somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আর্তনাদও এক বায়বীয় ঘোড়া ( শেষ র্পব)

২৭ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কাকের চোখ থেকে বেঁচে থাকার পূনঃজীবন পেয়ে দগদগে রোদ্দুরে ভাবছি মগজ গলে যাক। গ্রামোফোনের পিন চোখের ভেতর বাজিয়ে দিচ্ছে অন্ধকার। সুস্থিরতার সকল খাতা পত্তর এক ফুঁয়ে উড়িয়ে দিয়েছি ধূলোর সাথে। স্মৃতির উপর চ্ছলাৎ চ্ছলাৎ নাচিয়ে দিচ্ছি প্রেসের কালি। আমি জানি আন্তিস্থিনীসের মতো ধ্যানী পুরুষ নইÑ বাসনার ভেতর বিষ পিঁপড়ের উল্লাস ছাড়া মেটেনা ুধা। প্রতিহিংসার স্নায়ুগুলো সকালের বাসি ব্লেডে প্রতিদিন হয়ে যায় ঐক্যতানহীন। কুষ্ঠ রোগীর রক্তপুঁজ মাখা
চাদর উড়িয়ে আমি চাইছি আমার সার্বভৌমতা। ছুঁড়ে দেয়া থুতু পুনরায় গিলে নিয়েছি চুপ করে। মিসাইলের সাথে নিজেকে বেঁধে ঈশ্বরের কাছে পোস্ট করে দিয়েছি অবিশ্বাস। ছিঁচকে চোরের পা ধরে মা চাই দারিদ্র্যের জন্য। তার অনুজ্জ্বল ছুরি আমার মাংসে বিধুক জোস্নার মতো। হঠাৎই ভীড়ের ভেতর আমাকে আবিস্কার করুক গত রাতের সার্কাসের ভাঁড়। কেঁটে ফেলা সেলাই আবার পড়ে নিয়েছি মুখে। রাষ্ট্রাবাসে চিৎকারও শান্তিপূর্ণ সহাবাস্থান বলে ঘোষিত হয় বার্তা সংস্থায়। তালুর সাথে জিভ পেরেকে ঠুঁকে স্বেচ্ছা বোবা হয়ে আছি।

সকালে যে কাক বাঁচার বিদ্যে শিখিয়েছে সেটা শহুরে। শহর ছাড়া আমি অন্ধ। এখানকার সুরিখানায় গ্লাসের সান্ধ্য টুংটাঙের ভেতর আর একটা রাত ফুরাবার আলো মৃদু মৃদু জ্বলছে ডিপ্রেশনের ভেতর। সাপ যেমন ভুলে যায় তার প্রিয় দেহ। আমি পিতার নাম মুখস্ত করতে করতে ভুলে যাইÑ আমি হারিয়ে ফেলেছি ফেরার পথ। আমার জন্ম বৃত্তান্তের ভেতর বেড়ে উঠছে ঘৃণা। অথচ আনুগত্যই শিখেছি বাল্যশিা খুলে। আমি মনে করতে পারি না কার পেটের ভেতর লাথি দিয়ে বাঁচতে চেয়েছিল আমার ভ্রƒণ। নৈতিক অনৈতিকতার ভেতর আমি ঠিক খাপ খেতে পারি না। গল গল করে বেড়িয়ে যায় আমার মগজ। গ্রেগর সম্সার মতো বর্ধিষ্ণু শরীর।

হে ভোরের কাক। আলোর ডাকপিয়ন। আমিও জোস্না দেখে আতঙ্কে জেগে উঠি মুরগীর নাড়ীভুড়ীর খোঁজে।
আমি কাফনের ভেতর ইলিশের লাশ হতে গিয়ে দেখেছি আমার অবাধ্য জন্ম। তখন অফুরন্ত ছায়ার মতো শীতল তোমার মুখশ্রীর জন্য অপো করছিলাম। কিন্তু ট্রাক স্টান্ডে জড়িয়ে পড়েছি রাতের লিপিস্টিক বনে। যাদের অনেকেই বিস্ময়ে দেখেছে আমাকে। যেন নিজের রক্ত পান করার খবর আমার অস্তিত্বের আগেই পৌঁছে গেছে। কেউ কেউ পোষাকের বিবর্ণ রঙ দেখে ঠিক চিনে নেয় হেরেম হারানো আমার রাজকীয়তা। বস্তুত আমার কোন ঐতিহাসিকতা নেই। বর্তমানই আমার নীল অহংকার। তবুও কাক মযূরের পুচ্ছ পড়ার বাসনা ত্যাগ করতে পারে না। তাই একে একে নাম জেনে জননীর স্পর্শ চিনে নিতে চাই। না, চার্বাকদের সাথে আমিও ছিলাম ঘির সন্ধানে। ফলত নিয়তির ভূত করতলে টিয়ে পাখি ছেড়ে বলে দিতে পারে না আমার ভবিতব্য। রাজা ইদিপাসের মতো আমি খুলে ফেলতে পারি না জননীর শরীর থেকে প্রিয়সীর পোষাক। টিকটিকির একাকিত্বের পাশে জানালায় ওৎ পেতে আছে সন্ধ্যা। এখন কোত্থাও ফেরা যায় না। পথের সমস্ত প্রবেশ পথে রাত জাগা পুলিশের মেজাজ খিঁচড়ে আছে। চুল্লির কয়লা ফেলা সাপের মতো বিছানায় কাৎরে বেড়াচ্ছি নিজের শরীরের ভেতর। লাল তগুলো সরকারী তালা সিল্ড করে দেবার মতো ফুঁটে উঠেছে। যা ঘুমের পাশে এলার্ম বাজিয়ে জাগাতে চায়। অথচ বালু ঝড়ের নীচে চাপা পড়া তোমাদের ছায়া-ঘড়িটা দুই ল রেডিও বর্ষ খনন করেও সময়ের সন্ধান পেলাম না। আমার হাত পা আমাকে অক্টোপাসের মতো জাপটে ধরে মেরে ফেলতে চাইছে। ওরা জানে না এক খণ্ড মাংসের ভেতর চলৎ শক্তিহীন ভিুক কিভাবে ব্যস্ততার গণনা করে। যারা নিজের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেখে নেয় কাটা পায়ের মৃদু কম্পন। তাদের হৃৎপিণ্ডের মতো আমি সময়ের সাথে বেড়ে উঠছি। নদীতে ভেসে যাওয়া পচা গরু ভেবে ভুল করা পরিশ্রান্ত ঈগলের মতো এক চিঠি নিয়ে অপো করছি।

তোমার উড্ডীন নতুন পাতার ডানা হোক। হে কাক। আমার কঙকাল ধ্বনিতে তাল রেখো বাতাসের বিরুদ্ধে।


করকরে রোদ্দুর মাথার ভাঙা কাঁচে রং ধনুর ব্রীজ এঁকে পেড়িয়ে যাচ্ছে নেশাগ্রস্থ ুধা। আমার চোখ দেখে খেলতে ইচ্ছে হলো হারানো মার্বেল। জনশূন্যতার কেদ মেখে অনির্বাচনীয় লজ্জায় দাঁড়িয়ে দেখি আমার দিকে এগিয়ে আসছে ভারী ট্রাকের মতো দৃষ্টি বিভ্রম। হেড লাইটের আলো হয়ে ঢুকে যাচ্ছে উন্মূত্ত চুলরাশি। পাতার আড়াল থেকে সবুজ সাপ লাফিয়ে এলো বাহুতে। আমি অপো করতে না চাইলেও পীচের চুম্বক আটকে রাখে স্যান্ডেল। আমি কার জন্য দাঁড়াবো? আমার আততায়ী আমার ছায়ার ভেতর ঢুকে, আমার চামরার ভেতর ঢুকে অনুসরণ করছে। তোমার চুনি পান্নার বনে তার ছুরি আমার শিশ্নের রূপকে তোমাকে রমন করে! নাকি খুন করে? বুঝে উঠবার আগেই নাসিংহোমে টুংটাং বাজে উপোয় নূপুর। অসম্পূর্ণ শিশুরা সব সূতো ছেঁড়া বেলুনের মতো উড়ে উড়ে জমা হয় মেঘাশ্রমে। তাদের নাম ধরে ডাকা যায় না। বাদামের ঘ্রাণ পেলে হঠাৎ হঠাৎ জ্বলে যায় বাতাসের আলপিনে।

তুমি চাঁদ? প্রতি জোস্নায় উল্টে দিয়ে যাও হেমলকের বাটি! আ-মরি বিস্ময়ে বৈকালিক পার্কে সিংহর পিঠে তাদের চলাচল দেখি।

ঘড়ির রেডিয়াম সময়ের দুই বাহু নগ্ন করে দেয়, তা আমার রক্ত। এলার্ম আমাকে অনুসরণ করে সবার নিয়মানুবর্তিতা ঠিক করে দিয়ে যেতে চায়। পালাতে পালাতে নাম পরিচয়হীন। পায়ের নীচের মাটি জেনে নিতে চায় জাতীয়তা। শোন আমি কোন মানুষ নই। ড্রয়িং খাতা থেকে ইরেজারে মুছে যাওয়া একজন। আমার শুন্যতার ওপড় দাঁড়িয়ে আছে প্রকৃত মানুষ। তাদের বলোÑ বাজারের ঠিকানা ঠিক বলে দিতে পারবে। হতাশার ভেতর বেড়ে ওঠা কোন কোন প্রায় মানুষের সাথে আমার কোন কালে দেখা হয়ে থাকতে পারে। তারা আমার মতোই সন্ধানহীন। বিজ্ঞাপনের ভয়ে লাশকাটা ঘরের আশেপাশে ঘোরে ধেনো মদ আর পচা মাংসের সন্ধানে। যেখানে একটা বিষণœ আলো সামান্য বসবার জায়গাও করে দেয়।

বিকৃতির জানার্ল নিয়ে এলকোহলে পুড়ে যাওয়া এক রাতে তোমাকে দাঁড় করিয়েছিলাম। ভোর তাদের টেনে হিঁচড়ে সকালের দিকে নিয়েই যাবে। কারণ রাষ্ট্রপতি ভবনের চাবির নির্মাতা তারাই। আমি যে চাবির সন্ধানে উপসাগরীয় যুদ্ধের পদচ্ছাপের উল্টো দিকে গিয়েছিলাম বস্তু তা ছিল সূর্যের প্রিজমে সৃষ্ট একটা বাড়ি। ভেতরে টাঙানো ছিল কাটা মুণ্ডর অভ্যার্থনা। আমি সূর্যাস্ত থেকে লাল মদ বেড় করে শাদা ঘোড়ার মতোন ছায়ায় বিশ্রাম নেই। অপরিছন্ন অন্তর্বাসের অস্বস্তিতে তুমি ফিরে এলে আমার মুঠো ভর্তি পয়সা গুলো বুলেটের বর্জ্য হয়ে গেল। আমি জানি তার্পিন বা দেশলাই থেকে আগুন পান করে মৃত্যুকে প্রায়শ্চিত্যমূলক করা যায়। কারণ আর্তনাদও একটা বায়বীয় ঘোড়া।

এখন আমেরিকা গৃহস্থের চেয়ে অস্তিত্ত্বপ্রধান তৃতীয় ভূগোলে। পিঠে আলতো করে হাত রাখলেই বলতে পারিÑ বন্ধু, তুমি নওÑ শৈশবেই হারিয়ে ফেলেছি তোমাকে এক্সরের কাগজে মুখ দেখতে দেখতে। ফুসফুসে জমে আছে রক্তকফ কথা বাড়াতে পারি না, দমকে ওঠে সাইকোন। তার চে তুমি সন্তানের যোনীর ওপর নয় বিলিয়ন ডলারের চেক সাইন করে দাও। ভুলে গেছি সংস্কৃিতর প্রতিনিধিত্বকারীদের নাম। নারী স্বাধীনতার পেপার ওয়েট। সেলাই কলে ক্রমাগত ছোট হয়ে আসা জীবনের পাশে খানিকণ বসেছি। এখনই ইন্দিরা থেকে পান করবো নিজের ধূলো মলিন মুখ। বেঁচে থাকাটা এখন ওভার টাইমের মতোই বাধ্যতামূলক। মস্কোর ঘণ্টায় আর কম্পন তোলে না তাদের পান পাত্র।

ডক ইয়ার্ডে কুয়াশা ভারী আস্তরণ পেতে রেখেছে। এখানে কেউ একজন গত রাতে খুন হয়েছে। তার রক্ত ঘড়ির রেডিয়াম পান করে থাকতে পারে।

সকাল সকাল ঠিকই কাক এক টুকরো রুটি পেয়ে গেল। অনাহারে মৃত মানুষের হিসেব গণতন্ত্রের শর্তাবলীর মধ্যে পড়ে না। তাই আমি কোনদিনও মরতে পারি না।

আমার হিংসা যত্রতত্র দেশলাইর সাথে জ্বলে উঠুক। আমার ঘৃণা যত্রতত্র ঠোঁট কুচকিয়ে থুতু ফেলুক। স্বাভাবিক সৌজন্য গণরোষের কবলে পড়ে টায়ার পোড়া ধোঁয়া ঢেকে ফেলুক শহরের লাজুক মুখ। আমি অপরাগতার সাথে বেড়ে উঠঠি। নির্জনতার গ্রাস নিয়েছি অবিস্ফোরিত থাকার অযোগ্যতায়। মাথা নুইয়ে চলা আমার জমজ সহোদর। আমি আমাকে টুকরো টুকরো কেটে ছড়িয়ে দিতে চাইছি আমার অসহ্য ভূমিতে। আমার মাথার ভেতর মিথেন গ্যাস তৈরি হচ্ছে। চুলের মতো উদ্ধ্যত আগুন নিয়ে দ্যাখো আমি চলছি। হেরেমের দরোজার খোজা যেভাবে যৌবন দেখিয়ে বেড়ায! আমি সান্ধ্য সঙ্গিতের সাথে সুরা পান করতে আসিনি। বেড়ালের লোমের ভেতর লুকোতে চাই। আমাকে আবিস্কার করুক চাম উকুন বাছতে গিয়ে। দাস ব্যবসায়ীদের সাথে আমিও উল্লাস করে পাচার করে দিয়েছি আমার জ্ঞাতি। জাহাজের পাটাতনে খুঁজে পেয়েছিলাম বাঁচার নুন। আমার কি দায় পড়েছে এস্রাজের যন্ত্র কৌশল মেনে নেয়ার। বেঁচে থাকার বাধ্যতার সাথে আপোষ করে নিয়েছি। আমার চিৎকার বিচ্ছিন্ন। অসংগঠিত আমার চলার ছন্দ। ভাষা আমার মুখে খাদ্যলালা মাখামাখি। আমার কোন উৎস মুখ নেই যে নদী এসে টেনে নেবে সমূদ্র সঙ্গমে। আকস্মিকতার হাত ধরে আততায়ির সখ্যতায় নিজের বিরুদ্ধে লড়তে এসেছি। অকথ্য যন্ত্রণায় গরাদের ভেতর কুকরে গিয়েছি। আমার কোন স্বীকারোক্তি নেই। আমি মনে করতে পারছি না সা¤প্রতিকতা ছাড়া আমার কোন অস্তিত্ত্ব ছিলো কিনা। সাড়াশি আমার নোখ টেনে আঙুলে প্রকৃত রক্ত জবা ফুটিয়ে দিক। অনেক দিন আমি ফুলের ওপড় বিষ পিঁপড়ে ছড়িয়ে দেইনা। আমি পালতে গিয়ে হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়েছিÑÑ আমার তো মুক্তিও নেই শেকলও নেই। আছে নিরন্তর শ্বাস-প্রশ্বাস বহন করার বাধ্যবাধকতা। যা আমি ইনজেক্ট করে পৌঁছে দিচ্ছি রক্ত থেকে রক্তে। স্বাদু পানির মাছ শিকারের ইচ্ছে আমার নেই। নর্দমায় কাদা ঘুঁটে মহর্ঘ কান্তি পাওয়া যেতে পারে। যদিও কাক অপ্রয়োজনে কোকিলের পরিসংখ্যান হারিয়ে ফেলে। যদিও কাক জোস্না দেখে কা কা চিৎকারে সূর্যের অন্দর রমনে ব্যাঘাত ঘটায়। আর আমি স্ববিরোধে জড়িয়ে পড়ি। আমার সা¤প্রতিক বাগ্মিতা স্মৃতিহীন হয়ে পড়ে অনাবশ্যক।
বালক সৈন্যের রাত্রি বেলা কালাশনিকেভের তলর বুলেটে বিদ্ধ হওয়ার শৈশব কান্নার ব্যাপারটিও ভুলে গেছে। কিলোগ্রাম শূয়োরের মাংস আর কিছু ডলার জীবনকে অপ্রতিরোধ্য করে। যুদ্ধের যন্ত্রানুসঙ্গের বাইরে আমিও কেউ নই। স্বচ্ছ চশমায় লেগে আছে রক্তের দাগ। নিজেরে মাংস মহানুভব আঙুলে ছিঁড়ে খেয়ে সহস্র বছর বাঁচার চেষ্টা করা মাত্র। সকালের বিউগল মনে করিয়ে দেয় ঘুম নয়, ঘুমবার আয়োজনটাই বড় কথা। মস্তিস্কের কোষগুলো ক্রমাগত মরে যাক। গ্রানাইড পাথরে তোমার স্ট্যাচু তৈরি করে দেয়া যাবে। ফাঁকা মাথা বা কিছু প্লাস্টিক সাজিয়ে রাখলেই যন্ত্রণা থেকে বাইরে থাকা যায়। সন্দেহের ভেতর কেনইবা অযথা আগুন উস্কে দেয়া। আমি কি চাইছি কোন রেভ্যুলেশনারি ফ্রন্টের ভেতর দারুন বৃষ্টিপাত হোক। যাতে নেতিয়ে থাকা সূর্যটা ফুটবলের মতো ড্রপ খেতে খেতে এগিয়ে আসতে না পারে।

এসব কথা থাক। ঝড়ো বাতাসের সাথে নিজের রক্তমাংস পিনে গেঁথে তোমার কাছে পাঠাব। সমুদ্র পাড়ে শরীর পোড়াতে এসে আমারই মতো এক হতভাগ্য তোমকে বিব্রত করছে। তার হাতে হাস্যকর রকম টাটকা গোলাপ। সে তার চর্বির বাৎসল্য ছেড়ে চিতাকাঠ জ্বালাবার দিন অব্দি ক্রোধ বয়ে বেড়াতে চায়। অথচ দ্যাখো আমি ঘুমের ভেতরই চলাচল করছি সব কিছু থেকে নিজের আকাক্সা পায়ে পিষে। আমার অনুর্বর দিনগুলোয় মাকড়শা থুতু বুনে দিচ্ছে, যাতে অন্ধকারে নিশ্চিন্তে লাফিয়ে পড়া যায় গোখরার রাজকীয়তায়। যদিও নীল বিষ আমরা পান করেছিলাম ঠান্ডা কফির মতো । দীর্ঘ একটা নৈশব্দের হু হু বাতাস বয়ে যাওয়া পথ গীর্জার ঘন্টার আতঙ্ক তোলে। তখন মারিজুয়ানা ভর্তি আমার ফুসফুস উড়িয়ে দিলাম বেলুনের, সূতোয় বেঁধে। তোমার হারানো শৈশব এ দিয়ে পূর্ণ হবে কিনা তা যাচাই করে নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক অধ্যাপক।

আমি যা বলছি তার চে মর্গের দেয়ালে আঁকা একটা চিত্রল হরিণের ছায়ার ভেতর ঘাপটি মেরে বসে থাকা ভালো।
এই আমাকেই এত খুঁড়ে নিতে চাই কেন, অতলান্তে ছলাৎ ছল পেট্রোলিয়াম নাকি জলের ফসিলে মুখ ধুয়ে নেয়ার অনিঃশেষ নির্বান! আমি তো আজও আগুন যুগের প্রলুব্ধ জাগরণ। পচিশ বছরে নিজের নাম ধরে ডেকেই জড়তাহীন ভাঙতে পারিনি বিয়ারের ক্যান। আমি শিরহীন কবুতরের রক্তাক্ত নাচ দেখে সকালকে বলতে পারি মহাবিস্ফোরণের ভেতর থেকে আমি আসি নি। ঈশ্বর জন্মের বহু আগে আমি তাল তাল অন্ধকার ছেনে করেছি আমার নির্মান। তখন চোলাই মদের ঘ্রাণে আমার ভেতর থেকে জেগে ওঠে আমার দ্বিতীয় লিঙ্গ। যার সাথে ব্যর্থ সংগমের ভার বইছি আপেল ছিঁড়ে পড়ার একটানা নৈশব্দের ভেতর। কেউ কি আমার নাম ধরে ডাক দিলো বাতসের বিপরীতে ফুৎকার বন্দুকে! কিন্তু আমার মৃত দেহের সন্ধান একমাত্র শেয়াল আর হায়নাই জানে। লিথীর তীর ঘেষে নলখাগরার বনে আমার আটকে পড়া জুতো দেখতে অবিকল সিরাজউদ্দৌলার উদাসীনতার মতো। ইলোরা তুমি কি রেপ্লিকা, রক্তহীন প্রেতের জিভের লালায় ক্রমাগত হয়ে উঠছো আরও ঐশ্বর্যমযী? দ্যাখো ফতুর এক যাদুকর ভুলে যাওয়া নিজেরই এক কবর থেকে হাড় এনে বাজাচ্ছে নিদ্রাঢোলক। আমি আর জাগি নি। সারা মুখে বেড়ালের নোখের আচঁড় নিয়ে ট্রেনের হুইসিলের আশায় এক ল আলোক বর্ষ শেষে পড়ে আছি পাহাড়েরর ঢালে একে বেঁকে এক নদী। যার রং দেখে সম্রাট অশোক বুদ্ধের ধ্যান থেকে লুফে নেয় প্রায়শ্চিত্যের সুযোগ।

হেই হিউয়েঙসাং তুমি দেখেছো কোনও জন্মে আমি কাক ছিলাম কিনা! চক্রে চক্রে আমি... যেমন দশ চক্রে ভগবান...

সুরিখানায় এত বছর চোলাই বেচে বেচে জুয়ো খেলাও কি আমি রপ্ত করিনি। পাশার দানে ধর্ম পূত্রের পরাজয়ে আমার প্রাসাদে কি উত্তোলিত হয় নি দ্রৌপদির অন্তর্বাস!

হেই হিউয়েঙসাং খড়গ হাতে ভষ্ম মাখা আমিই সেই কাপালিক ।

শত শত বাক্স বন্দি পুথি পত্রের ভেতর হয়ত আমার স্মৃতির জলছাপÑ খণ্ড খণ্ড আয়নায় লুকানো ছিল তার মুখের জরি কাজÑ যা ঘৃণার তাত থেকে লুকিয়ে রাখা সামান্য বিদ্যুৎচমক! পাখোয়াজে এতটাই বিভোর ছিলাম যে তার কথা ভাবলে হীরক কাঁচে দু’ভাগ হয়ে যেত মগজের একাগ্রতা।

সবাই আমাকে দেখে চিনে নিতে চায় আমার পূর্ব পুরুষের মুখের গড়ন। আমার দিকে তাকালে মনে হয় দূর অতীত থেকে ভেসে আসছে যেন বাইজি বাড়ির সুর। যুদ্ধের আতশ বাজি। অথবা গ্রীস হয়ে টাইগ্রিস পারি দিয়ে মরু আর তুষার পাহাড় ডিঙিয়ে এক দল স্বাস্থ্যবান মানুষের দল। হয়ত সে পথের অনুসন্ধানে আলেকজান্ডার ছিনিয়ে নিতে এসেছে পুরুর দ্রোহী হৃদয়।

না। আমার মুখের ওপড় বিবর্তনবাদের যে চলচ্ছবি আলো ফেলে যাচ্ছে ঠিক তাও নয়Ñ আমি সময়ের আকস্মিক চিৎকার মাত্র। অথবা নিজেকে নতুন নতুন করে ভাঙার এক নিরন্তর প্রয়াস। বন্দুক তাক করে নিজেকেই তাড়িয়ে বেড়াচ্ছি নিজের সাথে দ্বৈরথ বুঝে নিতে।

আমার চোখের নীচে পোড়া ইটের স্তুপ। লাফিয়ে পড়া ঝর্ণার ছায়ায় ঘাপটি মেরে থাকে প্রাচীন ড্রাগন।

আনবিক চুল্লীর ভেতর অপো করছি সাইকো থেরাপির জন্য। বৈদ্যুতিক শক আমার হৃৎপিণ্ড, হাত পা নাড়িয়ে রিপোর্ট দিচ্ছে আমি গতকালের মতো জীবিত থাকবো। আমার মস্তিস্ক আমি হিমাগারে রেখে দিয়েছি আলু পটলের সাথে দাম উঠলে বিক্রির আশায়। লেফট রাইটে মথিত ঘাসের সাথে শিঁড়দাড়া ভেঙে আছি। চাঁদমারি দেয়ালের মতো মুখে নিয়ে বেড়াচ্ছি বসন্তের দাগ।

কাক জন্মে এত কিছু জানা ছিল না। ঘায়ের চামড়া খুঁটে মাছি বসতে দেয়ার নামই সহনশীলত।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:২৮
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×