বেবি চুলটানার নাম প্রথম শুনিতে পাই আমার ভাতিজির কন্ঠে। দুজনের লতায়পাতায় সম্পর্ক। আমার ভাতিজি পিচ্চিকালে সুলতানা কহিতে পারিত না, চুলটানা বলিতে বলিতে উক্ত স্নেহের সম্বোধনখানিই অমরত্ব লাভ করিয়াছে।
আমি এনালগ যুগের মানুষ। জন্মের পর হইতেই নানাদাদাদের একুশে সাভারে যাইতে দেখিয়াসি। আমার ভাতিজি যখন কিছু দিন আগে কহিল, এবারে বীরশ্রেষ্ঠকে বাসায় বসিয়া সম্মান জানানোর ব্যবস্থা করা হইতেসে, আমি অবাক হইয়া গেলাম। এতো সহজ!
কে এই যুগান্তকারী শর্টকার্টখানির উদ্ভাবক? বেবি চুলটানা, আমার ভাতিজি কহিল। ভাতিজি আরো কহিলো, উনিই নাকি ডিজিটাল বাংলা রূপায়নের প্রথম ভলান্টিয়ার।
ভাতিজির মুখে উনার গুণের কথা শুনিতে শুনিতে আশ্চর্য হইয়া যাইতেসিলাম। এর পরে যখন ডেইলি স্টারে উনার সদ্য প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ "আহ দাড়ি! ওহ দাড়ি!! উফ দাড়ি! হায় দাড়ি!!" -র প্রশংসা দেখিলাম, আর স্থির থাকিতে পারিলাম না, কৌতূহল ক্রমশ:ই বাড়িয়া যাইতেসিল।
নতুন বইখানির মলাট খুলিয়া প্রথমেই ফ্ল্যাপে চোখ পড়িলো। কি ছিল সেই ঘটনা যা একজন নারীকে দাড়ি নিয়া লিখিতে উদ্বুদ্ধ করিল?
ছোটোবেলা হইতেই বেবি চুলটানার টুকটাক লিখালিখির অভ্যাস। লিখিতে লিখিতে একজন ভক্ত পাঠক বুদ্ধি দিল তাহারে, আফা আফনে অমুক ম্যাগে ল্যাখেন না ক্যান, যে পত্রিকার নাম বলিয়া
ছিল আমি তাহা ভুলিয়া গেসি। নিজ গুণে ক্ষমা করিবেন সকলে।
ঐখানে যে কেউ লিখিতে পারেনা। কমেন্ট করিতে হয় ধৈর্য ধরিয়া। অনেকটা যেন এলিয়েনদের ন্যাচারালাইজ করিয়া নাগরিকত্ব প্রদানের ন্যায়। তাহারা ভূত থেকে ভূতে, এই নীতিতে বিশ্বাসী।
কোনো এক অজ্ঞাত কারণে বেবি চুলটানা সাহিত্যিক হওয়ার প্রবেশিকায় ফেলটুশ মারিলো। সে যখন তাহার পত্রখানি রিচেকের জন্যে আবেদন করিলো, এক দেড়েল একজামিনার যে কিনা বেবি চুলটানার খাতাখানি মার্কিং করিয়া ছিল, সে হাসিয়া তাহার গালখানি টিপিয়া কহিলো - খুকি তুমার কুন কেলাস?
বাকী ঘটনা ইতিহাস।
___________
some people are being remembered today only to be forgotten tomorrow.