কালিম্পং ফটো ব্লগ পর্ব-০১
কালিম্পং ফটো ব্লগ পর্ব- ৩ (শেষ পর্ব)
ফেসবুকে ইভেন্ট দেখে বড় ভাই শেখ বাহাউদ্দিন রিটু ভাইকে বলেছিলাম স্পন্সর করতে। তিনি রাজি হলে কালিম্পংয়ে রোশনিকে নক করে বলেছিলাম টাকা পাঠানো লাগবে নাকি? সে তখন বলেছিল যেয়ে দিলে হবে। তাই টাকা পাঠানোর প্রয়োজন হয়নি। আমরা ভিসা করেছিলাম ঢাকা থেকে। তারপর সোনালী ব্যাংকে ট্র্যাভেল ট্যাক্স দিয়ে চলে গেলাম কমলাপুর ট্রেনের টিকেট করতে। রাতের ট্রেন দেরি করলো ৪ ঘন্টা । আমরাও পিছিয়ে পড়লাম। কি আর করা! পঞ্চগড় নেমে বাসে চলে গেলাম তেতুলিয়া। এরপর আরেক বাসে বাংলাবান্ধা। বিশাল লাইন ছিল বর্ডারে। কলকাতা থেকে সনি সকালে নেমেছিল শিলিগুড়ি। সেবার বার ফোন দিচ্ছিল। সারাদিন তেমন কিছু পেটে পরেনি। বর্ডারের কাজ শেষ করতে করতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল। গাড়ি ঠিক করতে বলেছিলাম সনিকে সে গাড়ি ঠিক করতে যেয়ে শোনে ল্যান্ডস্লাইডের জন্য রাস্তা বন্ধ। অনেকটা পথ ঘুরে যেতে হবে। কি আর করা বেশি ভাড়ায় গাড়ি ঠিক করলো সনি। আমরা কাস্টম আর ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে ডলার বদল করে গাড়িতে উঠলাম। চেনা পথ ধরে গাড়ি চলল কালিম্পং এর পানে। কিছু দূর যাবার পর মম আর ভেজচাউমিন দিয়ে পেট পূজা করে নিলাম। ফাঁকে জেনে গেলাম রাস্তা খুলেছে। তাই অল্প সময়ে কালিম্পং পৌছে যেতে পারবো। মনটা খুশি হল। অল্প সময়ে পৌছে গেলাম কালিম্পং। পরিচিত হোটেলের মালিক বলল রুম খালি নেই। কি আর করা নতুন করে রুম খুজতে গেলাম। পেয়েও গেলাম খুব সুন্দর রুম। বাইরে আর গেলাম না। হোটেলে বসেই সেরে নিলাম রাতের খাবার। খুব সকালে উঠতে হবে। তাই এর্লাম দিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩