি ছাড়া সারাদিনে আজকাল আর তেমন কোন অনুভূতির থাকে না। একি গন্তব্য, একি ভাবনা, একি মানুষের আশপাশ, মাঝখানে ঝরনাটা নিরবে বয়ে চলে আমাকে স্পর্শ করে। যখন বুঝতে পারি এবার পুরোটা ভিজিয়ে দিবে লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে তখন সবার মতই সহজ সমাধানে বলি চোখে কাটা পড়েছে একটু দেখে দেবে ভাই। তার পর কিছুক্ষন অন্ধ থাকি। প্রাপ্তিতার লোভ থেকে নিজেকে আলোর উৎসের দোড়গোড়ায় নিয়ে যাওয়ার বর্ণময় উদ্দীপনার সন্ধান করি। ব্যথার সময় গুলো হয়ে যায় চারপাশের প্রকৃতি স্পন্দন, পা কাটা ভোর, দাঁড়াতে পারে হাটতে পারে না। অজানা রাত্রি সংসারে থেকে রয় কষ্টের মৃতচ্ছটিকা হয়ে। আর তপ্ত দ্রাহ আমার ঔরসে জালায় চুল্লি। মন পুড়ে পায় সামান্য প্রলেপ জুরি বুটিকার। বেঁচে রয় কয়লা । সত্যি তাকে মৃত্যুর কোলে শোয়াতে আবার শুরু হয় উলুধ্বনি আকাশ কাপায়, বাতায় ঝাপায়, আমি পুনরায় অন্ধ হয়ে যাই।
ঝরনা সংসার এভাবে আফ্রোদিতি সাজে। মাধুকরী ঘ্রান পড়ে তার প্রতিটি কোনায় কোনায়। আমি তার গন্ধটুকুই পাই চলতে থাকি ঝরনার সাথে। কোন সংক্ষপ্তিতা যেখানে হয় না প্রয়োজন। প্রলয়ংকর থাকে কবিতার ধ্বনি (ভালোবাসা আমরণ এক রক্ত রনাঙ্গন।)
আমি অবুঝের মতো ঝরনার চলার গতিতে ঘরবাধী। কিছু লোকজনও ডেকে আনি এখানে বসবাসের জন্য। তারা প্রতিদিনই আমার সাথে থাকে উৎসাহ দেয় উদ্দিপনা দেয় এখানে একটি জনবসতি গড়ে তোলার জন্য। আমি সাহসী থেকে দুঃসাহসি হয়ে উঠি। ভুলে যাই ফেরার কথা। একদিন ঝরনা আমাকে নদী বানিয়ে সুমুদ্রের দিকে ছুটে। নৌকা চলে না এ নদীটায় উপর। চোখ কাটা চলে দৌড়ে দৌড়ে। নদীটা ঠিক বুকের মাপে। কাটা গুলো ঝরনা অথবা অন্ধত্ব। তারপর অনেক কাল কাটে নদীটার বুকে চর জাগে না বরং গভীরতা বাড়ে। উৎসাহ উদ্দিপনার অতিথী পাখিরা এসে কিছুকাল থেকে চলে যায় আপন কুলোয় নদী পড়ে রয় একা জীবনসীমায়।
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×