পরের দিন ভয়ে ভয়ে আবার কোচিং এ গেলাম। দোয়া পড়ছি আর ভাবছি, আল্লাহ দেখা যেন না হয়। আমাকে যেন দেখতে না পায়। আজ একা একা বের না হয়ে বান্ধবীদের সাথে বের হলাম। ওদের সাথে কথা বলছি। এদিকে বুকটার ভেতর কে যেন হাতুরি পেটাচ্ছে। আল্লা আল্লা করছি।
সেদিন ভাগ্য ভাল যে আমার সাথে দেখা হল না। রাস্তাতেও ভীড় ছিল না। তাড়াতাড়ি ফিরলাম।
পরের দিন আমার রিক্সা আটকাল। আমি তখন রীতিমত কাঁপছি। ছেলেটার সাথে আরও দু তিন জন। আমাকে বলল, বেশি ঢং কর তাই না? কাল গেটে থাকতে কইছিলাম না। শোন এই কোচিং এর আশেপাশে সবাই আমাকে ভাল করে চেনে। তুমি সুন্দর মানুষ। আমার সাথে আলাপ থাকলে কেউ তোমাকে ডিস্টার্ব করব না। আমি তখন বললাম, আমাকে কেউ ডিস্টার্ব করে না। আমাকে ঝাড়ি মেরে বলে, মুখের উপর বেশি পটর পটর করবা না। যা কই তাই শোনবা। কোচিং শেষে গেটে দাঁড়াইবা, আমার দিকে একবার চাইয়া, টুক করে হাসি দিবা। বুচ্ছ? এখন যাও। ওই রিস্কা টান দে।
আমি রীতিমত ভীমরি খেলাম। বাসায় ফিরে মা কে বললাম কোচিং সেন্টার চেন্জ করব নয়ত বাসায় টিউটর নেব। মা বললেন, কি পাগলের মত কথা বলিস। আর মাত্র দুই সপ্তাহ যেতে হবে। একটু কষ্ট কর মা। এই কোচিঙ থেকে সবাই ভাল রেজাল্ট করে। আমি আর মার সাথে চাপাচাপি করলাম না। এদিকে ব্যাপারটা যে বলব তারও ভরসা পাচ্ছিনা। মা আবার প্রেসারের রুগি। মনে মনে ভাবলাম, আর দু একদিন দেখি, তারপর বাবাকে বলব।
(চলবে ২)
১ এর link
৩ এর link