বাঙালী জাতি কখনো অন্যায়কে মেনে নেয়নি। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অজস্র বাঙালী নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে কুন্ঠাবোধ করেনি। কিন্তু কেন বাঙালীর এই আত্মত্যাগ? স্বৈরাচারী ফ্যাসীবাদী আওয়ামী সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর জন্যই কি বাঙালী যুদ্ধ করেছিল? স্বৈরাচারী পাকিস্তান সরকারের এক নায়ক তন্ত্রের বিরুদ্ধে, অন্যায় অসাম্য আর লুটপাটের বিরুদ্ধে বাঙালী রুখে দাঁড়িয়েছিল কেন? রাজপথে বিরোধী দলকে পিষ্ট করার জন্য? মানবাধিকার গণতন্ত্র আইনের শাসনকে ধর্ষন করার জন্য? কখনওই না.......
দেশের হাজার হাজার কোটি লোটপাট করে কারা? বিগত ৪০ বছর ধরে কারা দেশের সম্পদ লুটেপুটে খাচ্ছে? রক্ষী বাহিনী করে কারা হাজার হাজার যুবককে হত্যা করেছে? আজ গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্রের যে চর্চা চলছে, তাতে এক শ্রেনীর মিডিয়া এবং মাথাবেচা বুদ্ধিজীবী আওয়ামী বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিশ্চিন্হ করার জন্য ফ্যাসীবাদী আওয়ামী সরকারের অপকর্মে বাহবা দিয়ে যাচ্ছে! এই স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর জন্যই কি দেশের মানুষ রক্ত দিয়েছে?
শুধুমাত্র বিরোধী রাজনীতি বিশেষ করে ইসলামী রাজনীতিকে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যার্থ হয়ে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল নামে আইনের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম মিথ্যচারের লাইভ শো এর আয়োজন করেছে।
এই ট্রাইবুনাল আওয়ামী রাজনীতির আদর্শে উদ্বুদ্ধ বিচারক দ্বারা গঠিত। যারা ইতোপূর্বে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতাকর্মী ছিলেন। ইতোমধ্যে এই ট্রাইবুনালের বিচারপতির সাথে বিদেশী সরকারের কানেকশন দেশে বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই ট্রাইবুনাল বিচার চলাকালীন আল্লামা সাঈদীর পক্ষ থেকে যতগুলো আবেদন করেছিল তার প্রায় সবগুলোই খারিজ করে দেয়। এমনকি আদালত থেকে রাতারাতি স্বাক্ষী গায়েব হয়ে গেলেও আদালত কিছুই জানে না। দেলোয়ার শিকদার নামে এক রাজাকারের অপকর্মের দায়ভার আল্লামা সাঈদীর উপর চাপিয়ে সরকার রাতারাতি সত্যকে মিথ্যা মিথ্যাকে সত্যে পরিনত করেছে।
আজকের নিউজে জানা যায়, আল্লামা সাঈদীর ওয়াজের সিডিগুলো বাজার থেকে পুলিশ তুলে নিচ্ছে। কিন্তু ফ্যাসীবাদী সরকারের চিন্তায় এই সত্য জানা নেই যে, আল্লামা সাঈদীর ওয়াজের সিডিগুলো সংরক্ষিত অবস্থায় রাখা হয়েছে, যেন ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে লেবাসধারী স্বৈরাচারী উগ্রবাদী আওয়ামী লীগের আসল চেহারা জনগনের সামনে উন্মোচিত হয়। যেন এক সাঈদী ষড়যন্ত্রের শিকার হলেও, লক্ষ সাঈদী গর্জে উঠে। ভন্ডদের মুখোশ উন্মোচিত হবেই হবে।
প্রকৃতপক্ষে আল্লামা সাঈদীর ক্ষুরধার বক্তৃতার কোন সঠিক জবাব ফ্যাসীবাদী আওয়ামী লীগ কখনোই দিতে পারে না। আর তাই যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল নামে একটি মিথ্যাচারের প্রহসন করছে ফ্যাসীবাদী স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার।
যে আকাংখায় সাহসী মুক্তিযোদ্ধারা ৭১ এ প্রাণপণ যুদ্ধ করেছিলেন, সেই ফ্যাসীবাদী স্বৈরাচারী গোষ্ঠী ক্ষমতায় এসে স্বাধীনতার মাসে মানবাধিকার গণতন্ত্রকে শেকল বন্দি করে রেখে স্বাধীনতা যুদ্ধকে অপমান করছে।
তবে সাহসী যুবকেরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজপথে জেগে উঠেছে। স্বৈরাচারী ফ্যাসীবাদী সরকারের পতন ছাড়া সাহসী যুবকেরা আজ ঘরে ফিরে যাবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০৫