somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্রিকেট নয়, ধর্মের কথাই বললেন সাঈদ আনোয়ার

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পর্যবেক্ষক
ব্যাট হাতে একসময় ঝড় তোলা ক্রিকেট তারকা সাঈদ আনোয়ারের চলনে-বলনে পরিবর্তন এসেছিল আগেই। তারপরও দেশের প্রয়োজনে ঠিকই ব্যাট হাতে মাঠ কাঁপিয়েছেন। সেই সাঈদ এখন চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন অন্য পরিচয়ে। তাবলিগ জামাতের সঙ্গে ব্যস্ত আছেন দ্বীনের কাজে। মুখে দাড়ি, মাথায় সাদা পাগড়ি, হাতে তসবি। সিজেকেএসের পীড়াপীড়িতে শনিবার চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে এলেও ক্ষুদে ক্রিকেটারদের ক্রিকেট নিয়ে কিছু বলেননি। বরং দিয়ে গেলেন শুধুই দ্বীনের দাওয়াত।
চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) অনুরোধে বিকালে স্টেডিয়ামে হাজির হন সাঈদ আনোয়ার। কথা ছিল ক্ষুদে ক্রিকেটারদের ক্রিকেট নিয়ে মূল্যবান কিছু উপদেশ দেবেন। কিন্তু শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কেবল বলে গেলেন ধর্মের কথা। দ্বীন ইসলামের কথা।
ক্ষুদে ক্রিকেটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ক্রিকেট যেভাবে সাধনা করে শিখতে হয়; তেমনি ইসলামের জন্যও কঠোর সাধনা দরকার। ক্রিকেট শিখতে হয় মাঠে, খেলতেও হয় মাঠে। কিন্তু ইসলাম শিখতে হয় মসজিদে। স্টেডিয়ামে এসে মাঠে ঢোকার আগে মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করে এ শিক্ষার বাস্তবিক উদাহরণও দিয়ে গেলেন সাঈদ।
ক্রিকেটের জন্য সারা দুনিয়ায় পরিচিত সাঈদ আনোয়ার ক্রিকেট খেলতে কখনই চট্টগ্রাম আসেননি। তবে তাবলিগ জামাতের সঙ্গে এর আগেও একবার এসেছিলেন দ্বীনের দাওয়াত দিতে। ছিলেন লাভলেইন এলাকার মাদানি মসজিদে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম এসে এবারো অবস্থান করছেন সেই একই মসজিদে। এর আগে শুক্রবার তিনি মসজিদে মুসল্লিদের উদ্দেশে বয়ান দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘মাছ যেমন পানি ছাড়া থাকতে পারে না; তেমনি মুসলিমও মসজিদ থেকে দূরে থাকতে পারে না। খেলাধুলা মাঠের জিনিস। কিন্তু মনে রাখতে হবে পরকালই আসল। সেই জগতের তালিম নিতে হবে, এজন্য মসজিদে আসার কোনো বিকল্প নেই।’
ক্ষুদে ক্রিকেটারদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, ‘একজন আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল ক্রিকেট খেলে জীবনে অনেক ধন-সম্পদের মালিক হয়েছেন। অনেক কিছুই পেয়েছেন। কিন্তু পরকালের জন্য কী করলেন?’ তখন মনে হয়েছিল সত্যিই তো, পরকালের জন্য তো কিছুই করিনি। তখন থেকেই তাবলিগের দাওয়াত দিতে শুরু করলাম। কিন্তু দাওয়াতের উদ্দেশ্য এটি নয়, সব ছেড়ে দিয়ে এ পথে আসতে হবে। ক্রিকেটাররা অধিকাংশ সময় মাঠে থাকে আর মুসলমান থাকেন মসজিদে।’ তিনি বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন সবচেয়ে বড়। আল্লাহ বান্দাদের বলছেন, তোমরা আমার কাছে আসো। খোলোয়াড়দেরও দ্বীনের পথে আসতে হবে। যেমন এসেছেন আফ্রিদি, ইনজামামসহ অনেক ক্রিকেটার। মুসলমান মসজিদে থাকলে জীবিত থাকে। মসজিদের বাইরে সে মৃত। তাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদের ভেতরে পড়তে হবে। যে ব্যক্তি অধিকাংশ সময় মসজিদে থাকেন, নবী-রাসুল তাকে মুমিন হিসেবে সাক্ষী দেবেন। আল্লাহ তার সঙ্গী হবেন। নবী-রাসুল তার সঙ্গী হবেন। মনের মধ্যে সব সময় কালিমাকে ধারণ করতে হবে।
পাকিস্তান জাতীয় দলের সাবেক উইকেটকিপার জুলকারনাইনও ছিলেন সাঈদ আনোয়ারের সঙ্গে। ক্ষুদে ক্রিকেটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের জিন্দেগির কোনো মূল্য নেই। গাড়ি-বাড়ি কিছুই কাজে লাগবে না। আসবে এ দ্বীন, এ ইসলাম। আমি ৩০ দিনের মধ্যে চারদিন তাবলিগে থাকি। আল্লাহ ছাড়া কারো ওপর ঈমান আনা যাবে না। ভালো খেলোয়াড়ের সঙ্গে সঙ্গে ভালো নামাজি হতে হবে।’
সোমবার বিশ্ব ইজতেমার উদ্দেশে চট্টগ্রাম ছাড়বেন পাকিস্তানের এ দুই সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার।
১৭টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×