সারাদেশ ব্যাপী আওয়ামী দুঃসাশনের বিরুদ্ধে জামাতের ডাকা হরতাল কর্মসূচীতে কার্যতঃ দেশ অচল হয়ে পড়ে। সীমাহীন দূর্নীতি, ছাত্র লীগের চাঁদাবাজী, গুম-হত্যা, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস জনগন সতঃস্ফূর্তভাবে এই হরতালে সমর্থন জানিয়েছেন। গত চার বছর ধরে জামাত শিবিরের উপর নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার চালিয়েও সরকারের ক্ষোভ মিটছে না। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করছে নিরীহ নেতা-কর্মীদের। কিন্তু এত নির্যাতন হামলা-মামলা কোন কিছুই জামাত শিবিরকে দূর্বর করতে পারেনি। বরং সাংগঠনিকভাবে জামাত-শিবির আরো দক্ষ এবং শক্তিশালী হয়েছে।
হরতাল গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু এই হরতালে ছাত্র লীগ, যুবলীগ সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়ে হত্যা করা হয়েছে দু'জন শিবির কর্মীকে। আহত করা হয়েছে অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মীকে। পুলিশের সঙ্গে প্রকাশ্য অস্র উঁচিয়ে জামাত শিবিরের উপর হামলা করা হলেও পুলিশ ছিল নির্বিকার। নির্বিকার আইন-আদালত, মিডিয়া-সাংবাদিক। সাংবাদিকদের একটি অংশ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পক্ষে অবিরাম মিথ্যা সাফাই গেয়ে যাচ্ছে। এখানে যেন তাদের বিবেক অন্ধ এবং দিকাহারা!
অধিকাংশ পত্রিকা-মিডিয়ার মালিক আওয়ামী সমর্থক গোষ্ঠী হওয়ায়, জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে বিরামহীন বিষাদাগার করতে বিন্দুমাত্র কুন্ঠাবোধ করছে না। বরং আইন আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একের পর এক উস্কানী মূলক রিপোর্ট আর প্রতিবেদন করে দেশকে একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু এখানে মনে রাখতে হবে, জনগনের বৃহৎ অংশ আওয়ামী দুঃসাশনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। তাই এসব রিপোর্ট তাদের মাঝে কোন প্রভাব ফেলবে না। এছাড়া জামাত শিবির এমন একটি সংগঠন, যারা দলীয় নেতা ব্যতীত কারো কথায় প্রভাবিত হয় না।
এতদিন আওয়ামী সরকার চিন্তা করেছিল, ছলে বলে কৌশলে যে কোন উপায় হোক আগামী নির্বাচনে তারা ক্ষমতায় আসবে। কারণ প্রধান বিরোধী দল বি,এন,পি সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে গত চার বছর কার্যতঃ রাজপথে দাঁড়াতে পারেনি। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজপথে জামাত-শিবির কর্মীদের প্রতিবাদ প্রতিরোধ দেখে সরকারের হৃদকম্পন শুরু হয়ে গেছে। বুড়ো স্বরাস্ট্র মন্ত্রী সহ সরকারের এমপি মন্ত্রীরা আবল তাবল প্রলাপ বকতে শুরু করেছেন।
তাই হামলা-মামলা অন্যায় অত্যাচার করে জামাত শিবিরকে দমানো যাবে না। যুদ্ধপারাধ ট্রাইবুনাল নামে যে নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে, তা সভ্যতার ইতিহাসে একটি ঘৃনিত ষড়যন্ত্র হিসাবে লিপিবদ্ধ থাকবে। মনে রাখতে হবে "Offence is the last step of defence"
সরকার যদি জামাত-শিবির নিধনের মত দুঃসাহস করে থাকে, তার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরী হবে দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৩৬