somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইয়াহুদী চক্রান্তর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও। সকল মুসলিম এক হও, নবীর বিরুদ্ধে ব্যঙ্গ চিত্র প্রকাশকারীর বিচার চাই।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইয়াহুদীরা এতোটাই পথভ্রষ্ট জাতী যে তারা সমকামিতাকে সংবিধানে এ্যাড করে দিয়েছে। তারা পুরুষে পুরুষে এবং মহিলারা মহিলারা অবাধে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে। আল্লাহপাক এই পথভ্রষ্ট জাতিকেও সৎ পথের আহ্বান জানিয়েছিল নবী পাঠিয়ে। তারা তাকে হত্যা করেছে যদিও তারা তা পারে নাই। হযরত ঈসা (আঃ) এর মাতারে ইয়াহুদীরা কলংকের দাগ লাগিয়েছিল। তারা বিশ্বাস করতো না ঈসা (আঃ) কোন পুরুষের ্ওরাস জান সন্তান ছিলেন না। তাদের এসকল কারনে আল্লাহ পাক তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। এবং তাদের স্থানে নতুন জাতি হিসাবে মুসলিমকে বসিয়েছেন এবং ইসলামই হলো আল্লাহর একমাত্র মনোনিত দীন। তিনি অন্যকোন ধর্মকে মনোনিত করেননি। কারন প্রত্যেক জাতির উপর প্রেরীত ধর্ম বিকৃত করে উক্ত জাতি চরম পথভ্রষ্টতার পরিচয় দেয়। একমাত্র আল কোরআনের মধ্যেই আল্লাহর বানী আছে যে "একমাত্র ইসলামকেই আমি মনোনিত দ্বীন হিসাবে ধার্য করলাম" অন্যকোন ধর্মের অনুসারীরা এমন বানী তাদের ধর্মগ্রন্থ থেকে দেখাতে পারবে না।

যে ইয়াহুদীরা তাদের নিজেদের কাছে প্রেরীত নবীকে ইজ্জত করে না তাদের কাছে আমরা কিভাবে আশা করব যে হযরত মুহম্মাদ (সাঃ), স্যাইয়াদুল মুরসালিন এবং খতুমন্নবীকে ইজ্জত করবে? আমরা মুসলিমরা ইচ্ছা করলে তাদের নবীর বিরূদ্ধে সিনেমা তৈরী করতে পারতাম যেহেতু তারা ঈসা (আঃ) মায়ের বিরুদ্ধে অসতির অভিযোগ এনেছিলেন। কিন্তু না! আমরা মুসলমান, আমাদের ধর্মগ্রন্থেই একমাত্র হযরত ঈসা (আঃ) এবং তাঁর মাতাকে সর্বাধিক মর্যাদার আসনে বসিয়েছে। হযরত ঈসা (আঃ) আমাদের নবী, হযরত মূসা (আঃ) আমাদের নবী, আমরা আমাদের নবীর অপমান কিছুতেই সইতে পারি না।

ইয়াহুদীরা মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসে এতোটুকু ঘুন ধরাতে পারবে না এসব ছবি নির্মান করে। আরে ছবির প্রযোজক হলেন একজন পর্ণো নির্মাতা, আমরা একজন পর্ণো নির্মাতার কাছে আমাদের রাসূল (সাঃ) ইজ্জত কিভাবে পাব? আমাদের নবী ছিলেন একজন শ্রেষ্ঠ মানব, শ্রেষ্ঠ ব্যাবসায়ী, শ্রেষ্ঠ স্বামী, শ্রেষ্ঠ পিতা, আলোর দিশারী, সকল জাতির জন্য রহমত। তাঁর জীবনী পড়লে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে তিনি হলেন আল্লাহ প্রদত্ত এক মহা অনুগ্রহ আমাদের জন্য।

মুসলিমরা বিভিন্ন দলে দলে বিভক্ত হয়ে গেলেও নবী (সাঃ) কে বা ইসলামকে নিয়ে কেউ ব্যাঙ্গ করলে পৃথিবীর সকল মুসলিমযে এক হয়ে যায় তার প্রমান বহু বার ইয়াহুদীরা পেয়েছে। এজন্য তারা শংকিত ইসলাম নিয়ে, ইসলামের অনুসারীদের নিয়ে। তারা চায় আমারা মুসলিমরাও যেন আমাদের নবীর মূর্তি বানিয়ে পূজা করি, আল্লাহ ছেড়ে নবীকে আল্লাহর পূত্র মনে করি (নাউযুবিল্লাহ), আমরাও যেন ট্রিনিটিতে বিশ্বাস করি। হযরত মুহম্মাদ (সাঃ) কে নিয়ে এপর্যন্ত যতো গুলো বই প্রকাশিত হয়েছে তা হয়তো অন্যকোন নবী বা রাসূলকে নিয়ে হয় নাই। এতে করে কেউ কি ইসলাম থেকে সরে গেছে? বরং ইসলামের প্রতি আমাদের ভালোবাসা এবং বিশ্বাস আরো বেড়ে গেছে। পশ্চিমারা আজ শংকিত কারন তাদের অনুসারীরা আজ পঙ্গপালের মতো ইসলাম গ্রহণ করছে। তাদের ভয় অস্তিত্ব নিয়ে। তাদেরকে আল্লাহ পাক জ্ঞান বিজ্ঞানে সবার উপরে রেখেছে যার দরুন তারা এই দুনিয়ায় মজা লুটতে পারে।

আমরা মুসলমানরা কোই নিরাপরাধ ইয়াহুদীকে হত্যা করতে চাই না। যারা লিবিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সহ অন্যান্য নিরাপরাধ আমেরিকার নাগরিককে হত্যা করেছে তার তীব্র নিন্দা জানাই। পশ্চিমারা এতো বড় ঘটনার পরেও সিনেমাকে ব্যান বা পরিচালককে গ্রেফতার করে না কারন তারা মানবতা বিরোধী কর্মকান্ডে যেতে চায় না। এটা তাদের আইনের খেলাফ অথচ লাদেনের পক্ষে আমেরিকার এক সৈন্য সত্য ঘটনা সহ বই প্রকাশ করলে তাকে গ্রেফতার করতে ওবামা সরকার বিন্দুমাত্র পিছপা হয়নি। এই হলো মুনাফেক যারা মুখে এক কথা বলে আর কাজে কর্মে অন্য কিছু প্রকাশ করে।

দুনিয়ার মুসলিম এক হও। তাবেদারী শক্তির বিরুদ্ধে বজ্র কন্ঠে আওয়াজ তুলো। আল্লাহু আকবার।
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×