***
বিয়ে পড়ানোর দিন আমার আপুকে দেখেছিলাম,তিনবার কবুল বলতে যে ও কতবারই চোখের পানি ফেলেছিলো,আশেপাশের কতজনই যে ওকে কতবারই কবুল বলার জন্যে তাড়া
দিচ্ছিলো তার ইয়াত্তা নাই।
সেদিন বুঝেছিলাম, বাচ্চা প্রসবের সময় মেয়েদের যতটুকু শারীরিক কষ্ট হয় বিয়ের দিন কবুল বলতে ঠিক ততটুকুই
মানসিক যন্ত্রনা হয়!
হবেই না কেন,এই তিন কবুলের সাথে সাথেই যে মেয়েটার মন টাকে রিস্টার্ট দিয়ে পুরাতন সম্পর্কগুলি ছিন্ন করে তৈরি করতে হবে নতুন এক জগতের সাথে তাল মিলানোর খেলা।
কিন্তু কোন স্বামী যদি ভাবে কবুল বলার পরপরই মেয়েটির শরীর,মন তার হয়ে গেছে তাহলে মস্তবড় ভুল করবে
সে।কেননা বাহ্যিক শরীরটার উপর আপনি কবুলের অধিকারে শাসন চালাতে পারেন,মনের উপর না।
মন হচ্ছে শিম গাছের লতার মত।
ভালোবাসা,আদর,দুষ্টামি, কল্পরাজ্যে অযথা ঘুরেবেড়ানো, অভিমান ইত্যাদি হচ্ছে মনের বেড়ে উঠার নিয়ামক।
আসলে যে কোন সম্পর্কই দুইটা জিনিসের উপর ভিত্তি করে টিকে
থাকে....এক, একে অপরের উপর যথার্থ অধিকার খাটানো; দুই, দুজন দুজনের মানসিক ব্যাপার,পরিস্থিতি, চাওয়াপাওয়া,পরিবারকে সঠিক মূল্যায়ন করার মাধ্যমে।
মনে রাখবেন,বেশি সন্দেহে যেমন
সম্পর্কটা পাটখড়ির মত যেকোন সময়
ভেঙ্গে যেতে পারে ঠিক তেমনি
অন্ধ বিশ্বাসেও সেই সম্পর্কে পরগাছা
জন্মানোর সমূহ আশঙ্কা থাকে!
তাই,একটু সময় দিন...দেখবেন,কঠিন বা
বিষন্ন মন থেকেও রংধনুর বর্নিলতায়
আপনি আলোকিত হচ্ছেন একদিন।
...
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪