প্রথমেই আমি দুঃখ প্রকাশ করছি ড. ইউনূস সংক্রান্ত পোষ্টের জন্য, কারন আমি ড. ইউনূস কে কখনই পছন্দ করিনি, করিনা, তবে ভবিষ্যতে যদি তার পথ পরিবর্তন করেন হয়তোবা পছন্দ করতেও পারি। পৃথিবীর সব দেশেই রাজনৈতিক থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল, কিংবা বিরোধীদলের নেতাদের সম্মান করে কথা বলেন বিপক্ষ রাজনৈতিক দল কিংবা তাদের বিরোধীরা, ভিন্ন শুধু আমার প্রিয় বাংলাদেশে! এখানে একজন পাতি নেতা যেমন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চরিত্র হননে ব্যস্ত থাকেন তেমনি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও বিরোধীদলের প্রধানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের চরিত্র হনন করতে প্রতিযোগিতায় নামেন, হায়রে রুচিবোধ! সজিব ওয়াজেদ জয় আমেরিকার মাটিতে যিনি বেশীর ভাগ সময় কাটিয়েছেন, যেখানে অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলকে সম্মানের সাথে কথা বলে, বিজয়ীকে মিষ্টি মুখ করাতে যান হেরে যাওয়া প্রতিপক্ষ, সেখানে থেকে আমাদের প্রিন্স মহোদয় যা শিখে এসেছেন তার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন মনে হয়, দূর্ভাগ্য আ'লীগের যারা নাকি চিন্তা করতে শুরু করেছেন আগামী দিনে আ'লীগের কান্ডারী সজিব ওয়াজেদ জয়!
ছোট একটি গল্প মনে পড়ছে আমার- এক গ্রামে একজন চোর ছিল, যে বেশীর ভাগই মানুষের ভাত চুরি করত এবং যার জালায় মানুষ অতিষ্ট ছিল, সেই চোর খুব অসুস্থ হলে সে তার ৬ ছেলেকে ডেকে বলল, বাবারা জীবনের যত অন্যায় কাজ করেছি সবই তোদের সুখের জন্য, আমি মরে গেলে তোরা এমন কাজ করবি, যেন মানুষ আমাকে ভাল বলে। এর পরই ঐ চোর মারা গেল, ছেলেরা চিন্তা করল বাবার শেষ ইচ্ছাটা পূরন করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য, সবাই পরামর্শ করে একসাথে ভাত চুরি করা শুরু করল তাদের গ্রামে, প্রতিবেশীরা বলা বলি শুরু করল চোরের ঘরে চোরই হয়েছে, কিছু দিন যাওয়ার পর ছেলেরা দেখল কেউ তাদের বাবাকে ভাল বলছেনা, এখন উপায় কি ? শেষে সবাই আবার চুরি শুরু করল এবং এবার শুধু ভাতই চুরি করেনা, সাথে খালি পাতিলে পায়খানা করে আসে, এভাবে কিছু দিন যাবার পর গ্রামের সবাই বলাবলি শুরু করল, আরে এই হারামী গুলোর চেয়ে ওদের বাবাইতো অনেক ভালো ছিল, ছেলেদের মুখে তৃপ্তির হাঁসি ফুটে উঠে মুখে। কারন তারা যোগ্য বাবার যোগ্য সন্তান হতে পেরেছে বলে!!
Click This Link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




