আরবী বছরের যে পাঁচটি খাছ রাতে দোয়া কবুলের কথা হাদীছ শরীফ-এ ঘোষণা করা হয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে ‘শবে বরাত’-এর রাত। কুরআন শরীফ-এর ভাষায় শবে বরাতকে “লাইলাতুম মুবারকা বা বরকতময় রজনী” এবং হাদীছ শরীফ-এর ভাষায় শবে বরাতকে “লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান” বা শা’বানের মধ্য রাত্রি তথা চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত্রি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই আমি বরকতময় রজনীতে (শবে বরাত-এ) কুরআন শরীফ নাযিল করেছি। অর্থাৎ নাযিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর আমিই ভয় প্রদর্শনকারী; উক্ত রাত্রিতে আমার পক্ষ থেকে সমস্ত প্রজ্ঞাময় কাজগুলো ফায়সালা করা হয়। আর নিশ্চয়ই আমিই প্রেরণকারী”। (সূরা দুখান : আয়াত শরীফ ৩-৫) এ সম্পর্কে বহু হাদীছ শরীফও বর্ণিত রয়েছে। যেমন হাদীছ শরীফ-এ হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত রয়েছে। তিনি বলেন, আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যখন অর্ধ শা’বানের রাত উপসি'ত হবে তখন তোমরা উক্ত রাতে নামায আদায় করবে এবং দিনে রোযা রাখবে। কেননা নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি উক্ত রাতে সূর্যাস্তের সময় পৃথিবীর আকাশে আসেন অর্থাৎ খাছ রহমত নাযিল করেন। অতঃপর ঘোষণা করেন, কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। কোন রিযিক প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি তাকে রিযিক দান করব। কোন মুছিবতগ্রস্ত ব্যক্তি আছে কি? আমি তার মুছিবত দূর করে দিব। এভাবে ফজর বা ছুবহে ছাদিক পর্যন্ত ঘোষণা করতে থাকেন।” (ইবনে মাজাহ, মিশকাত) উল্লেখ্য, আমাদের দেশে এবং বিদেশে কতিপয় ধর্মব্যবসায়ী মাওলানা, ইমাম-খতীব রয়েছে যারা বলে থাকে শবে বরাত পালন করা এবং রোযা রাখা বিদয়াত। নাঊযুবিল্লাহ! এমনকি ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারা তাদের নিজ নিজ নিয়ন্ত্রিত মসজিদগুলোতে ইশার নামায আদায় করার পর মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দেয় যাতে মানুষ উক্ত রাত্রিতে ইবাদত-বন্দিগী করতে না পারে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি কালাম পাক-এ ইরশাদ ফরমান, “ওই ব্যক্তির চেয়ে অধিক জালিম আর কে হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহ পাক উনার ঘরে ইবাদত-বন্দিগী করতে বাধা দেয়?” পবিত্র কালাম পাক-এর ঘোষণা আনুযায়ী ওই সমস্ত ধর্মব্যবসায়ী মাওলানা, ইমাম-খতীবরা কাট্টা জালিমের অন্তর্ভুক্ত। কাট্টা ওহাবী, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদার মুখালিফ সউদী দারুল ইফতার সাবেক প্রধান আব্দুল আযীয বিন বা’য-এর বরাত দিয়েও সৃষ্টির নিকৃষ্ট ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারা শবে বরাত পালন করা ও এদিনে রোযা রাখা বিদয়াত বলে প্রচার করে থাকে। সুতরাং এ সমস্ত ধর্মব্যবসায়ী বিধর্মী মাওলানাদের চিহ্নিত করে তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য পৃথিবীর ৩০০ কোটিরও অধিক মুসলমানদের এগিয়ে আসতে হবে।
পবিত্র শবে বরাত-এর ইবাদত বন্দিগী এবং ফাযায়িল-ফযীলত অস্বীকারকারীরা চরম বিদয়াতী ও গুমরাহ
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।
কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন
কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।