somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনের পূর্ণাঙ্গ সংবিধান।

০৬ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কুরআনের হুকুম-আহকাম যারা নিজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে অধ্যয়ন করে না কুরআন কখনই তাদের জন্যে লুক্কায়িত জ্ঞানভাণ্ডার খুলে দেয়না। কুরআনকে যারা নিছক পুথিগত তাত্ত্বিক আলোচনা, একই শব্দের বিভিন্ন অর্থবোধক এক অসাধারন গ্রন্থ, সাহিত্য চর্চা, পৃথিবীর আদি ইতিহাস জানার নির্ভর যোগ্য তথ্যসুত্র কিংবা নিছক সুর করে পড়ার একটি গ্রন্থ হিসেবে গ্রহণ করেন, তারা কুরআনের সাথে যথার্থ আচরন করেন না। কুরআন এমন কোন গ্রন্থ নয়। কুরআন একটি জীবন্ত ও সার্বজনীন জীবনবিধান। কুরআনের আইন জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার মধ্যে দিয়ে মানুষ আল্লাহর দরবারে সর্বাত্মক আত্মসমর্পণ করবে- কুরআন এই জন্যেই এসেছে। এ কারনেই আল্লাহ তায়ালা সমগ্র কুরআন একত্রে নাযিল করেননি;বরং প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে অল্প অল্প করে ধাপে ধাপে নাযিল করেছেন।
“আমি কুরআনকে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করেছি;যাতে তুমি ক্রমে ক্রমে তা মানুষের সামনে পড়তে পারো- আর এ কারনেই আমি তা পর পর নাযিল করেছি।”-(সুরা বনী ইসরাইলঃ ১০৬)


কিন্তু বাংলাদেশের মুসলিমদের কুরআনের উপর বিশ্বাস কম। তারা কিছু মানে কিছু বর্জন করে।
"আল্লাহ ছাড়া কারো বিধান দেবার ক্ষমতা নেই।" -সুরা ইউসুফঃ ৪০।
“আর যারা আল্লাহর অবতীর্ণ আইন অনুসারে বিচারকার্য সম্পাদন করেনা, তারা কাফের, ফাসেক, যালেম।" -সুরা আল মায়েদা - ৪৪, ৪৫, ৪৭"
“আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন নির্দেশ দিলে কোন মুমিন পুরুষ ও নারীর জন্য নিজেদের ব্যাপারে অন্য কিছু এখতিয়ার করার অধিকার থাকে না; আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করল সে স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে” -সূরা আল আহযাব: ৩৬
"অতঃপর তারা যদি আপনার কথায় সাড়া না দেয়, তবে জানবেন, তারা শুধু নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে। আল্লাহর হেদায়েতের পরিবর্তে যে ব্যক্তি নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তার চাইতে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে? নিশ্চয় আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে পথ দেখান না।" -(সূরা আল কাসাসঃ ৫০)
"যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা সংকীর্ণ হবে এবং আমি তাকে কেয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করব। " -সূরা ত্বোয়া-হাঃ ১২৪

অথচ এত হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরেও আমরা নিজেরাই আইন তৈরি করছি অথবা ইউরোপ-আমেরিকার মত দেশ গুলো থেকে অনুকরণ করছি। আমরা বলি জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। অথচ কুরআন বলে আল্লাহ্ই সকল ক্ষমতার উৎস । আমরা আল্লাহর আইনের উপর ভরসা করতে পারি না।


রাসুল (সাঃ) বিদায় হাজ্জে বলেনঃ আমি তোমাদের কাছে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যদি তোমরা এই দুটি জিনিস আঁকড়ে ধরে রাখ তাহলে তোমরা কোনদিন পথভ্রষ্ট হবেনা। তা হচ্ছে-
১। আল্লাহ্‌র কুরআন।
২। রাসুলের সুন্নাহ।

কিন্তু আল্লাহ্‌র কুরআন আমরা আঁকড়ে ধরা তো দুরের কথা সারা বছরে একবার ছুঁয়েও দেখি না। তাহলে আমরা বিদ্আতে জড়াবো না তো কারা জড়াবে? কারা... পথভ্রষ্ট হবে?

আল্লাহ্ তায়ালা বলেনঃ এটি সেই কিতাব যাতে কোনো সন্দেহ নেই এবং এটি মুত্তাকিদের জন্য পথ প্রদর্শক। [ সুরা বাকারাঃ ২]

তাহলে এই কিতাবই তো আমাদের জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পাবার পথ দেখাবে।

অনেকেই ভাবে কুরআন তিলাওয়াত করলেই মনে হয় বিদ্আত থেকে বাচা যাবে। কিন্তু আরবি কুরআন তিলাওয়াত করলে কোনো লাভ হবে না। কুরআনের অর্থ বুঝতে হবে। বুঝতে হবে আল্লাহ্ আমাদের কি বলছেন।

আমরা যে কোনো সমস্যায় পড়লেই বিভিন্ন পীর, ইমাম, মুফতী, মাওলানার কাছে যাই সমাধান জানার জন্য। কিন্তু এটা চিন্তা করি না যে কুরআন পড়লেই তো আমি সব জানতে পারছি।

কুরআন কি শুধু পীর, ইমাম, মুফতী, মাওলানাদের পড়ার জন্য নাজিল হয়েছে?

মনে রাখবেন এই কুরআন-ই হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।

##Quran is The Complete Code of Life.##
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×