কে এই শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক?
১৯৭১ সালে এই মানিক লন্ডনে বার-এট-ল পড়ার সময় স্বাধীন বাংলাদেশ ক্যাম্পেনের সাথে যুক্ত ছিলেন। সে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শাক্তি- কেনো সন্দেহ নাই। এরপরে দেশে ফিরে হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন...। আওয়ামী আইনজীবি হিসাবে বিভিন্ন যায়গায় চুঙ্গা ফুকেন। আনুগত্যের ফসল হিসাবে ২০০১ সালে শেখ হাসিনা তাকে নিয়োগ দেন হাইকোর্টের বিচারক হিসাবে। ২০০১ অক্টোবরে বিএনপি সরকারে এলে এই বিতর্কিত ব্যক্তিকে আর কনফর্ম করে নি। ২০০৯ সালে হাসিনা ক্ষমতায় এসে আবার তাকে হাইকোর্টে পুর্নবহাল করেন সিনিয়রিটি সহ। কিন্তু মানিক বিচারপতির শপথের কথা ভুলে গিয়ে আ’লীগের মানিকই থেকে যান। প্রমান হলো এটাঃ
“বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী লন্ডনে বেড়াতে যান ২০১০ সালের মার্চে। সেখানে ১ এপ্রিল রাতে পূর্ব লন্ডনের ডকল্যান্ড মেমসাব রেস্টুরেন্টে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, আওয়ামী লীগ নেতা এবং আওয়ামী ঘরানার আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। শুধু তাই নয়, একটি আলোচনা সভায়ও যোগদান করেন। আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান মিনারের সভাপতিত্বে ব্যানার টাঙিয়ে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় বাংলাদেশ পরিস্থিতি, রাজনৈতিক প্রসঙ্গ, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ নানা প্রসঙ্গ স্থান পায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংবাদিক গাফফার চৌধুরী, মুখ্য আলোচক ছিলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি ছিলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবীর।”
এই লোক এই প্রোফাইল নিয়া কি বিচার করেবে তা আপনারাই বলুন?
তবে একটা আশার কথা হলো, মানিকরা পথ দেখিয়ে দিলেন- কিভাবে এক মামলায় অপ্রাসঙ্গিকভাবে অন্য বিষয়ে রায় দিতে পারে। যেমন মুন সিনেমার মালিকানা সংক্রান্ত মামলায় খায়রুল রায় দিলেন ৫ম সংশোধনী বাতিল। এ যেনো ”পরীক্ষায় এসেছে গরু রচনা। ছাত্র পড়ে এসে নদী রচনা। বুদ্ধিমান ছাত্র কি আর করে। গরুটাকে হাটাতে হাটাতে নদীর পাড়ে এনে ঝেড়ে দিলো নদীর পুরা রচনা।” এই বুদ্ধিমান(!) ছাত্রের মত যেকোনো মামলায় চাহিদামত রায় দেয়া সম্ভব। ভবিষ্যতে এ সরকার বদলালে আবার অন্য যেকোনো মামলায় এখনকার বিতর্কিত সব রায় পাল্টে যাবে- কোনো সন্দেহ নাই।