এই লেখায় দেখাতে চাই যে ক্যাশ লেস ব্যবস্থায় কালো টাকা কিভাবে আরো বৃদ্ধি পেতে পারে | আগে দেখব কিভাবে কালো টাকা বিদেশে পাচার করা যায় |
বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থা বা শেল কোম্পানি তৈরী করে টাকা দেশের বাইরে পাচার করার দীর্ঘদিনের রেওয়াজ | এই ব্যবস্থাকে বলে লেয়ারিং | ধরুন আপনার কালো টাকা আছে | আপনি সেটাকে সাদা করতে চান | আপনি দুটো ভুয়ো কোম্পানি খুললেন : একটা ভারতে একটা বিদেশে | বিদেশী কোম্পানির কাছ থেকে ভারতীয় কোম্পানি মেশিনপত্তর কিনলো | মূল্য ধরুন ১০ লক্ষ টাকা | এইভাবেই ১০ লক্ষ টাকা বিদেশে চলে গেল | এইবার ওই টাকা সুইস ব্যাঙ্ক-এ যাবে না কোন চুলোয় যাবে সেটা এখানে আলোচনা হচ্ছে না | যেটা আলোচ্য সেটা হলো কিভাবে ওই টাকা যাবে ? হার্ড ক্যাশ না ক্যাশ লেস (চেক , মানি ট্রান্সফার না অনলাইন ) ? এখন হার্ড ক্যাশ-এ ওই টাকা পাঠাতে গেলে এয়ার পোর্ট-এই তো তা ধরা পড়ে যেতে পারে | তাহলে নিশ্চয় ক্যাশ লেস পদ্ধতিতে ওগুলো পাঠানো হয় | তাহলে ক্যাশ লেস সমাজ গড়ে কালো টাকার বহির্গমন কিভাবে ঠেকানো যাবে ?
এই প্রসঙ্গে বলা ভালো যে আদানির বিরুদ্ধে কালো টাকার মামলা চলছিল যেটা মোদিজি বন্ধ করেছেন | বাবা রামদেবকে যে দ্বীপটি উপহার দেয়া হয়েছিল সেটার তদন্ত চলছিল , সেটাও মোদিজি বন্ধ করেছেন | কালো টাকার উত্স কালো বাজার মোদিজি বন্ধ করলেন না | বরং ক্যাশ লেস পদ্ধতিতে আরো সহজে ছোটখাট কালোবাজারিরাও তাদের টাকা বাইরে পাঠাতে পারবে, সেই ব্যবস্থা করে দিলেন | তাহলে নিশ্চয় মোদিজি কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়ছেন না |
জাল টাকার প্রসঙ্গে বলা ভালো যে খাগরাগরে জাল টাকা পাওয়া গেছলো | এন আই একে মোদিজি খাগরাগর তদন্ত থেকে সরিয়ে আনলেন | কেন ? ২০০০ টাকার নোট তো শুনি এর মধ্যেই জাল হয়ে গেছে | তাহলে জাল নোটের বিরুদ্ধেও নিশ্চয় মোদিজি লড়ছেন না | তাহলে কার বিরুদ্ধে লড়ছেন ?
মোদিজিই জানেন |
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৯