somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হায় বেঁচে থাকা! বাঁচা হয়ে ওঠে বাঁচাও বাঁচাও তীব্র চিৎকার!

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছু দিন পর পর এই দেশে একটা না একটা বড় দুর্ঘটনা ঘটবেই। হয় শত শত মানুষ নিয়ে বিল্ডিং ধসে পড়বে নয়তো আগুনে পুড়ে ছাই হবে অসহায়রা। আমরা যারা 'সৌভাগ্যবান', যারা বেঁচে আছি এই সব থেকে এখনও- এমন দুর্ঘটনায় দু একদিন শোক করবো, তুমুল আলোচনা করব, তারপর ভুলে যাব কিংবা আরও একটি দুর্ঘটনা নিয়ে আলোড়িত হয়ে উঠবো। অবধারিতভাবে এটা নিজেই ভিকটিম হওয়ার প্রতীক্ষা।

এই দুষ্টচক্র থেকে এই অভাগা দেশটার, এই অভাগা মানুষগুলোর পরিত্রাণ কি কখনোই হবে না?

যে প্রশ্নটা এখন উত্থাপন করলাম সেটা আজকে নতুন নয়, এই দুষ্টচক্রটারই অংশ।

প্রবল দুঃখ, হতাশা আর ক্ষোভ ছাড়া মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে আমাদের আর কোন হাতিয়ার যেন নেই। যা কিছু প্রতিক্রিয়া সব ঘটনা ঘটে যাবার পরই। ঘটনা না ঘটার জন্য সতর্কবাণীগুলো সবসময় ড্যাম কেয়ার করে সবাই। এটাই হয়ে গেছে স্বাভাবিক। আপনার সতর্কতা অন্যের চোখে হবে হাস্যকর।

বেপরোয়া বাস চালাচ্ছে ড্রাইভার? দেখবেন যাত্রী জানালা দিয়ে মাথা বের করে উত্তাল হাওয়া উপভোগ করছে। কিংবা স্বস্তি উপভোগ করছে এই ভেবে যে গন্তব্যে তাড়াতাড়ি পৌঁছানো যাবে। সেটা যে অন্তিম গন্তব্য হয়ে যেতে পারে তা থোড়াই কেয়ার করে।

গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির জরুরি নির্গমন পথগুলো বন্ধ? কেন খামোখা চিন্তা করবে কেউ? অত সহজে তো আগুন ধরবে না। তারচেয়ে এখন ফ্যাক্টরি থেকে পোশাক পাচারের পথ রুদ্ধ করা গেছে- এটাই কি বড় ব্যাপার নয়? দুচারটা পোশাকের বিপরীতে আগুনে ঝলসে যেতে পারে এমন কয়েকশ শরীরের বিনিময়ে ধরা হয় বাজি ।

বিল্ডিংয়ে ফাটল ধরেছে? এটা মজার ব্যাপার না? আলো-হাওয়ার যাতায়াতের সুবিধা হলো। বেশ দেখেছ, এবার কাজে ফিরে যাও। এত সহজে কিছু হবে না। কিন্তু কাজ যদি না কর এখন বেতন না পেয়ে না খেয়ে মরবে যে! বাঁচতে হলে এই রিস্কটুকু নিতেই হবে। হুম... বাঁচতে হলে... বাঁচতে হলে...।

হায় বেঁচে থাকা! বাঁচা হয়ে ওঠে বাঁচাও বাঁচাও তীব্র চিৎকার!
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×