somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সন্তান প্রতিপালনের নিয়ম-কানুন

০৩ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১. সন্তানকে আল্লাহ তাআলার পুরস্কার মনে করবে, তাদের জন্মে আনন্দ প্রকাশ করবে। একে অন্যকে ধন্যবাদ জানাবে। উত্তম দোআসহ অভ্যর্থনা জানাবে এবং আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করবে যে, তিনি তোমাকে তাঁর (আল্লাহর) এক বান্দাহকে লালন-পালনের সৌভাগ্য দান করেছেন। আর তোমাকে এ সুযোগ দান করেছেন যে, তুমি তোমার পেছনে দীন ও দুনিয়ায় একজন স্থলাভিষিক্ত রেখে যেতে পারছো।

২. তোমার যদি কোন সন্তান না থাকে তা হলে হযরত যাকারিয়া (আঃ) যেমন সুসন্তান লাভের জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করেছিলেন তুমি তদ্রূপ আল্লাহর নিকট সু-সন্তান লাভের জন্য প্রার্থনা কর।

তিনি দোআ করেছিলেন-

“হে, আমার প্রতিপালক! আপনি আপনার নিকট থেকে একটি পূত-পবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি দোআ শ্রবণকারী”।

(সূরা মরিয়ম)

৩. সন্তানের জন্মগ্রহণে কখনো মনে কষ্ট পাবে না। জীবিকার কষ্ট অথবা স্বাস্থ্যের অবনতি অথবা অন্য কোন কারণে সন্তানের জন্ম গ্রহণে দুঃখিত হওয়া অথবা তাকে একটি বিপদ ধারণা করা থেকে বিরত থাকবে।

৪. সন্তানকে কখনো নষ্ট করবে না, জন্মগ্রহণের পূর্বে অথবা জন্ম গ্রহণের পরে সন্তান নষ্ট করা নিকৃষ্টতম পাষণ্ডতা, ভয়ানক এবং অত্যন্ত আমর্জনীয় অপরাধ, কাপুরুষতা দুনিয়া ও আখিরাতের ধ্বংস ডেকে আনে।

পবিত্র কালামে পাকে রয়েছে-

“যারা নির্বুদ্ধিতা ও অজ্ঞতার কাণে সন্তান হত্যা করলো তারা নিশ্চিত ক্ষতিগ্রস্থ হলো”।

আল্লাহ তাআলা মানবিক অদূরদর্শিতার জবাব দিয়ে পরিষ্কারভাবে নিষেধ করেছেন যে, নিজ সন্তানকে হত্যা কর না।

“তোমরা তোমাদের সন্তানকে অভাব-অনটনের ভয়ে হত্যা কর না, আমিই তাদেরকে রিযিক (জীবিকা) দান করবো আর তোমাদেরকেও আমিই রিযিক দিচ্ছি, নিশ্চিত তাদের হত্যা করা জঘণ্য অপরাধ।

(সূরা বনী ইসরাইল)

“একবার এক সাহাবী জিজ্ঞেস করলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সর্বাধিক বড় গুনাহ কি? আল্লাহর রাসূল বলেলেন , শিরক! অর্থাৎ আল্লাহর সাথে কাউকে অংশীদার করা। জিজ্ঞেস করা হলো, এর পর কি? তিনি বললেন, মাতা-পিতার নাফরমানী (অবাধ্যতা), আবার জিজ্ঞেস করা হলো, এর পর? তিনি বললেন, তোমাদের সাথে খাদ্যে ভাগ বসাবে এ ভয়ে সন্তানদেরকে হত্যা করা।

৫. প্রসবকালে প্রসবকারিণী মহিলার নিকট বসে আয়াতুল কুরসী ও সুরায়ে আ’রাফের ৫৪ ও ৫৫ নং আয়াত দুটি তেলাওয়াত করবে এবং সূরায়ে ফালাক ও সূরায়ে নাস পাঠ করে ফুঁক দেবে।

৬. জন্ম গ্রহণের পর গোসল দিয়ে পরিষ্কার করে ডান কানে আযান ও বাম কানে ইক্বমত দেবে। হযরত হোসাইন (রাঃ) যখন জন্মগ্রহণ করেন তখন রাসূল (সাঃ) তার কানে আযান ও ইক্বামত দিয়েছিলেন।

(তিবরানী)

রাসুল (সাঃ) বলেছেন যে, যার ঘরে সন্তান জন্মগ্রহণ করলো আর সে তার ডান কানে আযান ও বাম কানে ইক্বামত দিলো, সে বাচ্চা মৃগী রোগ থেকে নিরাপদ থাকবে।

(আবু ইয়া’লা ইবনে সুন্নী)

জন্মগ্রহণের সাথে সাথে সন্তানের কানে আল্লাহ ও তার রাসূলের নাম পৌঁছিয়ে দেয়ার মধ্যে বড় ধরনের রহস্য রয়েছে, আল্লামা ইবনে কাইউম তার ‘তোহফাতুল ওয়াদুদ’ নামক গ্রন্থে বলেনঃ

ইহার উদ্দেশ্য হলো মানুষের কানে সর্বপ্রথম আল্লাহর মহত্ব ও শ্যেষ্ঠত্বের আওয়াজ পৌঁছুক। যে শাহাদাতকে সে বুদ্ধি অনুযায়ী আদায় করে ইসলামের গণ্ডিতে প্রবেশ করবে তার শিক্ষা জন্মগ্রহণের দিন থেকেই শুরু করা যাক। যেমন মৃত্যুর সময়ও কালেমায়ে তাওহীদের তালক্বীন করা হয়। আযান ও ইক্বামতের দ্বীতিয় উপকার এই যে, শয়তান গোপনে ওঁৎ পেতে বসে আছে যে, সন্তান জন্মগ্রহণের পরই তাকে শয়তানের দাওয়াতের আগেই ইসলাম বা ইবাদতে এলাহীর দাওয়াত তার কানে পৌঁছিয়ে দেয়া হয়।

৭. আযান ও ইক্বামতের পর কোন নেককার পুরুষ অথবা মেয়েলোকের দ্বারা খেজুর চিবিয়ে সন্তানের মাথার তালুতে লাগিয়ে দেবে এবং সন্তানের জন্যে পূর্ণ প্রাচুর্যের (বরকতের) দোআ করাবে।

হযরত আসমা (রাঃ) বলেছেন, আবদুল্লাহ বিন যোবাইর জন্মগ্রহণ করলে আমি রাসূল (সাঃ)-এর কোলে দিলাম। তিনি খোরমা আনিয়ে তা চিবিয়ে বরকতময় থু থু আবদুল্লাহ বিন যোবইয়েরের মুখে লাগিয়ে দিলেন এবং খোরমা তার মাথার তালুতে মালিশ করে খায়ের বরকতের দোআ করলেন।

হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা (রাঃ) থেকৈ বর্ণিত, সদ্য প্রসূত বাচ্চাদরকে রাসূল (সাঃ)-এর নিকট নিয়ে আসা হতো। তিনি ‘তাহনীক’1 করতেন এবং তাদের জন্য খায়ের ও বরকতের দোআ করতেন।

(মুসলিম)

হযরত আহমাদ বিন হাম্বলের স্ত্রী সন্তান প্রসব করলে তিনি ঘরে রাখা মক্কার খেজুর আনলেন এবং উম্মে আলী (রহঃ) নামাযী একজন মহিলার নিকট তাহনীকের জন্য আবেদন করলেন।

৮. বাচ্চার জন্য উত্তম নাম নির্বাচন করবে, যা হবে কোন নবীর নাম অথবা আল্লাহর নামের পূর্বে ‘আবদ’ শব্দের সংযোগে যেমনঃ-আব্দুল্লাহ আবদুর রহমান ইত্যাদি।

রাসুল (সাঃ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে স্ব-স্ব নামে ডাকা হবে সুতরাং উত্তম নাম রাখো।

রাসূল (সাঃ) আরো বলেছেন যে, আল্লাহর নিকট তোমাদের নামসমূহ থেকে আবদুল্লাহ আব্দুর রহমান নাম বেশী পছন্দনীয়। তিনি আরো বলেছেন যে, তোমরা নবীদের নামে নাম রাখো।

বুখারী শরীফে আছে, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে তোমরা আমার নামে নাম রাখ, আমার উপনামে নয়।

৯. অজ্ঞতাবশতঃ কখনো যদি ভূল নাম রেখে দেয়া হয় তাহলে তা পরিবর্তন করে ভাল নাম রাখবে। রাসূল (সাঃ) ভুল নাম পরিবর্তন করে দিতেন্ হযরত ওমর (রাঃ) এর এক কন্যার নাম ‘আছিয়া’ ছিল, তিনি উহাকে পরিবর্তন করে ‘জামিলা রাখলেন’।

(মুসলিম)

হযরত যয়নব (রাঃ) এর (হযরত আবু সালমা (রাঃ) এর কন্যার)নাম ছিল ‘বাররাহ’। বাররাহ শব্দের অর্থ হল পবিত্রতা, রাসূল (সাঃ) ইহা শুনে বললেন, নিজেই নিজের পবিত্রতার বাহাদুরী করছো? সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন তাহলে কি নাম রাখা যায়? তিনি বললেন, তার নাম রাখ ‘যয়নাব’

(আবু দাউদ)

১০. সপ্তম দিন আকীকা করবে। ছেলের পক্ষ থেকে ২টি ছাগল এবং মেয়ের পক্ষ থেকে ১টি ছাগল দেবে। তবে ছেলের পক্ষ থেকে ২টি ছাগল জরুরী নয়, ১টি ছাগলও দেয়া যেতে পারে। শিশুর মাথা মুণ্ডন করিয়ে চুল সমান স্বর্ণ অথবা রূপা দান করবে।

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “সপ্তম দিন শিশুর নাম ঠিক করবে এবং তার চুল মুণ্ডন করিয়ে তার পক্ষ থেকে আকীকা করবে”।

(তিরমিযি)

১১. সপ্তম দিনে খাতনাো করিয়ে দেবে। কোন কারণবশতঃ না পারলে ৭ বৎসর বয়সের মধ্যে অবশ্যই করিয়ে ফেলবে। খাতনা ইসলামী রীতি।

১২. শিশু যখন কথা বলতে আরম্ভ করে তখন তাকে কালেমায়ে “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু” শিক্ষা দাও। তারপর কখন মরবে সে চিন্তা করা না, যখন দুধের দাঁত পড়ে যাবে তখন নামায পড়ার নির্দেশ দাও।

হাদীসে ইহাও উল্লেখ আছে যে, হুযুর (সাঃ)-এর পরিবারের শিশু যখন কথা বলা আরম্ভ করতো তখন তিনি তাকে সূরা আল-ফুরকানের দ্বিতীয় আয়াত শিক্ষা দিতেন, যাতে তাওহীদের পূর্ণ শিক্ষাকে একত্রিত করা হয়েছে।

১৩. শিশুকে নিজের দুধ পান করানো মায়ের ওপর শিশুর অধিকার। পবিত্র কুরআনে সন্তান-সন্ততিকে মায়ের এ উপকারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মায়ের সাথে সদ্ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন। মায়ের কর্তব্য হলো, সে দুধের প্রতিটি ফোঁটার সাথে তাওহীদের পাঠ, রাসূলের প্রেম এবং দীনের ভালবাসাও পান করাবে এবং তার মন ও প্রাণে স্থায়ী করার চেষ্টা করবে। লালন-পালনের দায়িত্ব পিতার ওপর দিয়ে নিজের বোঝা হাল্কা করবে না বরং এ আনন্দময় দীনি কর্তব্য নিজে সম্পাদন করে আধ্যাত্মিক শান্তি ও আনন্দ অনুভব করবে।

১৪. শিশুকে ভয় দেখানো ঠিক নয়। শিশুকালের এ ভয় সারাজীবন তার মন ও মস্তিষ্কে ছেয়ে থাকে আর এরূপ শিশুরা সাধারণতঃ জীবনে কোন বীরত্ব প্রদর্শন করতে পারে না।

১৫. সন্তানদের কথায় কথায় তিরস্কার করা, ধমক দেয়া ও মন্দ বলা থেকে বিরত থাকবে এবং তাদের ত্রুটিসমূহের কারণে অসন্তুষ্টি ও ঘৃণা প্রকাশ করার স্থলে উত্তম পন্থায় ও হৃদয়ে আবেগ নিয়ে তার সংশোধনের চেষ্টা করবে। সর্বদা শিশুদের মনে এ ভয় জাগরুক রাখবে যেন, তারা শরীয়ত বিরোধী কোন কাজ না করে।

১৬. সন্তানদের সাথে সর্বদা দয়া, মায়া ও নম্রতাসুলভ ব্যবহার করবে। সাধ্যানুযায়ী তাদের প্রয়োজনসমূহ পূরণ করে তাদেরকে সন্তুষ্ট রাখতে চেষ্টা করবে এবং আল্লাহর আনুগত্য ও আদেশ পালনের আবেগে উদ্বুদ্ধ করব্

একবার হযরত মুআবিয়া (রাঃ)আহনাফ বিন কায়েস (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন, বলুন! সন্তানদের বেলায় কিরূপ ব্যবহার করা উচিত? তখন আহনাফ বিন কায়েস বললেনঃ

আমিরুল মুমেনীন! সন্তানগণ আমাদের অন্তরের ফসল, এবং কোমরের খুঁটি বা অবলম্বন, আমাদের মর্যাদা ও যোগ্যতা তাদের জন্য জমি সমতুল্য। যা অত্যন্ত নরম ও নির্দোয় এবং আমাদের অস্তিত্ব তাদের জন্য ছায়াদাত আকাশ সমতুল্য, আমরা তাদের দ্বারাই বড় বড় কাজ সমাধা করতে সাহস করি। তারা যদি আপনার নিকট কিছু দাবী করে তাহলে তা পূরণ করে দেবেন এবং তারা যদি অসন্তুষ্ট বা দুঃখিত হয় তাহলে তাদের অন্তরের দুঃখ দূর করে দেবেন। তারা আপনাকে ভালবাসবে, আপনার পিতৃসুলভ আচরণকে শ্রদ্ধা করবে। এরূপ ব্যবস্থা করবে না যার জন্য তারা আপনার প্রতি বিরক্ত হয়ে আপনার মৃত্যু কামনা করবে, আর আপনার নিকট থেকে পলায়ন করবে।

আহনাফ! আল্লাহর শপথ! আপনি যেসময় আমার নিকট এসে বসলেন, ঐ সময় তিনি ইয়াযীদের ওপর রাগে গম্ভীর হয়ে বসেছিলেন।

অতঃপর হযরত আহনাফ (রাঃ) চলে গেলে হযরত মুআবিয়া (রাঃ) এর রাগ পড়ে গেল এবং ইয়াযীদের ওপর সন্তুষ্ট হয়ে ইয়াযীদের নিকট দু’শত দিরহাম ও দু’শত জোড়া কাপড় পাঠিয়ে দিলেন। ইয়াযীদের নিকট যখন এ উপহার সামগ্রী পৌঁছালো তখন ইয়াযীদ এ উপহার সামগ্রীকে সমান দু’ভাগে ভাগ করে একশত দিরহাম ও একশত জোড়া (কাপড়) হযরত আহনাফ বিন কায়েস (রাঃ) এর জন্য পাঠিয়ে দিলেন।

১৭. ছোট শিশুদের মাথার ওপর স্নেহপূর্ণ হাত বুলাবে শিশুদেরকে কোলে নেবে, আদর করবে এবং তাদের সাথে সর্বদা হাসিমাখা ব্যবহার করবে। সর্বদা বদমেজাজ ও কঠোর হয়ে থাকবে না, আচরণ দ্বারা শিশুদের অন্তরে মাতা-পিতার জন্য ভালবাসার আবেগও সৃষ্টি হয়, তাদের আত্মবিশ্বাসও সৃষ্টি হয়, এবং তাদের স্বাভাবিক জীবনের প্রভাব পড়ে।

একদা হযরত আক্বরা বিন হারেস (রাঃ)রাসূল (সাঃ)-এর দরবারে আসলেন। হুযুর (সাঃ) ঐ সময় হযরত হাসান (রাঃ)-কে আদর করছিলেন। আক্বরা (রাঃ) দেখে আশ্চার্যান্বিত হয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আপনিও কি শিশুদেরকে আদর করেন? আমারতো দশ সন্তান আছে কিন্তু আমিতো তাদের কাউকে কোন সময় আদর করিনি। রাসূল (সাঃ) আক্বরা (রাঃ)-এর দিকে চেয়ে বললেন, আল্লাহ যদি তোমার অন্তর থেকে দয়া ও স্নেহ দূর করে দিয়ে থাকেন তাহলে আমি কি করতে পারি?

ফারুকে আযম (হযরত ওমর) (রাঃ) এর খেলাফত আমলে হযরত আমের (রাঃ) বিশেষ একটি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। একবার হযরত ওমর (রাঃ) এর সাথে সাক্ষাত করার জন্য তাঁর কাছে গিয়ে দেখতে পেলেন যে, হযরত ওমর (রাঃ) বিছানায় শুয়ে আছেন আর একটি শিশু তার বুকে চড়ে খেলা করছে-

হযরত আমেরের নিকট এ ঘটনা পছন্দ হলো না। আমিরুল মুমেনীন তার কপাল উঠা নামার অবস্থা দেখে তার অপছন্দের ব্যাপার বুঝে ফেললেন এবং হযরত আমের (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, বলুন, আপনার নিজের সন্তানদের সাথে আপনার কিরূপ ব্যবহার হয়ে থাকে।

হযরত আমের (রাঃ) বললেন, আমিরুল মুমিনীন! আমি যখন ঘরে প্রবেশ করি পরিবারের লোকজন নীরব হয়ে যায়। সকলে নিজ নিজ স্থানে শ্বাসবন্ধ করে চুপ হয়ে থাকে। হযরত ওমর (রাঃ) অত্যন্ত আক্ষেপের সাথে বললেন,

আমের! আপনি উম্মতে মুহাম্মদী (সাঃ)-এর সন্তান হওয়া সত্ত্বেও আপনি এটা জানেন না যে, একজন মুসলমানকে তার পরিবার-পরিজনের সাথে কিরূপ নম্রতা ও ভালবাসার আচরণ করা উচিত।

১৮. সন্তানদেরকে পবিত্র শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্যে নিজের সার্বিক চেষ্টা ওয়াকফ করে দেবে এবং এ পথে সবরকম ত্যাগ স্বীকার করতেও পিছু হঠবে না। এটা দীনি দায়িত্ব।

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, পিতা নিজের সন্তানদেরকে যা কিছু দিতে পারে তার মধ্যে সর্বোত্তম দান হলো সন্তানদেরকে উত্তম শিক্ষা দেওয়া।

(মিশকাত)

রাসূল (সাঃ) আরো বলেছেন যে, মানুষ মারা গেলে তার আমল শেষ হয়ে যায় কিন্তু তিনটি আমল এমন যার পুরস্কার ও সওয়াব মৃত্যুর পরও পেতে থাকে। (১) সদক্বায়ে জারিয়ার কাজকরে গেলে, (২) এমন ইলম যার দ্বারা লোকেরা তার মৃত্যুর পরও উপকৃত হয়, (৩) নেক সন্তান, যারা পিতার জন্যে দোআ করতে থাকে।

(মুসলিম)

প্রকৃতপক্ষে সন্তানরাই আপনার পর আপনার চারিত্রিক বর্ণনা, দীনি শিক্ষা ও তাওহীদের বার্তাকে জীবিত রাখার যথার্থ মাধ্যম আর মুমিন ব্যক্তি সন্তানের আকাংখা এ জন্যই করে যেনো সে তার পরে তার কর্মকাণ্ডকে টিকিয়ে রাখতে পারে।

১৯. শিশুদের বয়স যখন ৭ বৎসর হয় তখন তাদেরকে নামায পড়ার নিয়ম-কানুন শিক্ষা দেবে। নিজের সাথে মসজিদে নিয়ে গিয়ে উৎসাহ দান করবে আর তাদের বয়স যখন ১০ বছর হয়ে যাবে এবং নামাযে ত্রুটি করবে তখন দরকার হলে তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তিও দেবে। তাদের নিকট তোমার কথা ও কাজের দ্বারা প্রকাশ করে দেবে যে, নামাযের ত্রুটিকে তুমি সহ্য করবেনা।

২০. শিশুদের বয়স যখন ১০ বছর হবে, তখন তাদের বিছানা পৃথক করে দেবে এবং প্রত্যেককে পৃথক পৃথকভাবে শুতে দেবে।

রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ “তোমাদের সন্তানদের বয়স যখন ৭ বছর হয়ে যাবে তকন তাদেরকে নামায পড়ার শিক্ষা দাও আর তাদের বয়স যখন ১০ বছর হয় যাবে তকন তাদের নামাযের জন্য শাস্তি দাও। এ বয়স হওয়ার পর তাদের বিছানা পৃথক করে দাও”।

২১ শিশুদের সর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবে। তাদের পবিত্রতা, পরিচ্ছন্নতা ও গোসলের প্রতি দৃষ্টি রাখবে, কাপড় পরিষ্কার রাখবে, তবে অতিরিক্ত সাজ-সজ্জা ও লোক দেখানো প্রদর্শনী থেকে বিরত থাকবে।মেয়েদের কাপড়ও অত্যন্ত সাদাসিধে রাখবে এবং জাঁকজমকের পোশাক পরিদান করিয়ে শিশুদের মন মেজাজ নষ্ট করবে না।

২২.অপরের সামনে শিশুদের দোষ বর্ণনা করবে না। এবং কারো সামনে তাদের লজ্জা ও তাদের আত্মমর্যাদার আঘাত দেয়া থেকেও বিরত থাকবে।

২৩. শিশুদের সামনে কখনো শিশুদেরকে সংশোধনের বিষয়ে নৈরাশ্য প্রকাশ করবে না বরং তাদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য তাদের সাধারণ ভাল কাজেরও প্রাণ খুলে প্রশংসা করবে। তাদের সাহস বৃদ্ধি, আত্মবিশ্বাস ও উৎসাহ সৃষ্টির চেষ্টা করবে সে যেনো এ জীবনের কর্মক্ষেত্রে উচ্চতম স্থান লাভ করতে পারে।

২৪. নবীদের কাহিনী, নেককার লোকদের জীবনী এবং সাহাবায়ে কেরামের মুজাহিদ সুলভ ইতিহাস তাদেরকে শুনাতে থাকবে। প্রশিক্ষন ও সংস্কার, চরিত্র গঠন এবং দীনি আকর্ষণ সৃষ্টির জন্যে এটা অত্যন্ত জরুরী মনে করবে এবং হাজাো ব্যস্ততা সত্ত্বেও এর জন্যে সময় বের করে নেবে। সর্বাধিক ও অধিকাংশ সময় তাদেরকে সুন্দর স্বরে কুরআন শরীফ পাঠ করে শোনাবে ও সুযোগ মত রাসূল (সাঃ) এর প্রভাবশীল বাণীসমূহ শিক্ষা দেবে আর প্রাথমিক বয়স থেকেই তাদের অন্তরে রাসূল প্রেমের আবেগ সৃষ্টি করতে চেষ্টা করবে।

২৫. কখনো কখনো শিশুদের হাত দ্বারা গরীবদেরকে কিছু খাদ্য অথবা পয়সা ইত্যাদি দেওয়াবে যেনো তাদের মধ্রে গরীবদের সাথে সদ্ব্যবহার ও দান-খয়রাতের আকর্ষণ সৃষ্টি হয়। কখনো এ সুযোগও গ্রহণ করবে যে, তাদের হাতে বোন-ভাইদের মধ্যে খাদ্য ও পানীয় বন্টন করাবে যেনো তাদের মধ্যে অন্যের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা, অনুভূতি এবং ইনসাফের অভ্যাস সৃষ্টি হয়।

২৬. কর্কশ স্বরে কথা বলা ও গলা ফাটিয়ে চিৎকার ও চেঁচামেচি থেকে নিজেকে বিরত রাখবে এবং তাদেরকেও নির্দেশম দেবে যে, মধ্যম স্বরে ও নম্রতার সাথে কথাবর্তা বলবে এবং আপোষে একে অন্যের ওপর হৈ হুল্লোড় ও চেঁচামেচি পরিত্যাগ করবে।

২৭. শিশুরা নিজের কাজ নিজে করার অভ্যাস সৃষ্টি করবে। প্রত্যেক কাজেই চাকরের সাহায্য নেবে না, এর দ্বারা শিশুরা দুর্বল, অলস ও পঙ্গু হয়ে যায়। শিশুদেরকে উদ্যমশীল, পরিশ্রমী হিসেবে গঠন করবে।

২৮. শিশুদের মধ্যে পরস্পর বিবাদ বেঁধে গেলে অন্যায়ভাবে নিজের শিশুর প্রতি পক্ষপাতিত্ব করবে না, এ ধারণা রাখবে যে, তোমার শিশুর জন্য তোমার জন্যও করছে। তুমি সর্বদা তোমার শিশুর ত্রুটির প্রতি দৃষ্টি রাখবে এবং প্রত্যেক অপছন্দনীয় ঘটনায় নিজের শিশুর ভুল-ত্রুটি খোঁজ করে বিচক্ষণতা ও মনোযোগের সাথে তা সংশোধন করার আন্তরিক চেষ্টা করবে।

২৯. সন্তানদের সাথে সখ্যতাপূর্ণ ব্যবহার করবে এবং এ ব্যাপারে বিবেকবানের ভূমিকা পালন করবে। স্বাভাবিকভঅবে যদি কোন সন্তানের প্রতি অধিক মনোযোগ হয় তা ক্ষমাযোগ্য কিন্তু আচার ব্যবহারে লেন-দেনে সর্বদা ইনসাফ ও সমতার দৃষ্টি রাখবে এবং কখনো কোন এক সন্তানের প্রতি এরূপ এক পাক্ষিক ব্যবহার করবে না যা অন্যান্য সন্তানরা বুঝতে পারে।

একদা হযরত নোমান (রাঃ)-এর পিতা হযরত বশীর (রাঃ) নিজের ছেলেকে সাথে নিয়ে হুযুর (সাঃ)-এর সামনে হাযির হয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার নিকট একটি গোলাম ছিল, তাকে আমি আমার এ ছেলেকে দান করেছি। রাসূল (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি তোমার প্রত্যেক ছেলেকে এক একটি গোলাম দান করেছো? বশীর (রাঃ) বললেন, না। হুযুর (সাঃ) তখন বললেন, “এ গোলামটি তুমি ফেরৎ নিয়ে নাও”। আরও বললেন, আল্লাহকে ভয় করো এবং তোমার সন্তানদের সাথে সমান ও সমতার ব্যবহার করো। অতঃপর হযরত বশীর (রাঃ) ঘরে ফিরে এসে নোমন (রাঃ) থেকে নিজের দেয়া গোলাম ফেরৎ নিয়ে নিলেন। অন্য এক বর্ণনায় বলা হয়েছে যে তিনি বলেছেন, “তুমি আবার গুনাহের উপর আমাকে সাক্ষী কর না, আমি অত্যাচারের সাক্ষী হবো না। অন্য এক বর্ণনায় এরূপ আছে যে, হুযুর (সাঃ) জিজ্ঞাসা করেছেন, “তুমি কি ইহা চাও যে, তোমার সকল ছেলে তোমার সাথে সদ্ব্যবহার করুক”? হযরত বশীর (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কেন নয়? রাসূল (সাঃ) বললেন, “তা হলে এরূপ কাজ করো না”।

(বুখারী, মুসলিম)

৩০. শিশুদের সামনে সর্বদা উত্তম উদাহরণ পেশ করবে। তোমার চারিত্রিক গুণাবলী তোমার শিশুদের জন্য সার্বক্ষণিক শিক্ষক, যার থেকে শিশুরা সব সময় পড়তে ও শিখতে থাকে। শিশুদের সামনে কখনো ঠাট্টার ছলেও মিথ্যা বলবে না।

হযরত আবদুল্লাহ বিন আমের (রাঃ) নিজের এক কাহিনী বর্ণনা করলেন যে, একদা হুযুর (সাঃ) আমাদের ঘরে উপস্থিত ছিলেন, আমার মাতা আমাকে ডেকে বললেন, “এখানে এসো, আমি তোমাকে একটি জিনিস দেবো”। হুযুর (সাঃ) দেখে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি শিশুকে কি দিতে চেয়েছো?” আমার মা বললেন, “আমি তাকে খেজুর দিতে চেয়েছি”। তিনি আমার মাকে বললেন, “তুমি যদি দেয়ার ভান করে ডাকতে আর শিশু আসার পর কিছু না দিতে, তাহলে আমলনামায় এ মিথ্যা লিখে দেয়া হতো।

(আবু দাউদ)

৩১. কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করায় ঐরকম আনন্দ ও খুশী প্রকাশ করবে যেরূপ ছেলে জন্মগ্রহণের পর করা হয়। মেয়ে হোক অথবা ছেলে উভয়ই আল্লাহর দান। আর আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন বান্দার জন্যে মেয়ে ভাল না ছেলে ভাল। কন্যা সন্তানের জন্মগ্রহণে বিরক্তি প্রকাশ করা, মন ভাঙ্গা প্রকৃত মুমিনের পক্ষে কখনো শোভা পায় না। এটা না শোকরীও বটে এবং মহান জ্ঞানী ও মহান দাতা আল্লাহর মর্যাদা হানিও বটে।

হাদীসে আছে যে, “কারো ঘরে যখন কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে তখন আল্লাহ তাআলা তার ঘরে একজন ফিরিশতা পাঠিয়ে দেন এবং তিনি এসে বলেন, হে ঘরের অধিবাসী! তোমাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক, তিনি কন্যা সন্তানটিকে নিজের পাখার নিচে নিয়ে নেন এবং তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেন, ইহা একটি দুর্বল প্রাণ থেকে জন্মগ্রহণ করেছে। যে ব্যক্তি এ কন্যা সন্তানটির লালন-পালন করবে কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর সাহায্য তার ওপর জারী থাকবে।

(তিবরানী)

৩২. কন্যাদের প্রশিক্ষণ ও লালন-পালন অত্যন্ত সন্তুষ্টিচিত্তে, আন্তরিক শান্তি এবং দীনি অনুভূতির সাথে করবে। এর বিনিময়ে উপহার স্বরূপ সর্বোচ্চ বেহেশতের আকাংখা করবে। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি তিনটি কন্যা সন্তান অথবা তিনটি বোনের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে তাদেরকে দীনি ইলম শিক্ষা দিয়েছে এবং তারা স্বাবলম্বী হওয়া পর্যন্ত তাদের সাথে দয়া সুলভ ব্যবহার করেছে এমন ব্যক্তির জন্যে আল্লাহ তাআলা বেহেশত ওয়াজিব করে দেন। এ কথা শুনে এক ব্যক্তি বলল, যদি দু’জন হয়? রাসূল (সাঃ) বললেন, তার জন্যেও এ পুরস্কার। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, লোকেরা যদি একটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতো তাহলে তিনি একটির লালন-পালন সম্পর্কেও একই সু-সংবাদ দিতেন।

(মেশকাত)

হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) বলেছেন, একদিন এক মহিলা তার দুই কন্যা সন্তানসহ আমার কাছে ভিক্ষা চাইল, ঐ সময় আমার নিকট শুধু একটি খেজুর ছিল। আমি তাই তার হাতে দিয়ে দিলাম, মহিলা খেজুরটিকে দু’টুকরা করে দু’কন্যার মধ্যে ভাগ করে দিল অথচ নিজে কিছুই খেল না। এরপর মহিলা চলে গেল। এ সময় রাসূল (সাঃ) ঘরে আসলেন। আমি এ ঘটনা তাঁকে শুনালাম। তিনি শুনে বললেন, যে ব্যক্তিকে এই কন্যা সন্তানের জন্মের দ্বারা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং সে তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তা হলে এ কন্যারা তার জন্যে কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার অন্যতম কারণ হয়ে যাবে।

(মেশকাত)

৩৩. কন্যা সন্তানকে তুচ্ছ মনে করবে না, ছেলে সন্তানদেরকে কন্যাদের ওপর কোন ব্যাপারেই প্রাধান্য দেবে না। উভয়ের সাথে একই ধরনের ভালবাসা প্রকাশ করবে এবং একই প্রকার ব্যবহার করবে। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যার কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে এবং অন্ধকারর যুগের ন্যায় জীবিত কবর দেয়নি, তাকে তুচ্ছ জ্ঞান করেনি, ছেলে সন্তানকে তার ওপর প্রাধান্য দেয়নি এবং বেশী যোগ্য মনে করেনি এমন ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা বেহেশতে প্রবেশ করাবেন।

(আবু দাউদ)

৩৪. সম্পত্তিতে কন্যাদের নির্ধারিত অংশ সম্মানের সাথে দিয়ে দেবে। এটা আল্লাহর নির্ধারিত অংশ এতে কম ও বেশী করার কারো কোন ক্ষমতা নেই। কন্যার অংশ দেবার বেলায় কুট কৌশল অবলম্বন করা অথবা নিজের মন মত কিছু দিয়ে দেয়ায় নিরাপদ হয়ে যাওয়া প্রকৃত মুমিনের কাজ নয়।এরূপ করা খেয়ানতও বটে এবং আল্লাহ তাআলার দীনের খেয়ানত।

৩৫. এ সকল চেষ্টার সাথে সাথে অত্যন্ত আবেগ-অনুভূতির সাথে সন্তানদের জন্যে আল্লাহর দরবারে দোআও করতে থাকবে। তাহলে মহান আল্লাহর নিকট আশা করা যায় যে, মাতা-পিতার গভীর আন্তরিক আবেগময় দোআসমূহ নষ্ট করবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজত্ব আল্লাহ দিলে রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম আমাদেরকে করতে হবে কেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:০৬



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তির কোরাস দল

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৫



ঘুমিয়ে যেও না !
দরজা বন্ধ করো না -
বিশ্বাস রাখো বিপ্লবীরা ফিরে আসবেই
বন্যা ঝড় তুফান , বজ্র কণ্ঠে কোরাস করে
একদিন তারা ঠিক ফিরবে তোমার শহরে।
-
হয়তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাইডেন ইহুদী চক্তান্ত থেকে বের হয়েছে, মনে হয়!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮



নেতানিয়াহু ও তার ওয়ার-ক্যাবিনেট বাইডেনকে ইরান আক্রমণের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো; বাইডেন সেই চক্রান্ত থেকে বের হয়েছে; ইহুদীরা ষড়যন্ত্রকারী, কিন্তু আমেরিকানরা বুদ্ধিমান। নেতানিয়াহু রাফাতে বোমা ফেলাতে, আজকে সকাল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজ ২৫শে বৈশাখ। ১৬৩তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আমার গাওয়া কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত শেয়ার করলাম। খুব সাধারণ মানের গায়কী

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

আপনারা জানেন, আমি কোনো প্রফেশনাল সিঙ্গার না, গলাও ভালো না, কিন্তু গান আমি খুব ভালোবাসি। গান বা সুরই পৃথিবীতে একমাত্র হিরন্ময় প্রেম। এই সুরের মধ্যে ডুবতে ডুবতে একসময় নিজেই সুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্ব কবি

লিখেছেন সাইদুর রহমান, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭

বৈশাখেরি পঁচিশ তারিখ
কবি তোমার জনম
দিন,
বহু বছর পার হয়েছে
আজও হৃদে, হও নি
লীন।

কবিতা আর গল্প ছড়া
পড়ি সবাই, জুড়ায়
প্রাণ,
খ্যাতি পেলে বিশ্ব জুড়ে
পেলে নভেল, পেলে
মান।

সবার ঘরেই গীতাঞ্জলী
পড়ে সবাই তৃপ্তি
পাই,
আজকে তুমি নেই জগতে
তোমার লেখায় খুঁজি
তাই।

যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×