হঠাৎ করেই আওয়ামী বুদ্ধিজীবী জাফর ইকবালের শিশু সুলভ এবং সুরসুরি মূলক লেখা পত্রিকায় প্রকাশিত হলো কেন? বিষয়টা আলোচনার দাবী রাখে। কারণ লেখাটা পড়ে মনে হয়েছে, কোন ছোট শিশু অথবা আওয়ামী লীগের কোন নেতা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশঃবর্তী হয়ে উক্ত লেখার অবতারনা করেছেন। লেখাটার মধ্যেই একটা মদন মদন ভাব আছে। তোমরা যারা শিবির করো।
যাহোক বিষয়টা গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের বিচারপতির সাথে বিদেশী কানেকশন প্রকাশ হওয়ার পর জামাত-শিবির কর্মীরা দারুণভাবে উজ্জিবিত এবং উচ্ছাসিত তখনই জাফর ইকবাল মদন মদন ভাব নিয়ে লেখাটা লিখেছেন, যেন যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল নিয়ে শিবির সমর্থকরা ইন্টারনেট ব্লগে বেশী আলাপ না করে, তার মদন মার্কা লেখা নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত থাকে।
কি ঘটেছে ট্রাইবুনালেঃ
বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপি ও ই-মেইল অ্যাকাউন্টস এবং কম্পিউটার হ্যাকের সূত্র ধরে বেরিয়ে আসছে ট্রাইব্যুনালের সাথে ভারতের কানেকশান।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের সাথে বিদেশে একজনের কথোপকথনের রেকর্ড এবং ই-মেইলের ডকুমেন্ট
চলে গেছে লন্ডনভিত্তিক বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন দি ইকোনমিস্টের কাছে।
বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপি ও ই-মেইল অ্যাকাউন্টস এবং কম্পিউটার হ্যাক করে দি ইকোনমিস্ট এসব তথ্য হস্তগত করেছে বলে ট্রাইব্যুনাল উল্লেখ করেছেন।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক গতকাল নিজেই বিষয়টি ওপেন
কোর্টে প্রকাশ করে একটি আদেশ পাস করেছেন। বিচারপতি নাসিম জানান তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের কাছ থেকে ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালে এবং বিভিন্ন আদেশের সময় সহায়তা নিয়েছেন বিচারপতি নিজামুল হক। সেই জিয়া উদ্দিন
হচ্ছেন BORD OF ADVISORS The Indian Campaign on the International Criminal Court.
আর সেই আহমদ জিয়াউদ্দিন থেকেই সহায়তা নিয়েছেন নিজামুল হক।
কিন্তু সত্য কখনো গোপন থাকেনা। এই সত্য প্রকাশের পর দেখা যাক আগামীতে কি ঘটতে যাচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে?