''রক্তচোষা'' বাতি
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
বিদ্যুৎ নেই তো চারদিকে শুরু হয় হাহাকার। আবার বিদ্যুৎ পেলে দেদার চলে এর অপচয়। একবার ভাবুন তো, এই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যদি আপনাকে শরীরের রক্ত দিতে হতো, তাহলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে আপনি কতটা সতর্ক থাকতেন? এই সতর্কতা শিক্ষা দিতেই মার্কিন এক ডিজাইনার উদ্ভাবন করেছেন 'ভয়ংকর' এক বৈদ্যুতিক বাতি, যা রক্ত পেলেই জ্বলে ওঠে, নীল আলোয় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে ঘর। ইতিমধ্যে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম এর নাম দিয়েছে 'রক্তচোষা বাতি' (ড্রাকুলা ল্যাম্প)।
না, খবরটি পড়ে খুব আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। উদ্ভাবিত রক্ত-বাতিটি (ব্লাড ল্যাম্প) দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের কোনো বৈদ্যুতিক বাতি নয়। এটি বাস্তবিক অর্থেই সচেতনামূলক একটি উদ্যোগ। এটি নিজ থেকে রক্ত চুষে নেয় না। যদি মনে করেন শখ করে আপনি বাতিটি জ্বালাবেন, তাহলে বাল্বটির মাথা ভেঙে এর ভেতরে এক ফোঁটা রক্ত ফেলতে হবে আপনাকে।
তবেই জ্বলবে বাতিটি। কেবল একবারই ব্যবহার করা যাবে বাল্বটি।
বাল্বটি উদ্ভাবন করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ডিজাইনার মাই থাম্পসন। এ বিষয়ে মাইক তাঁর নিজস্ব ওয়েবসাইট http://www.miket.co.uk-এ বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। এ ছাড়া ওয়েবসাইটটিতে বাল্বটি জ্বালানোর একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভিডিও ক্লিপসও দেখানো হচ্ছে। তাতে দেখা গেছে, একজন নারী একটি অন্ধকার কক্ষে বাল্বটির মাথা ভেঙে এর ধারালো কাচে আঙুল কেটে রক্ত বের করছেন। পরে আঙুল থেকে বের হওয়া রক্ত তিনি ভাঙা বাল্বটির ভেতরে ঢেলে দেওয়ার কয়েক সেকেন্ড পরই জ্বলে ওঠে বাল্বটি।
ব্লাড-ল্যাম্পটির ভেতরে 'লিউমিনল' এর নামে এক ধরনের রাসায়নিক ভরে রাখা হয়েছে। 'লিউমিনল' নামের এই রাসায়নিক সাধারণত ফরেনসিক বিজ্ঞানীরা কোনো অপরাধ সংঘটনের স্থানে নির্দিষ্ট রক্ত শনাক্ত করা কাজে ব্যবহার করে থাকেন। লিউমিনল রাসায়নিকটি লোহিত রক্ত কণিকার স্পর্শে এলে বিক্রিয়া করে এবং নীল উজ্জ্বল আলো তৈরি করে। অপরাধ বিজ্ঞানের ভাষায় সাধারণ এই পদ্ধতিই কেবল কাজে লাগিয়েছেন থম্পসন।
উদ্ভাবনের বিষয়ে মাইক থম্পসন জানান, 'আমাদের পরিবর্তনযোগ্য সমাজ' সম্পর্কে মানুষকে দ্বিতীয়বার ভাবাতে উদ্বুদ্ধ করার একটি প্রচেষ্টা হিসেবেই এই বাল্বটি উদ্ভাবন করা হয়। তাঁর দাবি, প্রতিটি মার্কিন নাগরিক প্রতিদিন তিন হাজার ৩৮৩ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। এই পরিমাণ বিদ্যুৎ দিয়ে ১২ মাস ধরে চারটি কক্ষে বাতি জ্বালানো সম্ভব। এই তথ্য তুলে ধরে থম্পসন বলেন, 'পরিবেশ-প্রতিবেশের ক্ষতি করে একজন ব্যক্তি কতটা মূল্যের বিনিময়ে বিদ্যুৎ লাভ করে তা অনুধাবন করাতেই এই উদ্যোগ।' তিনি বলেন, 'অনেক বেশি রক্ত ক্ষয় হওয়া যেমন একটি মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে, তেমনি অনেক বেশি জ্বালানি ব্যবহারও পরিবেশকে হুমকির মধ্যে ফেলতে পারে।'
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…
১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)
ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'
নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ
আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা
গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন