বাংলাদেশের রাজনীতি বর্তমানে একটি অস্থির মুহুর্ত অতিক্রম করছে। যুদ্ধাপরাধ বিচার ইস্যুতে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী রাজপথে আন্দোলন করছে। জামায়াত ইসলামীর আন্দোলন নিয়ে সংবাদ পত্রে নানান ধরনের সংবাদ আসছে। এই ধরনের সংবাদ আমাদের মত সাধারন মানুষ শংকিত না পারি না। কারণ একের পর এক তথ্য এবং তত্ত্ব আমাদের সামনে অনেক প্রশ্নকে হাজির করে। এই বিষয়গুলো একটু আলোকপাত করতে চাই।
বাংলাদেশের সংবিধান এর ৩৭ অনুচ্ছেদে "সমাবেশ এর স্বাধীনতা" প্রদান করা হয়েছে। সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদে "সংগঠনের স্বাধীনতা" প্রদান করা হয়েছে। সংবিধানের ৩৯ অনু্চ্ছেদে "চিন্তা এবং বিবেকের স্বাধীনতা" প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি নাগরিকেরই এই মৌলিক অধিকার সমূহ রয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে জামায়াত ইসলামীকে কেন সংবিধান প্রদত্ত অধিকার সমূহ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে? এখানে মুক্ত চিন্তা এসে অন্ধ চিন্তায় রূপ লাভ করছে কেন?
বাংলাদেশের বৃহৎ মিডিয়া বুদ্ধিজীবী শ্রেনীর অন্ধ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখে অবাক না হয়ে পারা যায় না। যাদের বলা হয় জাতির বিবেক, তারাই একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংবিধান প্রদত্ত অধিকারকে হরন করার প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছেন!
সরকার যখন জামায়াত ইসলামীর সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়ে জনগণের সেবক পুলিশকে দিয়ে পিটিয়ে বিগত চার বছর ধরে চরম মানবাধিকার লংঘন করে যাচ্ছে, তখন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যন পর্যন্ত প্রকাশ্য রাজনৈতিক দলবাজী মগ্ন হয়ে অন্ধ বিদ্বেষ প্রসুত বক্তৃতা বিবৃতি প্রদান করছেন যা সত্যিই বড় অদ্ভূত। আর রাজনৈতিক নেতাদের কথা নাইবা বল্লাম। কারণ তাদের ভাষা কোন সভ্য মানুষের ভাষা নয়।
সরকার যখন পুলিশ দিয়ে হামলা এবং মামলা করেন তখন সেটা আইন সঙ্গত ব্যাপার। আর যখন জামায়াত শিবিরের কর্মীরা মরিয়া হয়ে পাল্টা প্রতিরোধ করছে, তখন সেটা সাম্প্রদায়িক এবং জঙ্গি হামলা! বড় অদ্ভূত বাংলাদেশ!
ছাত্রলীগ যখন প্রকাশ পুলিশের সহযোগী হয়ে বেআইনী আগ্নেআস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষ জামায়াত শিবিরের উপর হামলা করে, তখন আইন লংঘন হয়না। অথচ জামায়াত শিবির যখন লাঠি নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তখন সেটা উগ্রবাদী জামায়াত শিবিরের হামলা!
জীবনান্দ দাস যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে তিনি লিখতেন-
অদ্ভূত আঁধার এক এসেছে এ বাংলাদেশে আজ
যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশী আজ চোখে দেখে তারা....
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৫২