* বিমান চলছে। হঠাৎ করে হুড়মুড় করে এক পেসেঞ্জার প্লেনের চালকের ঘরে ঢুকে পড়লো। চালকতো অবাক। চালককে আরোও অবাক করে দিয়ে লোকটা চালকের হেডফোনটাকে ছিনিয়ে নিল।
তারপর লোকটা বলল, "হারামজাদা! টাকা দেব আমরা আর তুমি এইখানে বইসা কানে হেডফোন লাগাইয়া গান শুনবা না?
* রেলগাড়ির কামরায় উঠল এক বাংলাদেশি। তার সঙ্গে বিশাল বোঝা। বোঝাটা ওঠানোর দরকার ওপরের তাকে।
কিন্তু তার গায়ে জোর কম, সে কিছুতেই নিজের ঘাড়ের ওপর বোঝাটা তুলতে পারছে না।
এগিয়ে এল এক পাকিস্তানি। বোঝাটা এক ঝটকায় তুলে দিল তাকের ওপর।
তারপর বাংলাদেশিকে বলল, ‘রুটি খাও, গায়ে জোর হবে।’
বাংলাদেশি খানিক পর রেলগাড়ির চেইন টানার চেষ্টা করতে লাগল।
কিন্তু তার ভাবখানা এমন, কিছুতেই সে চেইন টেনে জুত করতে পারছে না।
তার সাহায্যে এগিয়ে এল পাকিস্তানিটি। চলন্ত ট্রেনের চেইনটা টেনে দিল সে এবং আবারও বলল, ‘রুটি খাও, গায়ে বল হবে।’
ততক্ষণে রেলপুলিশ এসে হাজির। ‘কে চেইন টেনেছে? দাও, ২০০ টাকা জরিমানা।’
বেচারা পাকিস্তানি অর্থদণ্ড দিতে বাধ্য হলো। তখন বাংলাদেশি বলল,
‘ভাত খাও, বুদ্ধি হবে।
* স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাক্ বিতন্ডা হওয়ার পর এক বন্ধু এসেছে আরেক বন্ধুর কাছে।
প্রথম বন্ধুঃ দোস্ত বড্ড একটা ঝালেমার মধ্যে আছি।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ কেন দোস্ত, তোর আবার কি হলো? মাত্র কয়দিন আগেই তো বিয়ে করলি। এর মধ্যে আবার কি ঝামেলা হলো?
প্রথম বন্ধুঃ সারাদিন অফিস করে বাসায় ফেরা মাত্রই সে এসে শুধু টাকা টাকা করে। প্রত্যেকটা দিনই এক অবস্থা। আর পারি না দোস্ত।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ তা তোর বউ এত টাকা দিয়ে করেটা কি?
প্রথম বন্ধুঃ সে কি করে, কেমনে বলবো? আমি কি ওকে কখনও টাকা দিয়েছি নাকি?
* এক গাঁয়ের এক চোর একটা সাইকেল চুরি করে বাজারে নিয়ে গেল বিক্রি করতে। এক টাউট লোক এসে সাইকেলটা দরদাম করল কিছুক্ষণ।
তারপর ‘দেখি তোমার সাইকেলটা কেমন চলে’ বলে সাইকেলে চড়ে প্যাডেল মেরে একেবারে হাওয়া।
শুকনো মুখে বাড়ি ফিরছিল চোর। গাঁয়ের যারা তাকে সাইকেল বিক্রি করতে নিয়ে যেতে দেখেছিল তারা জানতে চাইল, কি, সাইকেল বিক্রি করে কত লাভ হলো?
চোর বলল, লাভ হয়নি; যে দরে কিনেছিলাম সেই দরেই বেচেছি।
* রেলওয়েতে চাকরির ইন্টারভিউ হচ্ছে। একটি চটপটে ছেলেকে সবার পছন্দ হল। চেয়ারম্যান একটু বাজিয়ে নিতে চাইলেন।
:ধর একটা দ্রুতগামী ট্রেন আসছে। হঠাৎ দেখলে লাইন ভাঙা। ট্রেনটা থামানো দরকার। তখন তুমি কি করবে?
: লাল নিশান ওড়াবো।
: যদি রাত হয়?
: লাল আলো দেখাবো।
: লাল আলো যদি না থাকে?
: তাহলে আমার ছোট বোনকে ডাকবো।
: বোনকে কেন ডাকবে? বোন এসে কি করবে?
: কিছু করবে না। ওর অনেক দিনের শখ একটা ট্রেন অ্যাক্সিডেন্ট দেখার।
* এক গরিব লোকের ঘরে চোর এসে আতিপাতি করে খুঁজে, নিয়ে যাওয়ার মতো কিছুই পেল না। হতাশ হয়ে চোর যখন চলে যাচ্ছে-
লোক : (শুয়ে শুয়ে) দরজাটা বন্ধ করে যেও।
চোর : (দীর্ঘশ্বাস ফেলে) দরজা খোলা থাকলেও সমস্যা নেই। আপনার ঘরে কেউ ঢুকবে না।
* এক লোক একটি পুরানো জিনিসের দোকানে (এন্টিক শপ) গিয়েছে কিছু কিনতে। একটা পাথরের মূর্তি তার নজরে পড়ল যেখানে একজন যোদ্ধা একটা ঘোড়ার উপর বসে আছে। কিন্তু মূর্তিটা অনেক পুরানো, তাই এর অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। হাতের তলোয়ারটা আধা ভাঙ্গা, যোদ্ধার নাকটা পর্যন্ত কিছুটা ভেঙ্গে গেছে। মাথায় পড়া হেলমেটের অবস্থাও খারাপ। মূর্তির উপর এক জায়গায় খোদায় করে লেখা ‘বিজয়ী‘ ।
তাই দেখে লোকটা আতকে উঠলো, হায় হায়, এই যদি হয় বিজয়ীর অবস্থা তাহলে পরাজয়ীর না জানি কি অবস্থা!
* শিক্ষকঃ রফিক এবারো কিন্তু কাসে ফার্স্ট হওয়া চাই।
রফিকঃ দোয়া করবেন স্যার, আরেকটা কথা, প্রশ্নপত্র বাবার প্রেসেই দিচ্ছেন তো স্যার এবারো?
শিক্ষকঃ সে কি! তোমার বাবা তোমাকে প্রশ্ন পত্র দেখান নাকি?
রফিকঃ না না স্যার, তবে বাবার চোখের সমস্যার কারনে প্রুফটা দেখে দেই কিনা!
* শিক্ষকঃ এই ছেলে, তুমি কখন থেকে ঘুমাচ্ছো?
ছাত্রঃ স্যার, সুলতানী আমল থেকে।
শিক্ষকঃ আমার সঙ্গে ফাইজলামি!
ছাত্রঃ না সত্যি! আপনি যখন সুলতানী আমল পড়াচ্ছিলেন তখন থেকেই।
* এক লোক দোকান থেকে রেজার কিনে বাসায় গিয়ে সেভ করতে গিয়ে দেখে রেজারটা ভাল কাজ করছে না।
লোকটা দোকানদারের কাছে গিয়ে অভিযোগ করলো- ভাই আপনি আমাকে কী একটা রেজার দিলেন যা ভাল নয়, এইটা দিয়ে তো দাড়ি/গোফ কাটা যায় না।
দোকানদারঃ আপনি কী বলছেন ভাই, আপনাকে রেজারটা দেওয়ার আগে আমি ৩ বার দাড়ি সেভ করে দেখেছি ‘এটা তো চমৎকার কাজ করে।‘ আর এখন আপনি বলছেন রেজারটা ভাল নয়, এটা কি বিশ্বাস করা যায় না!
* তেলের দোকানে ইনকামটেক্সর লোক রেইড দিতে পারে এমন আশংকায় এক তেল ব্যবসায়ী তার কর্মচারীকে ডেকে বলল– ৩০ টিন তেল মাটির নীচে লুকিয়ে রাখতে ।
২ ঘন্টা পরে কর্মচারী এসে তেল ব্যবসায়ীকে বলল, স্যার ! ৩০ টিন তেল তো মাটির নীচে লুকিয়ে ফলেছি, এখন তেলের খালি টিনগুলো কোথায় রাখবো!!!!!
* ছোট ছেলে দৌড়ে বাসায় গিয়ে তার মাকে বলল, মা- আজ কী ঈদ?
মা :- কেন আজ ঈদ হবে?
ছোট ছেলেটি :- তাহলে আব্বু আর ছোট খালা যে ছাদে কোলাকুলি করছে??
* এক লোক হোটেলের সাইনবোর্ড দেখে খুব খুশি হয়ে ইচ্ছেমতো খেলেন।
ওয়েটারঃ স্যার, আপনার বিল ৫০০ টাকা।
লোকটাঃ কী বলছেন ভাই? আমার বিল? কিন্তু আপনাদের সাইনবোর্ডে যে লেখা, ‘আপনি যা খাবেন আপনার নাতি তা শোধ করবে।’
ওয়েটারঃ সেটা না হয় না দিন। কিন্তু এই ৫০০ টাকা দিন। এটা আপনার নানা খেয়ে গেছেন।
* রাজাঃ ধরো, আমি যদি স্থান পরিবর্তন করি। তুমি বসবে আমার ওই সিংহাসনে আর আমি বসব তোমার জায়গায়।
মন্ত্রীঃ না মহারাজ, সেটা সম্ভব নয়।
রাজাঃ কেন? তোমার কি রাজা সাজতে লজ্জা হয়?
মন্ত্রীঃ না, রাজা হতে লজ্জা হবে না, কিন্তু লজ্জা পাব আপনার মতো একটা নির্বোধকে আমার মন্ত্রী হতে দেখে!
* এক লোক একটি পুরানো জিনিসের দোকানে (এন্টিক শপ) গিয়েছে কিছু কিনতে। একটা পাথরের মূর্তি তার নজরে পড়ল যেখানে একজন যোদ্ধা একটা ঘোড়ার উপর বসে আছে। কিন্তু মূর্তিটা অনেক পুরানো, তাই এর অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। হাতের তলোয়ারটা আধা ভাঙ্গা, যোদ্ধার নাকটা পর্যন্ত কিছুটা ভেঙ্গে গেছে। মাথায় পড়া হেলমেটের অবস্থাও খারাপ। মূর্তির উপর এক জায়গায় খোদাই করে লেখা "বিজয়ী" ।
তাই দেখে লোকটা আতকে উঠে বলল, "হায় হায়! এই যদি হয় বিজয়ীর অবস্থা তাহলে পরাজয়ীর অবস্থা না জানি কি?"