somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইরিটেটিং গুন্ডা আর মতাদর্শের গণতান্ত্রিকতা...

০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি মনে করি, ইরিটেটিং গুণ্ডাদের ব্যাপারে একটা কার্যকর নীতি থাকা উচিত, কোনো মতাদর্শের বিরুদ্ধে নয়। - মাহবুব মোর্শেদ

একটা বাক্য আসলে কতোকিছু পাল্টাইতে পারে...বাক্যের ক্ষমতায় আমি হতবিহ্বল হই...মানুষের মুখ নিঃসৃত বাক্য কি কেবল ধ্বনির সমাবেশ? নাকি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চারও অবকাশ থাকে সেইখানে? কে জানে! মাহবুব মোর্শেদের এই বাক্য আমারে অনেকদিন পর একটা বাক্যের প্রতি মনোনিবেশ করতে বাধ্য করলো।

মাহবুব মোর্শেদ তার পোস্টে কর্তৃপক্ষের নজর কাড়নের লেইগা ও ইরিটেটিং গুন্ডাগো চরিত্র বিশ্লেষণ করলো, তারপর তাগো কর্মপদ্ধতি আর কৌশল নিয়া পড়লো সবশেষে একটা সিদ্ধান্ত টানলো। মাঝে আবার জনপ্রিয় হইয়া উঠনের একটা জার্গনও তৈরী করলো...যার ফলশ্রুতিতে একটা পোস্ট হিট আর কমেন্টে সম্ভবতঃ সামহোয়্যার ইন...ব্লগের রেকর্ড ভাঙা পোস্টে রূপ নিলো।

হয়তো আসলেই একটা ব্লগে আচরনগত কিছু নীতিমালা থাকাটা জরুরী, এইটা করা যাইবো না, ঐটা করলে এই হইবো, সেইটা করলে যেইটা করা হইবো তা হইলো এই। যদ্দূর মনে পড়ে সামহোয়্যার ইন ব্লগে আবার প্রাণের জোয়ার আসছিলো এইরম একটা নীতিমালার পরেই। যদিও কালের ধারাবাহিকতায় এই নীতিমালার যারা নিয়ন্ত্রক, তাগো অদূরদর্শীতা আর কমনসেন্সের ঘাটতির কারনে পরিস্থিতি প্রায়শঃই ঘোলা হয়...মাছ শিকারের পাশাপাশি লাশ লুকানেরও প্রয়াসে থাকে অনেকেই। আমার নিজস্ব একটা দৃষ্টিভঙ্গী আছে, সমাজের অভ্যন্তরস্থ সিস্টেমে যদি কোন ফাক থাকে আর সেই ফাক ব্যবহার কইরা যদি কেউ এমন কিছু করে যেইটা অন্যের জন্য harmful তাইলে ঐ ব্যক্তির পাশাপাশি সিস্টেমেরও দোষ...বিচার হইলে দুইজনারই সমান বিবেচনা করাটাই বাঞ্ছণীয়।

মাহবুব মোর্শেদ প্রায়শঃই ইরিটেটিং গুন্ডা দ্বারা নির্যাতিত হন...নির্যাতনের ধরণগুলি আমি দেখছি অনেকসময়ই...কমেন্টবাজ হিসাবে আমার কুখ্যাতি থাকলেও ব্লগাররা তাগো সাম্প্রতিক ব্লগ দেখেছেন তালিকায় আমার নাম অনেক সময়েই দেখবেন আশা করি। আর সেই কারনেই আমার কাছে মনে হইছে ইরিটেটিং গুন্ডারা তারে কি কারনে নির্যাতন করে তার কারনটাও খতাইয়া দেখনের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না...তার পোস্ট পাঠের পর দেখলাম একটা ব্লগটারে মুক্ত আলোচনার জায়গা হিসাবে সে নীতিমালা প্রনয়নের লেইগা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাইলো। আমার কাছে তার ভূমিকা খানিকটা ঠিক মনে হইলো। আবার প্রশ্নও তৈরী হইলো...সামহোয়্যারের শত্রু-মিত্র খুঁজনের দায়িত্ব নেওনটা নিজের কান্ধে বড় বোঁঝা নেওনের প্রবনতাই মনে হইলো।

তয় গণতান্ত্রিক মানসিকতা কইতে মা.মো. কি বুঝাইলো এইটা আমি বুঝি নাই। জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনের আমলে আওয়ামি বাকশালী ব্যবস্থার বিপরীতে যেই বহুদলীয় ব্যবস্থার নামে রাষ্ট্রবিরোধী মতাদর্শরেও ওপেন কইরা দেওয়া হইছিলো সেই ব্যবস্থা? যদি তা'ই হয় তাইলে কি বিষয়টা এতো সহজে এক পোস্টে কওনের কোন সুযোগ আছে? তারপর সিদ্ধান্ত টানতে দেখলাম ক্ষতবিক্ষত বাংলাদেশের প্রতিবিম্ব সামহোয়্যার ইন ব্লগ। যেইটা এই ব্লগের সাফল্য। কিন্তু পরক্ষণেই এই প্রতিবিম্ব সে দেখতে চায় না বইলা মনে হয়, কারন তার প্রস্তাবনা ব্লগের ইরিটেটিং ভার্চূয়াল গুন্ডাগো বিরুদ্ধে নীতিমালা লাগবো।

আর এর ধারাবাহিকতায় আসে তার বাক্য,

আমি মনে করি, ইরিটেটিং গুণ্ডাদের ব্যাপারে একটা কার্যকর নীতি থাকা উচিত, কোনো মতাদর্শের বিরুদ্ধে নয়।

সে ক্ষতবিক্ষত বাংলাদেশের প্রতিবিম্ব পাল্টাইতে চায় কেবল ইরিটেটিং গুন্ডাগো দূরে সরাইয়া। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী মতাদর্শ নিয়া তার কোন বক্তব্য নাই! তার এই আর্কেটাইপের দায়িত্ব সে গণতন্ত্রের নামে সারা ব্লগবাসীর কান্ধে চাপাইয়া দিতে চাইলো বইলাই আমার মনে হইলো। এই অভিভাবকত্ব তারে কে দিলো তা আমি জানি না, এইরম নেতৃত্বসুলভ মানসিকতায় একরৈখিক একচোখা সিদ্ধান্ত টাননে অনেক জনপ্রিয় হওনের সম্ভাবনা থাকে বইলাই আমার মনে হয়। আর এই জনপ্রিয়তার কারনেই আমার দায়িত্বটাও সে নিয়া নিতে পারে আমার কোনরম উপস্থিতি বাদেই!?

এই ধরনের পোস্ট যদি ইরিটেটিং গুন্ডাগো প্রলুব্ধ করে তার দায় মা.মোরেও কিছুটা হইলেও নিতে হইবো, আমি তাই মনে করি।
২৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×