একটি সুবিশাল নৈতিক পরাজয়ের মুখোমুখি বর্তমান ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকার। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের গোমর ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর ছটফট করতে শুরু করেছে সরকারী দল। কত বড় অন্যায় এবং অনৈতিকতার আশ্রয় নিয়ে এই সরকার যুদ্ধাপরাধ বিচারের নামে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে, তা আজ জাতির সামনে পরিষ্কার।
ব্ন্ধ হয়ে গেছে টাকলু কামরুলের হুমকি ধমকি। রাজাকার পরিবারের এই সন্তান গত চার বছর ধরে নানানভাবে জামাত শিবিরকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল। কিন্তু স্কাইপি ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর, নির্লজ্জ বেহায়ার মত আবার বলছে, বিচারপতির এই পদত্যাগ যুদ্ধাপরাধ বিচারে কোন প্রভাব ফেলবে না।
বিচার তো পরে কথা। এই ট্রাইবুনালেরই আইনগত ভিত্তি নষ্ট হয়ে গেছে। আইন অনুযায় এই মামলার স্বাক্ষী শুনানী আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। তাছাড়া পুরো বিচার প্রক্রিয়াই ছিল একটি প্রহসন। জামাত এতদিন এই দাবী করছিল, এই ট্রাইবুনাল একটি প্রহসনমূলক অস্বচ্ছা ট্রাইবুনাল। জামাত আজ আন্তর্জাতিকভাবে এই দাবী প্রতিষ্ঠা করতে স্বক্ষম হয়েছে। স্বাক্ষী থেকে প্রসিকিউটর সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করতো ডঃ আহমেদ জিয়া উদ্দিন এবং সমস্ত ষড়যন্ত্রের মূল হোতা রায়হান, যে ব্যক্তি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির একজন সক্রিয় সদস্য। ফাঁসির রায় দিয়ে বিচারপতি পদন্নিতি চেয়েছিলেন। কি ভয়ংকর ষড়যন্ত্র!
একটি পরিকল্পিত এবং সাজানো ট্রাইবুনালের আসল চেহারা উন্মোচিত হবার পর, আন্দোলনকারী জামাত শিবিরের নেতা-কর্মীরা দারুণভাবে উজ্জিবীত। আগামীতে রাজপথে জামাত-শিবির নেতাকর্মীরা আওয়ামী ষড়যন্ত্র এবং দুঃশাসনের মোকাবেলা করতে আরো কঠিনভাবে প্রস্তুত।
এতদিন মিডিয়া এই সত্য প্রকাশ করতে লুকোচুরি করলেও গতকাল মিডিয়া এই সত্য প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে।
সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে উৎকণ্ঠা
দেশজুড়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা
এই নৈতিক পরাজয়ে সরকারের রাজনৈতিক পরাজয়ের পথকে সুগম করেছে। সরকারের হাতে এখনো সময় আছে। সুষ্ঠুভাবে যুদ্ধাপরাধ বিচার পরিচালনা করার। তাহলে উদ্ভুত সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু সাধারণ জনগন খুব ভালো করে জানে, এই সরকার কখনোই তা করবে না। কারণ যুদ্ধাপরাধ মামলার স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়া শুরু করলে, জামাতের সব নেতাই নির্দোষ হিসাবে প্রমাণিত হবেন। আর তাই সরকারের ষড়যন্ত্র এখানেই থেমে যাবে না।
কিন্তু সরকারকে মনে রাখতে হবে, ষড়যন্ত্র করে অতীত ইতিহাসে কেউই রেহাই পায়নি। ইতিহাস কাউকেই ক্ষমা করেনি। আর যদি ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহন না করেন, তাহলে বিচারের নামে এই তামাশার কঠিন পরিনতির জন্য অপেক্ষা করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৭