somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাস্টারদের মনে পড়ে : রম্যের ত্রিপিটক

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একজন ক্ল্যাসিক্যাল রম্যলেখকের জীবনের সব থেকে বড়ো আয়রনি হলো, বৃহত্তর স্বার্থে তার এই যে আপাতক্রূরতা, আর এর আড়ালে সযত্নে লুকিয়ে রাখা স্নেহশীল একটা অভিভাবক-হৃদয় - এসব কিছুই তার আশেপাশের মায়োপিক মানুষদের নজর এড়িয়ে যাওয়া।

অবুঝ বাচ্চাকে হয় ভালোবেসে নাহয় শাসন করে বোঝানো যায়। কিন্তু বড়োরা যখন অবুঝের মতো আচরণ করে?

অনেস্টলি, ইট ওয়াজ দি লাস্ট থিং ইন মাই মাইন্ড। কাজ আর কাজ ফুরোলে ক্রাভ মাগা করেই কুলিয়ে উঠতে পারছিলাম না।

রম্যলেখকের কাজটা অনেকটা জাগলারের মতো। একটু বেখেয়াল হলেই যেমনি তার পুরো খেলা মাটি হয়ে যায়, লেখককেও সদা সতর্ক থাকতে হয় ডার্ক কন্টেন্টের ব্যাপারে, বেহিসেবী প্রয়োগ যাতে অযথা রম্যকে নোংরামোতে পর্যবসিত না করে। নাইদার আন্ডার, নর ওভার, অল ইউ নিড ইজ দি রাইট এক্সপোজার।

ডার্ক কন্টেন্ট কেন? কারণ তা না থাকলে পেইন ইনফ্লিকশন হয়না সাবজেক্টে। সে নিজে ব্যথা পেলে তবেই নিজের অসঙ্গত আচরণ বুঝতে পারে। আর রম্য যত কোভার্ট হবে, ততই সুবিধে হবে কথার হুল ফোটানোর, একেকটা অক্ষর হবে রেপিয়ারের মতোই ধারালো।

ফ্যামিলিয়ারিটি ব্রিডস কন্টেমপ্ট। যারা কাছে থাকে তাদের আচরণেই আমরা কষ্ট পাই। আর ঠিক সেখান থেকেই শুরু হয় জনৈক রম্যলেখকের নৈতিক মোড়লিপনা।

কি সব দিন ছিল। দ্রোহী নিজস্ব অনবদ্য স্টাইলে কপোট্রনিক সুখদু:খকে রিকন্সট্রাক্ট করলেন। কাকে বাদ দিয়ে কার কথা বলবো? হিমুর রসিকতা না মুখফোড়ের ঈশ্বর-সিরিজ?

সময়ে সময়ে আইজুদা আর শাঁখের করাত পাগলা হোসেনের একেকটা কমেন্ট যেন একেকটা মিনি রম্যেরই নামান্তর।

আইজুদার রিভার্সধর্মী আঙ্গিকে মুগ্ধ হয়েছিলাম লাল বালিকাকে দেখার অনেক আগেই। সেই সুর সচেতনভাবে বেজেছে সব জায়গায়।

ইন ফ্যাক্ট, ডকের নিকের নমেনক্লেচার দেখেই বোঝা যায় তাঁর সিগ্নেচার সেন্স অব হিউমারের কথা।

ডক যখন রবিনহুডের মতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, ফিনিক্স পাখির মতো জন্ম নিচ্ছেন বারে বারে, ব্লগের সেই স্বর্ণালী যুগে তাঁর ম্যানারিজম দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার - যেমন কথায় কথায় সো আর বাটের ব্যবহার।

আসলে জাস্ট চুপ করে আর থাকতে পারছিলাম না। মূলত: এই অপচেষ্টাটা যতখানি ছিল আহত অভিমান থেকে জন্ম নেওয়া ঘৃণার একটা উপযুক্ত সদ্গতি করা, ততোখানিই ছিল সেই অযুহাতে আরো কয়েকজন এক্সট্রাকে নিয়ে কিছুটা সিরিওকমিক কিছুটা ইন্যুয়েন্ডোবর্ষী রম্যলেখক হিসেবে হাত পাকানোর।

অভিমানের জরায়ু থেকে জন্ম হলো ডিজিটাল বেবি চুলটানার। এই লেখাটা লিখতে যতটা সময় নিয়েছিলাম, অন্য রম্যগুলিতে তার দশ ভাগের এক ভাগও নিইনি, কারণ একটাই - সম্পর্কের সীমাবদ্ধতা বা লক্ষণরেখা। খুব হিসেব করে পা ফেলতে হয়েছিল। টিম ম্যাকগ্রর মাই লিটল গার্ল শুনে থাকলে হয়তো বা এই টানাপোড়েন বুঝলেও বোঝা যেতে পারে, ছুঁয়ে ফেলা যেতে পারে অভিভাবক-হৃদয়ের দ্বন্দদীর্ণতা, ব্রাত্যজনের বিষাদখিন্ন রক্তক্ষরণ।

আত্মজা কথাটার মানে হলো নিজের থেকে জাত।

লেখাটায় একটা ইমপ্লায়েড মেসেজ দেওয়ার লোভও সামলাতে পারিনি, সাইবার‍-অ্যাক্টিভিজমের ক্ষতিকর চিত্রটা, এই যে আমরা অল্পতেই সন্তুষ্ট হয়ে যাচ্ছি - নিজস্ব দায়বদ্ধতা থেকে খুব সহজেই মুক্তি খুঁজে নিচ্ছি।

আসলে ভার্চুয়াল সম্পর্কগুলো খুব তাড়াতাড়ি রক্তমাংসে রূপ নেয়, আর গ্রিড-মেশ-ভিভিএলএসআই সার্কিট পেরিয়ে যখন বহুমাত্রিক আবেগ ওপারে পৌঁছায়, ব্যতিচারিত একমাত্রিকতায় শুধু ক্ষোভটুকু পড়ে থাকে।

দ্রোহী লাখ টাকার একটা কথা বলে গেছে। মনে ঘৃণা থাকলে রম্য হয়না। ব্যাপারটা এইভাবে বলি, ঘৃণাকে রম্যের কাফন মুড়িয়ে দাফন করতে হয়, তাই করা উচিত।

জাভায় আমরা যেভাবে গার্বেজ কালেক্ট করি। এখনকার বিএস বইপত্তরে অবশ্য মেমোরি রিসাইক্লিং ফ্রেজটা ইউজ করছে।

ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে দাও।

রম্য নিয়ে যখন এতো কথা বললাম তখন আরো দু' চার কথা বলে যাই যাওয়ার আগে। সেন্স অব হিউমার আর নিজের সমালোচনাকে হাসি মুখে গ্রহণ করার ক্ষমতা, ও সেই সাথে নিজেকে নিয়ে রসিকথা করার দুর্লভ দক্ষতা না থাকলে, রম্য লেখা তো দূরের কথা - পড়ারও চেষ্টা করবেন না। কারণ রম্য মাত্রেই আমার কাছে ক্লিন রম্য। জেরোম কে জেরোম, লাইফ অব পাই, ডিলবার্ট পড়তে পড়তে বড়ো হওয়ার এটাই দুর্ভাগ্য। প্রতিপক্ষকে স্পোর্টিঙলি ক্লিন বোল্ড করতে আর কি চাই?

রম্য রচনা আমার কাছে চোখে কালো কাপড় বেঁধে একটার পর একটা ড্যাগার ছুঁড়ে যাওয়ার মতো। জটায়ুর কথা মনে পড়ে গেলো তো? লালমোহনবাবুকে ভয় দেখানোও হলো আবার কোনো রকম রক্তপাতও ঘটলো না। ঠিক এই মুহূর্তে দূরের পাখি ছাড়া আর কারো মধ্যে তেমন একটা পোটেনশিয়াল দেখলাম না। তারপরেও বলবো ওর মধ্যে ইমপ্লায়েড ব্যাপারস্যাপারের কিঞ্চিত অভাবই আছে, অল্প কিছু না বলে অনেক কিছু বলে ফেলার যে আর্ট, একটি কিউ দিয়ে দ্বিতীয়টি ছেড়ে আবার তৃতীয়টিকে জায়গামতো প্রয়োগ করা - এই সিমাফোরিক পজজাতীয় জিনিসপত্তর ও তদৃশ থিম্যাটিক অ্যাবারেশন আর সিন্থেটিক অসঙ্গতি সৃষ্টির কলাটি ভালোভাবে রপ্ত হলে আগামী দিনে বাংলার বদলে হলিউডী মুভির পোস্টার দেখতে পাওয়া যাবে ফারুক আহসানের ম্যালাকাইটের ঝাঁপিতে। ইনশডায়াগোরাস!

আমার সমস্ত লেখাগুলির মধ্যে কেবলমাত্র একটি রম্য হতে হতেও হয়নি শেষটায়। যারা মেয়েদের চলন্ত গোশতের দোকান বলে মনে করে, তাদের কোনো বেইল নেই, তাদের প্রতি বর্ষিত ঘৃণাকেও গোর দেওয়ার দরকার নেই।

এই অভিমানচর্চায় আসলে আমার একেবারেই অধিকার নেই। তবুও একজন মেয়ে হয়ে সমগ্র নারীজাতির পক্ষে অবমাননাকর বাক্য ঠিক কোন যুক্তিতে একজন চুপ করে মেনে নেয়, কোনো প্রতিবাদ করে না, স্নেহের লোকের এই মেরুদন্ডহীনতায় অভিমানের বাষ্প জমতে থাকে - আর সেই অভিমানের ঔরসে জন্ম হয় ডিজিটাল বেবি চুলটানার সে তো একটু আগেই বলেছি।

যে অন্তর থেকে অভদ্রতার প্রতিবাদ করে সে এক বারের বার করে, দু' বারের বার করে, দশ বারের বারও করে - তাই না?

ইন্টিগ্রীটি খুঁজতে গিয়ে হতাশ হই। পাই তার অভাব। আর সেই সাথে সিলেক্টিভ ফেমিনাইন প্রতিবাদ।

ডিজিটাল বেবি চুলটানা সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা নেহাতই নিরীহ রম্য। বাকি এলেবেলেদের বেছেছিলাম মতাদর্শিক অবস্থানগত বিরোধে। যার ইচ্ছে হবে সে প্রিম্যারাইটল সেক্স করবে, যার ইচ্ছে হবে না সে করবে না, যার ইচ্ছে হবে সে বাংলার সাথে ইংরিজি বা যা-ইচ্ছে-তাই মেশাবে - সিরিয়াল দেখবে আর আইটেম সঙ বন্ধুবান্ধবীদের সঙ্গে নাচতে নাচতে এনজয় করবে। গ্লোবাল-ভিলেজ সংস্কৃতির যুগে ভিনদেশী সফ্ট আগ্রাসনের ভয়ে যারা সব সময় থরহরি কম্পমান, তাদের উচিত দন্ডকারণ্যে গিয়ে মর্কটদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করা, তা সে আমাদের ঘন্টি চৌধুরীই হোক কি হিটোপমা। পিরিয়ড।

আক্ষরিকার্থেই জীবনাম্বু অর্থাৎ ইশগে বা:হা:র স্বাদবঞ্চিত এই সমস্ত কোয়াসি-মডমোল্লা আর নার্সিসিজমে ভোগা হিটোপজীবিনীদের সুশি বা ক্লোবাজমের সাথে থোড়াসা অকল বেটে খাইয়ে দিলেও এরা কোনো দিন উপলব্ধি করতে পারবে না যে আকাশ-আন্তর্জালিক সংস্কৃতির যুগে আমার-তোমার আপন-পর জাতীয় কথাগুলি একেবারেই খাটে না। এই বৈশ্বিক দেশাচারের যুগে, যেখানে সমগ্র বিশ্বই একটি দেশ, এই সময় দাঁড়িয়ে এরা নিজেদের সিউডো-বংগালত্ব নিয়েই ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে থাকতে চায়। আরো স্পেশিফিক্যালি বলতে গেলে যেটাকে বলে নাজি-বংগালত্ব। বিজাতীয় কৃষ্টির থেকে তথাকথিত রুটকে রক্ষা করায় নিবেদিতপ্রাণ কতিপয় পরশ্রীকাতর জেনোফোবিক বংগাল-তালেবান বুদ্ধিজড়েরা যখনই জাজমেন্ট দিতে আরম্ভ করে, সোকল্ড ইম্মরাল কালচারদের বিরূদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে, এবং ইয়ুথ সম্প্রদায়কে এই গ্লোবাল স্ট্রীম অব কস্মোপলিটান কন্সাশনেশ থেকে ছেঁটে ফেলে বিশ্ব-নাগরিক না করে তোলার পরম নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে চায় - তখন শুধু একটা কথাই বলতে ইচ্ছে করে যে ইউ আর অ্যাবসোলিউটলি ফ্রি টু স্টয়েঙ্ক বাট ডু লার্ন টু রেস্পেক্ট আদার্স লাইকিংস।

এই কথাটা ভাবতে গিয়েই ডকের কথাগুলো মনে পড়ে যায়। ডক তাঁর লালবালিকাকে নিজের জীবনসঙ্গী খোঁজার অধিকার দিয়েছেন। হোক না সে ইয়াঙ্কি। লাইক আ ট্রু জেন্টলম্যান ডক নোস হাউ টু রেস্পেক্ট দি প্রেফারেন্সেজ অব আদার্স। লাইক আ লাভিং পপ হিজ গট অল দি এবিলিটি, টু অ্যাপ্রিশিয়েট দি ডিফারেন্ট টেস্ট-প্যালেট অব হিজ কিড, অ্যাজ দি রুট-বেসড হ্যাংওভার ডাজন্ট ব্লার হিজ ভিশন।

ক্ষেত্রবিশেষে এই আদর্শিক দ্বিমতের চাইতেও বড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল নিজের পাপমোচনের দায়টা। বার বার যখন দু' বার নিজের চোখের সামনে দেখলাম মায়ের অপমান তখন সব ফেলে প্রতিশোধ নিতে ছুটে এলাম। কমলা, সাদা, আর সবুজ রঙের সে পাড় আমার মায়ের মোটা কাপড়ের। ফতেহ হয়েছে, তাই এই কলেবরেরও প্রয়োজন ফুরিয়েছে। যদি দরকার পরে আবারো সমস্ত শক্তি দিয়ে প্রতিহত করা হবে, শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে টুকরো টুকরো করে দেওয়া হবে সেই হাত, যে ঘাউড়া হাত আমাদের ঘরে আগুন লাগাতে চায় কোনো কারণ ছাড়াই। এই হেঁয়ালিটুকু সবার পাঠোদ্ধারের জন্যে যে নয় সে কথা বলাই বাহুল্য।

শখের জুলিয়াস মজা করে লেখা আরেকটি রম্য। বাবু জুলিয়াসের সাথে আমার কোনো মানঅভিমানের কিস্যা নেই। তিনি আমায় কোনো দিন শিকল পরানোর চেষ্টাও করেননি। তবে মাঝে মাঝে নিজের ঢাকে বাড়ি মারার এই প্রানান্তকর চেষ্টাটি দেখে যখন হাসি পায়, তখন মনে হয় কিভাবে সবক শেখানো যেতে পারে এই ফুল-টিকিটের শিশুকে বিনা রক্তপাতে।

গোষ্ঠীতাণ্ত্রিক রাজনীতির মুসলমানিতে ক্লীবত্ব বরণ করা, সাধারণ সুশীল শ্রেণী যার একটা সিংহভাগ, সেই সমস্ত ব্লগারদের জন্যে শ্রেষ্ঠ ঈদি ছিল অববাকের ব্যান - আর আমার মতো নীরব ভক্ত পাঠকের কাছে দু:স্বপ্নের চেয়েও বেশি কিছু। রম্যলেখক হিসেবে, ক্লিন রম্যলেখক হিসেবে আমি কতোখানি সফল বা অসফল হয়েছি, হয়তো তা একদিন সময়ই বিচার করবে। কিন্তু একটা কথা পরিষ্কার যে আমার সব চেয়ে শ্রেষ্ঠ লেখাগুলি এই নপুংশক ব্লগবাসী দেখার অধিকার রাখে না। বেছে বেছে গুটি কয়েক পরিচিত মুখের কাছে সেই সমস্ত একলা অপরিচিত রোদের অ আ ক খ পাঠ। মনোক্রোম্যাটিক দর্শনধারীদের, খন্ডচিত্র দেখা আবেগপ্রতিবন্ধীদের, জীবনের প্যানোরামা না দেখতে পাওয়া ইমোশন্যাল কোশেন্টকাঙালদের মক্কা এই ব্লগ - যেখানে উটের ইগোদৌড় আর আয়োডিনবর্জিত বুদ্ধিবৃত্তিক বাঁদরখেলাই এক মাত্র নিয়তি। সূর্যের সাত ঘোড়ার রেস এখানে মানায় না। একেবারেই না। নোপ।

এর মধ্যে একটা ব্যাপার ঘটে গেছে। একটা অঘটন। নতুন করে কোনো মায়ার বাঁধনে বাঁধা পড়তে চাইছিলাম না। নাম-না-জানা কোনো এক অপসরাকে ভীষণ ভীষণ মিস করবো। ওর হাতের স্পেশাল পুদিনা চাটা আর খাওয়া হলো না এবারের মতো। ওর জন্যে, শুধু ওরই জন্যে রইলো, এক আকাশ ঈদের শুভেচ্ছা আর পূজা মোবারক। হয়তো কোনো এক দিন ওর সাথে দেখা হয়ে যাবে - এক দিন ঠিক।

যে কথা বলছিলাম। আমরা তাদেরই ভীষণ ভীষণ ঘৃণা করতে পারি যাদের আমরা খুব খুব ভালোবাসি। অনেক সময় এমন হয় জীবনের সহজ-সরল সত্যিগুলো তারা দেখতে পায়না। গাছের ছোট্টো একটা পাতা যেভাবে আকাশের থালার মতো চাঁদটাকে ঢেকে দেয়।

আর যখন সেই ঘাইমৃগী-জোছনার একটা ফালি এসে পড়ে হিমে ভেজা আলে, কেউ কেউ বুঝে ওঠার আগেই কাউকে পালিয়ে যেতে হয় চুপিসাড়ে, শূণ্য আর এক দিয়ে তৈরী জীবনের মোহ নতুন করে যাতে আর তাকে গ্রাস করতে না পারে।

কেমন করে বুঝিয়ে বলি
কোনখানে।
যেখানে ঐ শিরীষ বনের গন্ধপথে
মৌমাছিদের কাঁপছে ডানা সারাবেলা।

যেখানেতে মেঘ-ভাসা ঐ সুদূরতা,
জলের প্রলাপ যেখানে প্রাণ উদাস করে
সন্ধ্যাতারা ওঠার মুখে;
যেখানে সব প্রশ্ন গেছে থেমে...





৭টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×