somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শাসকের কন্সপিরেসী আর একটা কল্পিত(?) ব্লগ সাইটের আচরন

১৮ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাষ্ট্রে কন্সপিরেসী নিয়া একটা সিরিজ শুরু করছিলাম সেইটা আসলে এতোই রিপিটেটিভ মনে হইতে লাগলো যে একসময় মনে হইতে লাগলো এই লেখা অর্থহীন...একই কন্সপিরেসী যখন একটা জায়গায় ধারাবাহিকভাবে প্রয়োগ করা হইতে থাকে, আর তা ফলপ্রসু হইতে থাকে তখন কি সেইটা আর কন্সপিরেসী থাকে? আমার এই প্রশ্ন আমারে নিজের চিন্তার জায়গা থেইকাই খানিকটা সরাইয়া দিলো...মনে হইলো এই জাতিরে যা'ই কই জটিলতাপূর্ণ কইতে পারি না। সরলতার পরাকাষ্ঠা পইরা বাঙালী জাতি তার স্বমহিমায় আছে...আর যেই কারনে শাসকেরা যারা আসলে অন্য জাতীয়তার বা অন্য সংস্কৃতির ছোঁয়া পাইয়া নিজেগো খানিকটা আলাদা কইরা ফেলেন...যারা আর্থ-সামাজিক কারনে নিজেগো শাসক ভাবতে শিখে তারা এই মানবগোষ্ঠীরে ভুংভাং বুঝাইয়া ফেলতে পারে।

শাসকেরা যা করে সেইটাই এই অঞ্চলের সবধরণের ক্ষমতার চর্চ্চাকারী প্রতিষ্ঠানের আচরন হয়। যেই কারনে কন্সপিরেসী তার চরিত্র হারাইতে শুরু করে। কন্সপিরেসী ক্রমশঃ নিয়মের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হইতে শুরু করে। আর তার প্রতিফলন আমরা সরকারী কর্মচারীগো মধ্যে দেখি, কর্পোরেইট ম্যানেজমেন্ট কাঠামোয় দেখি, মহল্লার বড় ভাই টাইপ মাস্তানগো মধ্যে দেখি, ক্লাব-সমিতি-সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন সবধরনের hierarchical গঠন কাঠামো আছে এমন সংগঠনেই এই আচরন দেখা যায়...কোন জায়গা ওপেন শুনলে আমাগো জাতিগত সরলতায় প্রত্যাশা নির্মান করি...আর কিছু দিন গেলে শাসক শ্রেণীর প্রতিষ্ঠিত নিয়মানুগ কন্সপিরেসী দেখি।

ধরা যাক একটা ব্লগ সাইট তৈরী হইলো, নাম দিলাম কোন একখানে ব্লগ...। তারা ঘোষণা দিলো এই জায়গায় সকল কন্ঠস্বর উন্মুক্ত হইবো। সমাজে অবস্থিত সকল স্বর, যার অবমুক্তি হয়না সামাজিক বিভিন্ন stigma-র কারনে...তারেও এই খানে অনায়াস করতে হইবো। তো এই কোন একখানে ব্লগ... কর্তৃপক্ষ কইলো, তারা মনে করে independence war নিয়া যেহেতু জাতিগত উন্মাদনা আছে। এই war-এর বিরুদ্ধে কিছু কইলে যেহেতু সাধারন মানুষ তাগো বুদ্ধি কাঠামোর চাইতে আবেগরে গুরুত্ব দ্যায় বেশি তাই এই আবেগাক্রান্ত ভূমিরে শিক্ষিত করতে হইবো। সমাজে এখনো যেই independence war বিরোধী ছোটখাটো কন্ঠস্বরগুলি রইয়া গেছে তারে বাইর কইরা আনতে হইবো। এইসব স্বরেও আসলে উন্নয়নের ধারা সমাহিত থাকে(!?)

কোন একখানে ব্লগ... কর্তৃপক্ষ আসলে কি কন্সপিরেসীতে আছে মনে হয়? কে জানে? কিন্তু তারা এক্কেরে নিয়মের চেহারা দিয়া বিষয়টারে সামনে আইনা ফেলতে পারে... আর এই নিয়মের চেহারাটা আদৌ কি কন্সপিরেসী ঠেকে? যারা war বিরোধী ছিলো তারা যেই মতাদর্শে লড়ছে সেইটা যদি এই জাতির স্বপ্ন বিরোধী হয় তাইলে সেই স্বপ্নের কি উন্নয়নকামী ভূমিকা থাকে? ওপেন হওয়ার মানে যদি হয় সকল মতরে সুযোগ দেওয়া, তাইলে সেইটা সম্পূর্ণ করাটাই যৌক্তিক। কিন্তু কোন একখানে ব্লগ যদি এখন রাষ্ট্রের আইন মাননের অজুহাতে রাষ্ট্রবিরোধী (!) বিশেষ খবর ছাপনের সম্ভাবনা নাকচ করে, অনুভূতিতে আঘাত করনের নামে কোন পোস্ট মুইছা দেওনের নিয়ম করে তখন আসলে কি ধইরা নিতে হয়? মানুষ আসলে চাইলেও ওপেন হইতে পারে না...এখন কোন একখানে ব্লগের ক্ষেত্রে কওনটা সম্ভব না যে তারা ঐ independence war-এর মাধ্যমে জন্ম নেওয়া দেশরে belong করেনা-তারা কেবল ভাষাভিত্তিক একটা ব্লগ সাইট, কারন তারা ঐ দেশের আইন মাননের ঘোষণা দিতে চায়, ঐ দেশের শ্লীলতার গন্ডী মাইনা চলতে চায়...কারন সেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তারা যাইবো না, সেই ঘোষণা তারা দ্যায়।

তারমানে আসলে তারা এইসব নীতিমালা আর ওপেননেসের ঘোষণা দিয়া যা করতে চায় সেইটা একটা কন্সপিরেসী'র অংশ হইতেই পারে। আর এই কন্সপিরেসী যে নতুন হইবো তাতো না...এই দেশে এই টাইপ কন্সপিরেসী অতীতেও হইছে। মুক্তিযুদ্ধ বেইচা আওয়ামি লীগ ক্ষমতায় গিয়া ভুইলা গেছে যুদ্ধাপরাধীগো বিচার করনের কথা, বিএনপি'তো যুদ্ধাপরাধীগো লগে জোট কইরাও স্বাধীনতার চেতনা নিয়া বাগাড়ম্বর করছে বিশেষ দিবস আইলেই...

এইভাবেই আসলে কন্সপিরেসীগুলি সাংগঠনিক নিয়মে পরিনত হইতেছে এই দেশে, যারা প্রয়োগ করে তারা ঐটারে হয়তো কন্সপিরেসী কইয়া ধরতে পারে, কিন্তু সাধারন মানুষ-যারা শাসকের শোষণরে প্রতিনিয়তঃ উপলব্ধ করে, তারা এইসবরে শোষকের-শাসকের আচরন-স্বভাব বইলাই ধইরা নেয়।

কেবল একটা ক্ষেত্রেই শাসক তার চিরাচরিত আচরনে যায়...যখন এই সব সাধারন মানুষ সর্বতো আন্দোলনে যায়...যখন প্রতিবাদী মানুষ শাসকের মসনদ কাঁপাইয়া দ্যায়...তখন এই সব শাসকেরা, সাংগঠনিক ক্ষমতার শাসকেরা সরাসরি নির্যাতনমূলকতায় যায়। রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে যা হয় জেলবন্দীকরন, মহল্লায় হয় চর থাপ্পর, ক্লাব টাইপ সংগঠনে হয় অপমান আর ব্লগ সাইটে সেইটা হইতে পারে ব্যানমূলক...
১৮টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×