সমস্যার অন্তরালে যে বুভূক্ষ অজগর তার নিঃশ্বাস ফেলে সময়কে জিইয়ে রাখে। আসমান মিয়া সেই সময় অতিক্রম করতে চায়। প্রতি দিন মাছ ধরার জন্য জালটা পানিতে ফেলে টেনে তুলবার সময় জালের গায়ে ছিদ্রর মাঝে যে ফুটা ফুটা পানি আটকে থেকে চুইয়ে চুইয়ে ঝড়ে পরে সেই রকম অতিক্রম! পারেনা। অতিক্রম ব্যতিক্রম হয়ে তার স্ত্রীর কথায় আটকে যায়। মিনসেটা ইদানিং বড় বার বেড়েছে । কিছু হলেই ভরা মানুষের মাঝে কাপড় উঠিয়ে কবে, খালি তো এই চ্যাটের ক্ষিদা মিটাইয়া তলপেট ফোলাইতে পারো। পেটের ক্ষিদা মিটাইয়া উপরের পেট ফুলাতে পারোনা। আবার জ্ঞানী জ্ঞানী কথা। এই সময় কে নিয়ে যাবে সেই সময়ের কাছে। আসমান মিয়া নিজেরে জ্ঞানী ভাবে না। মিয়া সাব কয় যে লোক পেট আর চ্যাটের চিন্তা ছাড়া অন্য কিছু চিন্তা করে সেই লোকই আতেল। আসমান মিয়া আতেল হতে চায় না। শুধু বউ পোলাপান নিয়া তিন বেলা ভাত খাওনের সময়ের কাছে যেতে চায়। তার এই ভাবনার তলপেটে আপতত কষে একখান লাথি পড়ে। পুকুর পারে দাড়িয়ে গ্রামের নেংটা দূরন্ত ছেলেদের পুটি মাছের মত শিশ্নের লাফা লাফির মজা দেখতে দেখতে তার মেয়ে তাকে মনে করিয়ে দেয় মিয়া সাব তারে দেহা করতে কইছিলো।
মিয়া সাব আজ কাব্য নিয়া ব্যস্ত। ইদানিং তার মন ভালো। মনে নতুন ভাবনা আইছে। তাই মনে করে, কাব্য পরে আর মিটি মিটি হাসে। আমরা সেই ভাবনার অন্তরাল পাইনা। শুধু জানি সমাজে সে জ্ঞানী গুণী মানুষ। তার ভাবনায় এরকম অন্তরাল থাকতেই পারে। ছোট লোক হইয়া সেই অন্তরাল খোজা কিংবা জানতে চাওয়া সমার্থক পাপ। তাই তার হ্যা’র সাথে হ্যা মিলিয়ে আসমান মিয়াকে বলতে শোনা যায় মিয়া সাব আপনি যহন চাইছেন তবে অন্যায় এবং নিষেধ থাকলেও আমি পীড়ন মাছ চাষ করুম। আর ডোবাটাতো কচুরিপানায় ভইরা আছে। কেউ ওর কাছ দিয়া যায় না। আপনি শুধু আমার দিকে একটু নজর রাইখেন। মিয়া সাহেবের নজর আসমান মিয়া মাথা থেকে সরে কোন অদৃশ্য বাতাসে উড়ে তাও বুঝা যায় না। শুধু মুখে হাসির রেসটুকু থেকে অট্টহাসির শব্দ পাওয়া যায়। তোমাকে নিয়া ভাবি বলেই তো এই বুদ্ধিটা বের করছি। তুমি ভালো মাঝি শুধু চাষ করবা আর পাহাড়া দিবা। টাকা পয়সা বিক্রি বাট্টা যা লাগে সব আমার। লাভ আধা আধি ভাগ হইবো। আসমান মিয়ার আবার চকচক ইলিশ মাছের মত সময় স্বপ্নের ঘোর ফিরে পায়। আমার এই স্বপ্ন কে আকাশে উড়াতে পারি, মাটিতে নামাতে পারি, অথবা বৃষ্টিতে ভিজিয়ে বেলুন ফুলাতে পারি। কিছুই না পারলে আসমান মিয়া বড় মেয়ে “ক্ষতু” কে দিতে পারি। ক্ষতু এর দ্বারা ফেরায় এন্ড লাভলি কিনুক। গ্রামের পুলাপান রা একটু তার দিকে চাইয়া দেখুক।
ক্ষতুর মনে ইদানিং তলপেট আর উপরের পেটের ভাবনা বিস্তর। তাই তো সে গ্রামের পুলপানদের শিশ্ন দেখে। একটু বিশ্রি ভাবেই দেখে। অনেকেই আসমান মিয়ারে বলে মাইয়াটার দিকে একটু নজর দাও। দিন দিন কেমন বেড়ারা হয়ে যাইতাছে। আমরা এই সব ভাবিনা। পেটের ভাবনার জোরে এইসব ভাবনার জোর পায় না। বরং আমরা ক্ষতুর মনের ভাবনার হদিস নিয়ে পড়ি। সেটা কতটা কুৎসিত কিংবা কতটা সুশ্রি বোঝা যায় না। বুঝা যায় আইন মোতাবেক তার বিবাহের বয়স হয়েছে। তার একটা বৈধ মানুষের দরকার। যা শিশ্ন দেখার মাঝে গিয়ে আটকে আছে। কেউ ছাড়িয়ে দিলে তা সুন্দর হবে। আমরা আবার ছাড়িয়ে দেওয়ার লোক খুজি। আশাপাশে কাউকেই দেখা যায় না। শুধু মাঝে মধ্যে মিয়া সাহেবের বেটারে এ পথ দিয়ে তার বন্ধু বান্ধব নিয়ে যেতে দেখা যায়। আমরা তার কাছে যেতে পারি না। উনি মিয়ার ব্যাটা মটর সাইকেল নিয়া উড়ে। আমাদের আনাহারি দূর্বল পা দিয়ে দৌড়ে তাকে ছোবার সাহস করি না। আসমান মিয়াও করেনা। তার ভাবনাটা তাই পুকুরের মধ্যেই রয়ে যায়। আসমান মিয়ার সময়ের কাছে যাওয়ার পুকুর। আমরা ফিরে এসে মিয়া সাহেবের ভাবনার অন্তরালের কাছে আবার ধর্ণা দিই। কি জানি খুঁজি? কি খুঁজি কিছুই বুঝতে পারি না। তবে কি মিয়া সাহেবের হাসিটার উৎস খুঁজি। খুঁজতে খুঁজতে পুকুর তৈরী হয়, মাছ তৈরী হয়, মাছ বিক্রিও হয়। আসমান মিয়ার সময়কে কাছে দেখা যায়। আমরা মাঝে মধ্যে সেই সময়ের অংশীদার হই। সময়ের বিড়িতে দুএকটা টানও দিই। সাথে একটু কাশি। আসমান মিয়ার বকাও শুনি। কি মিয়ারা বেটা লোক হইছো বিড়িতে টান দেওয়া শিখ নাই। আমরা টান শেখার চেষ্টায় ফিরে আসি এবং ফিরে যাই। একবার ফিরে এসে আসমান মিয়ারে পীড়ন মাছের সাথে নিজেকে বাঁচানোর যুদ্ধরত অবস্থায় পুকুরে দেখতে পাই। পুকুর থেকে টেনে তুলে তার ক্ষত বিক্ষত শরীরের রক্ত বন্ধের চেষ্টায় দেখতে পাই তার শিশ্নটা গোড়া থেকে একেবারেই নাই। আবার ভাবনায় পড়ি? উৎসের সন্ধান করতে গিয়ে মিয়া সাহেব কে আসামান মিয়ার বাড়িতে ঘন ঘন দেখতে পাই। এর কিছু দিন পর ক্ষতুকে পীড়ন মাছের আহার হিসাবে পুকুরে দেখতে পাওয়া যায় আর আসমান মিয়া বউকে উপরে নিচে দুই প্যাটই ফুলা অবস্থায় কখনও হাঁসতে কখনও কাঁদতে দেখা যায়।
আসমাম মিয়া সারাক্ষণ শুয়ে থেকে মিয়া সাহেবের সাথে পীড়ন মাঝের সাদৃশ্য খুজে পায়। আমরা তার ভাবনার অন্তরাল এর খোঁজ পাই।