আশির দশকে সৈরশাসক এরশাদের পতনের পর অনেকে 'চাচা আপন প্রাণ বাঁচা' নীতি অবলম্বন করেছিলেন অনেকে। তাদের মধ্যে কপিল (ছদ্দ ) সাহেব একজন। বিক্ষোভ কারীদের গুলি বুকে নিয়ে ইউরুপের শহর বার্লিন এ পা রাখেন নব্বই এর দশকে। এখানে ভালো বৈদেশিক নীতির কারণে অনাআসে ঠাই পেয়ে যান। কিছুদিন পর নিজের বিবাহিত বউ নিয়ে আসে। ভালবাসার ফসল হিসেবে সন্তান হয়। কাজের সহজ্লব্বতা আর সংসারের টান পরনে বউ কে ও কাজ শুরু করতে হয়। ভালই চলছিল সংসার।
কপিল সাহেবের আসল ঘটনা পেছনে পরে গেছে। কপিল সাহেব ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করতেন। সে সময় এরশাদ এর জাতীয় পার্টি অন্যরকম ফর্মে। তিনিও বাতিক্ক্রম নন। ঢাকা বিশাব্বিদ্দালয় থেকে আইন বিষয়ে ব্যাচেলর সম্পন্ন করে সরাসরি সুপ্রিম কোর্ট এর একজন নামিদামি বিচারক এর সাথে বিচার কার্য অনুশীলন করতে থাকে। দলীয় দাপটে একসময় সময় নামকরা বিচারক দের সাথে কাজ করার সযোগ মিলে।
আস্তে আস্তে নামকরা একজন বিচারক এর সহকারী হিসেবে কাজ করতে শুরু করে। জীবনের তাগিদে কাজ আর যৌবনের তাগিদে দলীয় রাজনীতি। দুইটি যেন সমান গতিতে। তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় নি। তিনি হয়ত কখনো ভাবেন নি তাকে আকাশ থেকে একদম মাটিতে পরতে হবে। কিন্তু বাস্তবতা কতইনা নিষ্ঠুর।
দেশের মাটিতে মেধা আর প্রভাব এর সাফল্যে মেজাজ কতটা বিগ্রে যেতে পারে তারই হয়ত কিছুটা নমুনা। এরশাদের আচমকা পতনে বিক্ষোভ কারীদের গুলির নিশানাতে তিনি ও ছিলেন। সেই গুলি তার হৃদপিন্ডে এখনো জীবিত। যাইহোক প্রাথমিক চিকিত্সার পর রাজনৈতিক আশ্রয়ে জার্মানির বার্লিন এ পারি জমান। কিন্তু এখানে এসে তিনি তার বিগ্রে যাওয়া মেজাজ নিয়ে খুব বেশি দূর এগুতে পারে নাই। রাজনৈতিক ময়দানের সেই প্রভাব সংসারে খাটান। যা তার সংসারে বয়ে আনে কালো অন্ধকার। জার্মানির মত স্বাধীন দেশে সংসারের সবার স্বাধীনতাকে খর্ব করার চেষ্ঠা করায় কোর্ট ত াকে সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তার সন্তানরা পর্যন্ত তার মৃত্যু কামনা করে। সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তিনি এখন বাস্তুহারা জীবন যাপন করছে।
ঘটনাক্রমে আমার সাথে তার পরিচয় হয়। এখনো তার কথা বার্তা মধ্যে সেই মেধা আর সাহসিকতার ছাপ ভেসে উঠে। এত সুন্দর মানুষ কে মতিভাতে করে কেও না দেখলে বিশ্বাস করবে না।
তাহলে এই রাজনীতিই কি তার এই বাস্তুহারা জীবনের জন্য দায়ী ?
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:০১