somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

: একজন ছাত্র : যখন : ছাত্রলীগ এবং ছাত্রশিবিরের টার্গেট :

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশের ছাত্রসমাজের অধিকার আদায়ের জন্যই ছাত্রসংগঠনের জন্ম। ছাত্রসংগঠনগুলো নিজেদের দল ভারী করার জন্য ছাত্রদের দলে অন্তর্ভুক্ত করার টার্গেট নেয়। বাংলাদেশের প্রধান দুইটা ছাত্রসংগঠন হল ছাত্রলীগ এবং ছাত্রশিবির। একজন নতুন ছাত্রকে দলে টানার জন্য দুই দলের কৌশল ভিন্ন।

প্রথম টার্গেট কোন ভদ্র নম্র ছেলে। তার সাথে পরিচিত হওয়া। তার আদ্যপান্ত জানা। তার পারিবারিক অবস্থা সম্পর্কে খোজখবর নেয়া। গ্রাম থেকে শহরে আসলে ছাত্রশিবিরের মেসে থাকার ব্যবস্থা করা কম খরচে। টিউশনির ব্যবস্থা করা। এরপর ধীরে ইসলাম এবং ছাত্রশিবিরের দিকে মোটিভেট করা।

আমাদের সুশীল সমাজের লোকজন এটাকে অত্যন্তু খারাপ দৃষ্টিতে দেখেন। তাদের অভিযোগ ছাত্রশিবিরে নিরীহ ও নিরুপায় ছাত্রদের টিউশনি এবং থাকার লোভ দেখিয়ে দলে ভিড়ায়।

কিন্তু ঐ ছাত্র যখন ছাত্রলীগের খপ্পরে পড়ে তখন দেখুন কি অবস্থা হয়। প্রথম টার্গেট এমন কোন ছাত্র যার বডি স্ট্রাকচার খুবই ভাল। মারামারি করতে গেলে একাই দুই তিনজনকে শুইয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখে। প্রথমে সে একটান দুইটান দিয়ে সিগারেট ফুকতে থাকে। এরপর দলবেধে আড্ডা মারা। টিউশনির দরকার হয় না। ক্যান্টিনে ফাও খাওয়া ব্যবস্থা হয়। পকেট খরচের ব্যবস্থা হয় বড়ভাইদের সাথে চাদাবাজি করতে গেলে সেখান থেকে ভাগ পেয়ে। ব্যায়াম আর জগিংয়ের ব্যবস্থা হয় কোন্দলের সময় মারামারি করতে গিয়ে দৌড়ের মাধ্যমে।

প্র্র্র্রিয় পাঠক আপনারাই বিবেচনা করুন। একজন ছাত্র গ্রাম থেকে অনেক আশা ভরসা নিয়ে আসে পড়ালেখা করে বড় হবে । বাবা মায়ের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। তার সে আশায় কারা প্রনোদনা হিসেবে কাজ করে। আর কারা তার স্বপ্ন. বাবা মায়ের ভাই বোনরে স্বপ্ন চুরমার করে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট।

শুধুই যারে দেখতে নারি তার চলন বাকা নীতি পরিহার করে যে ভাল কাজ করছে তার স্বীকৃতি দেয়া উচিত নয় কি?
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×