কয়েকদিন আগে হ্যাপি-রুবেল কে নিয়ে অনেক তুল্পার শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে বিষয়টিকে নিয়ে অনেকে অনেক চিন্তিত ছিল এবং এখনো আছে । দু দিন না যেতে আরেক শিক্ষিকা তার ছত্রের নাম এ একই রকম অভিযোগ করলো মিরপুর থানায়। কিন্তু ব্যাপারটা কি জানেন। ..... এই ঘটনাগুলোর শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকে। অনেকে বলবেন , এই ঘটনাগুলু পশ্চিমা সংস্কৃতির পতিচ্ছবি মাত্র। আমি তাদের বলব , অনুগ্রহ করে টপিক তির শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন।
পাঠকের কাছে আমার প্রশ্ন , আমাদের নিজস্ব বলে কিছু আছে কি ? ইন্ডিয়ান সিরিয়াল দেখে সবাই প্রয়োগ করে নিজের সংসারে। পশ্চিমা সংস্কৃতি থেকে কিছু পছন্দের জিনিস নিয়ে প্রয়োগ করি প্রেম্মময় বাস্তবিক জীবনে। আরে নিজেদের কিছুত জীবনে রাখা উচিত? যখন একটা সংস্কৃতি থেকে কপি করতে হবে তো সবই করেন .... কেন শুধু পছন্দের বিষয়। আমদের সমাজে বিবাহের পূর্বে জৈবিক চাহিদা পূরণ করা বা করার চেষ্টা করা সম্পূর্ণ অসামাজিক এবং অনৈতিক কাজ। আর সে কাজ অবশ্যই দু জনের পূর্ণ সমর্থনের পর সম্ভব। যখন একজনের সমর্থন থাকে তখন নাকি দর্শন হয়। আমার প্রশ্ন যখন দুই জনের সমর্থন থাকে তখন কি সেটা দর্শন নাকি পশ্চিমা সংস্কৃতি । কিন্তু পশ্চিমা সংস্কৃতি কি আসলেই সে রকম ?
পশ্চিমা সংস্কৃতি এর কিছু ব্যাপার আমি এখানে তুলে ধরতেছি। ..... পশ্চিমা দেশগুলুতে ছেলে মেয়েরা ১৮ বছর পর্যন্ত বাবা মায়ের সাথে। এর পর তারা নিজেরা ইনকাম করে আলাদা থাকা শুরু করে। উচ্চ মাধমিক শেষ করা আগে এরা বন্ধুত্বে জড়িয়ে পরে , আর জৈবিক চাহিদা পূরণ করা এর একটি অংশ মাত্র। এরা যেমন সহজে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে তেমনি অতি সহজে সম্পর্ক ভেঙ্গে ফেলে। তারা এ ধরনের ঘটনাকে নিত্য নৈমিত্তিক মনে করে। এদের অনেকের বিয়ের আগে বাচ্চা ও থাকে। এসব ব্যাপার নিয়ে তাদের কোনো মামলা হয় না।
আমি ঠিক শুরু তে চলে যাব , হ্যাপি রুবেল / শিক্ষিকা - ছাত্র যে ঘটনা বাজারে চলছে , আসলে এটা কি পশ্চিমা সংস্কৃতি না সুবিদাবাদী সংস্কৃতি। আমার ইচ্ছা হলো সম্পর্কে জড়িয়ে পরলাম , জৈবিক চাহিদা মিটিয়ে নিলাম। .. স্বার্থে আঘাত করলো আর থানায় গিয়ে মামলা করলাম, অন্ধকারে ঘল্প শুনলাম। কেন এমন ........ সম্পর্ক গড়ার সময় পশ্চিমা সংস্কৃতি আর ভাঙ্গার পরে সুবিদাবাদী।
পাঠকের কাছে আমার প্রশ্ন, এরা দু পক্ষ কি সমান অপরাধে অপরাধী নয় ?