জীবনদার মুখ দিয়ে কোন কথায় বের হচ্ছেনা। আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। উনার তীক্ষ্নদৃষ্টি আমার চোখও নামাতে দিলোনা। মনে হচ্ছে উনার চোখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে পড়বে এখনি। মনে পড়ে গেলো জীবনদা মারা গেছে একবছর হয়ে গেছে। ক্যান্সার হয়েছিলো। উনি যে রাতে মারা যায় সেদিন ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি ছিলো। ঝড়ের তীব্রতা একটু কমলে তারাতারি করে তাকে দাহ করতে নিয়ে যায়।
এই এলাকায় একটা রেওয়াজ বহুলভাবে প্রচলিত ছিলো যে কেউ মারা গেলে চিহ্নিত কিছু ব্যাক্তি ছিলো যারা সবসময় লাশের সৎকারে উপস্থিত থাকে। জীবনদার সৎকারেও তারা ছিলো। দাহ করার সময় জীবনদার দুই ছেলেও ছিলো। দাহ করার অর্ধেক সময়ে ঝড়ের তীব্রতা অনেক বেড়ে যায়। ফলে জীবনদার অর্ধমৃত লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে সবাই চলে আসে। এর পর থেকেই নাকি প্রায়ই জীবনদাকে দেখা যায়। গভীর রাতে কেউ যদি একলা বের হয় তখনি নাকি জীবনদা বের হয়ে আসে এবং তার সাথে চলতে বলে।
বুঝতে পারলাম আমিও এখন সেই মুহুর্ত্তে দাঁড়িয়ে আছি। কিছুটা কি অপ্রস্তুত, ইতস্তত বোধ করছি। বার বার চেষ্টা করেও কন্ঠ দিয়ে কোন স্বর বের হচ্ছিলোনা। গাঁয়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে কন্ঠের সমস্ত তীব্রতায় ডাকলাম জীবনদা........। এইবার জীবনদা চিৎকার করে উঠলো। খুব কঠিন এবং রুক্ষ স্বরে বলে উঠলো আমার সাথে চলো। বলতে বলতে জীবনদা হাঁটতে লাগলো। আমিও পিছু পিছু হাঁটতে লাগলাম। প্রতিটা নিঃশ্বাস যেনো প্রতিধ্বনি হয়ে আমার কানে এসে লাগছে। চারদিকের আবহাওয়া যেনো এক ঝাপটায় ভেপসা গরম হয়ে গেলো। বুঝতে পারলাম গায়ের শার্ট টি ভিজে যাচ্ছে। কখন যে বাজার পার হয়ে চড়ে চলে আসলাম বুঝতে পারলামনা। মোটামুটি নিশ্চিত বুঝতে পারলাম আমাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মনে হচ্ছে আর বুঝি ফিরে আসা হবেনা।
নাকের মাঝে ধূপের গন্ধ এসে লাগলো। পুরা কাঠের গন্ধের তীব্রতাও বেশ ঝাঁঝালো। ঠিক শশানঘাট টার মাঝখানে এসে জীবনদা থামলো। বেশ অন্ধকার চারদিক। জীবনদার চেহাড়াটা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছেনা। জীবনদা ডাক দিলো কইরে তোরা?
ভূত নিয়ে ভূতানি (আমার ভূতবেলা) - ১
ভূত নিয়ে ভূতানি (আমার ভূতবেলা) - ২
ভূত নিয়ে ভূতানি (আমার ভূতবেলা) - ৩
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।