বর্তমান প্রজন্মটা হচ্ছে "i hate politics" প্রজন্ম।
৮০% ফেসবুক প্রোফাইলে দেখবেন এই কথাটাই লেখা।
রাজনীতি করা এক কথা, আর রাজনৈতিক সচেতনতা আরেক কথা।
সব নীতির নির্ধারক জন্যই একে সব নীতির রাজা বা "রাজনীতি" বলা হয়।
তাই একটি দেশের সবচে চৌকষ,বুদ্ধিমান ও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষদেরই রাজনীতিতে আসা উচিত কারণ দেশসেবা করার এটাই সবচে বড় প্লাটফর্ম।
আর আমাদের প্রজন্মের অদ্ভুত অজ্ঞতার কারণেই এই ব্যাপারটাই আমুল বদলেছে।
আজ রাজনীতি করে চোর,বাটপার, বুর্জোয়া, আর মূর্খরা।কারণ সুযোগটা আমরাই করে দিচ্ছি।
বলছিনা একটা দেশের সবাইকে রাজনীতিবিদ হতে হবে, কিন্তু দেশের নাগরিক মাত্রই রাজনৈতিক সচেতনতাটা জরুরী।
একটা উক্তি পড়লেই পুরো ব্যাপারটাই মাথায় ঢুকে যাবে আপনার-
" "নিকৃষ্টতম অশিক্ষিত হচ্ছে সে, যে
রাজনৈতিকভাবে অশিক্ষিত। সে শুনতে
চায় না, বলতে চায় না, রাজনৈতিক বিষয়ে
অংশগ্রহণ করে না। সে জানে না জীবনের
মূল্য, ধান-মাছ-আটা-বাসা ভাড়া-জুতা বা
ঔষুধের দাম -- সবকিছু নির্ভর করে
রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর। এই
রাজনৈতিক অশিক্ষিত এতই মূর্খ যে, বুক
ফুলিয়ে গর্ব করে বলে, রাজনীতিকে ঘৃণা
করি! এই নির্বোধ জানে না, তার
রাজনৈতিক অজ্ঞতা থেকে জন্ম নেয়
পতিতা, পরিত্যক্ত সন্তান এবং সবচেয়ে
নিকৃষ্টতম ভণ্ড রাজনীতিবিদ, দুর্নীতিবাজ
এবং দেশি-বিদেশি কর্পোরেট কোম্পানির
ভৃত্য দালাল।" - বেট্রল্ট বেসট
আপনাকে রাজনীতি করতে হবেনা,রাজনীতিকে ভালবাসতে হবেনা, প্রয়োজন নেই ঘৃণা করারও।
শুধু রাজনৈতিক ভাবে সচেতন হোন।
কি? কেন? কিভাবে হচ্ছে? প্রশ্ন করুন,সমালোচনা করুন, প্রশংসা করুন।
শুধু নির্বোধ এর মত সবকিছু এড়িয়ে যাবেন না প্লিজ।
আপনি সচেতন মানে এই না আপনাকে কোন দলীয় দৃষ্টিকোন থেকে সবকিছু বিচার করতে হবে।
একটু গভীরে গিয়ে ভেবে দেখুন আপনি যে এখনো টিকে আছেন এর পিছনে একমাত্র কারণ "রাজনীতি"।