somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সমকামীতাঃ পাপ বা অপরাধ নাকি অন্যকিছু (সমকামীতা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা)

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


(ছবিতে একজন খুনিকে দেখা যাচ্ছে। যে খুন করে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হবার পর নিজেকে নির্দোষ দাবী করে জানাই- হত্যাকৃত ব্যাক্তিটি তাকে বিভিন্ন প্রলোভনে উনার বাসায় নিয়ে নেশা করিয়ে-জোর সমকামীতাতে প্ররোচিত করে। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে এবং নিজের সম্মান বাঁছাতে ঐ ব্যাক্তিকে হত্যা করেন। ছবিটি "জুম ইন" করলে জানতে পারবেন- উক্ত ঘটনার বিস্তারীত বিবরন ও খুনের মোটিভ ও খুনির সন্দেহজনক পয়েন্টগুলি আলোচনা করা আছে।)

সমকামীতা সমাজে ছড়ানোর জন্য প্রধানত দায়ী বাইসেক্সুয়ালরা। তারা ঘরে বউ রেখে এলাকার ছোট ছোট ছেলেদের বা অধঃস্তন কর্মচারী বা নিন্ম গোত্রের বা জুনিয়র সহকর্মিদের সাথে জোর করে/খুশি করে/প্রলোবন দেখিয়ে/ ফাঁদে ফেলে অনেকটা বাধ্য করে এই পথে নিয়ে আসে। মুলত বলা যায় সমকামীতা সম্পর্কে সমাজে যে ভুল ধারনা বা নেতিবাচক প্রচারনা তৈরি করে বা আছে তার জন্যও এই বাইসেক্সুয়ালাই প্রধানত দায়ী। কারন অনেক স্ট্রেইট ছেলে কারও সাথে জোর পূর্বক বা ফাঁদে পড়ে বা কাম মোহে ক্ষনিক সময়ের জন্য এই সম্পর্ক করতে বাধ্য হলেও পরবর্তিতে তারা এই লাইফটা এবং ঐ ব্যাক্তিটিকে প্রচন্ড ভাবে ঘৃণা করে। তারা মনে করে এই লাইফটা হলো সমাজে পাপের প্রধান উৎস। এই ক্ষেত্রে ধর্মিয় বিধি নিষেধই প্রধানত ওদেরকে এই পথ থেকে ফিরিয়ে রাখতে বাধ্য করে। এখানে একটা কথা বলা প্রয়োজন যে, যে সব গে' -অনেক গভীর আক্ষেপ/বেদনা/হতাশা আর দুঃখ নিয়ে বলে বেড়ায় এমন পাপের (মহোৎসাহে করে বেড়ায় আবার পাপও মনে করে) পথে তাদের আসার কাহিনি ! তারা হয়তো জানে না বাংলাদেশ সহ ইন্ডিয়া ও সাউথ এশিয়ার এই অনুন্নত সমাজ ব্যবস্থায় শতকরা ৯০-৯৬% ছেলে জীবনের কোন না কোন সময় / কোন না কোন পরিস্তিতে সমকামীতা করে বা করেছে বা করতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, পৃথিবীর শতকরা ৯০% ছেলেই গে'। ইন্ডিয়া বা সাউথ এশিয়ান এই ব্লক সহ পুরো পৃথিবীতে যেখানে সমকামীতা আইনত ও রাষ্ট্রিয় ভাবে বৈধ সেসব দেশ মিলিয়েও পুরো পৃথিবীর সমকামীর সংখ্যা (গে-লেসবিয়ান-বাইসেক্সুয়াল সহ) মোট জন সংখ্যার শতকরা ৪-৭% মাত্র। অর্থাৎ জীবনের কোন না কোন সময় সমকামীতা বা গে' লাইনে ইনভল্ব থাকার পরও বেশির ছেলে কিন্তু পরবর্তিতে এই জীবন থেকে বেরিয়ে আসে এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করে। আর যারা পারে না এটা সম্পুর্ন তাদের মানশিক দৈন্যতা বা অসুস্ততা।

তাই "অমুকে আমাকে এই লাইফে নিয়ে এসেছে/অমুক আমার জীবনটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে/ অমুকের কারনে আজকে আমি এই লাইফে (পাপে) নিমজ্জিত হয়েছি বলে বেড়ায় বা বলে আক্ষেপ করে (এই রকম একটা কাহিনি 'ডাঃ লুৎফর রহমান' তার "যুবক জীবন" বইতে উল্লেখ করে সব বাবা মাকে সাবধান করেছেন (যা বাংলা ভাষায় বা সাহিত্যে প্রথম সমকামীতা সম্পর্কে খোলাখুলি আলোচনা বলে স্বীকৃত) ) তাদেরকে বলব সমকামীতাতে জড়ানো জন্য এবং এই লাইফ ইনজয় করে জড়িত থাকার জন্য মূলত নিজের ইচ্ছা-ই প্রধান। অহেতুক অন্যকে দোষ না দিয়ে নিজে একটু দৃঢচেতা মনোবল এবং একটু সাহষ বা একটু ধর্মিয় অনুশাসন মেনে চলেলই এই পাপ থেকে মুক্ত থাকা যায়।

আমার কথা হলোঃ যারা সমকামী তারা সম্পূর্ন নিজের ইচ্ছাতেই সমকামী। এখানে অহেতুক অন্যের উপর দোষ ছাপিয়ে দিয়ে সমাজে ভীতি সৃষ্টি করার কোন মানে হয় না। যারা সমকামী তাদের নিয়ে অনেক গবেষনা হয়েছে এবং হচ্ছে। এই সুবাদে যানা যায়- সমকামীদের জেনিটিক কোডিং বা সমকামী সিনড্রোম গুলা সমকামীদের শরীরে বংশ পরম্পরায় প্রাকৃতিক ভাবে নিয়ে আসে। একজন সমকামী মুলত তার এই জেনেটিক কোডিং এর কারনে সমকামী হয় যা সে প্রকৃতিগত ভাবে বংশানুক্রমে নিয়ে আসে। আর তাই নিজেকে সমকামী বলে সমাজের দ্ধিতীয় শ্রেনীর প্রানী বা অসুস্থ ব্যাক্তি বা খাপছাড়া তলোয়ার ভেবে মনে কষ্ট না পেয়ে যারা এনজয় করছেন তারাই ভাল আছেন এবং এনজয় করাটাই বেটার।

তারপরও একটা কথা বলার থাকে আমাদের সমাজে সমকামীতাকে যেভাবে ভীতির চোখে দেখা হয় এবং যে সব ভূল ধারনা প্রচলিত তা কিন্তু উন্নত বা ইউরোপ -আমেরিকার সমাজ ব্যবস্থায় নেই যদিও পৃথিবীর প্রচলিত কোন ধর্মেই সমকামীতাকে বৈধতা দেয়া হয়নি ! এটা হবার প্রধান কয়েকটি কারন হলোঃ আমাদের এই সাউথ এশিয়ান ব্লকে অশিক্ষা একটি প্রধান সমস্যা। তারপর আসে ধর্মিয় রক্ষনশীলতা বা ধর্ম মানার ক্ষেত্রে শিখা বা বুঝার চাইতে অন্যের মুখে শুনা কথাকে গুরুত্ব দেয়ার প্রবনতা। তবে যে কারনটি সবচেয়ে বড় সেটা হলোঃ বাইসেক্সুয়ালরা। এই কুলাংগার গুলা ঘরে বউ রেখে, বড় বড় ছেলে মেয়ে রেখেও বুড়া বয়সে পর্যন্ত পিচ্ছি পিচ্ছি ছেলের সাথে আড়ালে আবড়ালে আকাম করে বেড়ায়। সামাজের উচ্চবিত্তরা যেহেতু এই কাজটা বেশি করে তাই অনেক সময় স্ত্রী -ছেলে-মেয়েরা জানলেও কিছু বলতে পারেনা। আর তার কারনে স্ত্রীর মনে সৃষ্টি হয় প্রচন্ড ঘৃণার। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় যেহেতু মায়ের বেশি ভূমিকা তাই মায়ের প্রতি বাবার এই অবহেলা এবং সামজীক দৃষ্টিকটুতার কারনে ঐ ব্যাক্তির ছেলে -মেয়েদের মনেও এই কাজটাকে পাপ বলে ঘৃনা করার মানশিকতা সৃষ্টি হয়। আর পরিবারের এই ঘৃণা আমাদের অশিক্ষিত সমাজ লুফে নেয় স্টার প্লাসের সিরিয়ালের মতো।

মূলত বলার কথা হলোঃ সমকামীতা দোষ বা অসুখ নয়। এটা একটা আখাংকা যা কারও চাপিয়ে দেয়া নয়। এই লাইফে যারা আছে তারা সম্পূর্ন নিজের ইচ্ছাতেই এই শারীর বৃত্তিয় পরিতৃপ্তি উপভোগ করে। তবে ঘরে বউ রেখে যারা এই কাজে জড়ীত তারাই মূলত নিয়ে আসে আমাদের নতুন প্রজন্মকে এই অনাকাঙ্কিত জীবনে। আর তারা এবং হিজড়ারা মিলে সমাজে তৈরী করছে সমকামীতা সম্পর্কে ভূল ধারনা এবং ভীতিকর পরিস্থিতি....????
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×