বার্লিন হামলা : কয়েক দিন আগে বড়দিনের একটি মেলাতে এক সন্ত্রাসী লরি দিয়ে ১২ মানুষ হত্যা করেছে , প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে। দুর্ভাগ্য বসত এক অবৈধ অভিবাসী ভয়ে ভাগতেছিলো। জার্মান পুলিশ ওকে গ্রেফতার করে। সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই অভিবাসী কে সন্ত্রাসী নাম খবর হতেছিল। কিন্তু এ ভুল খবর খুব বেশি সময় স্থায়ী হয় নি। পরের দিন জার্মান পুলিশ কেন যুক্তি যুক্ত প্রমান না পেয়ে অভিবাসীকে ছেড়ে দে বা দিতে বাধ্য থাকে। মজার ব্যাপার হলো যেখানে সকল টিভি চ্যানেল , পুলিশ , রাজনীতিবিদ ও অন্যান্য রা একবার সন্ত্রাসী বলে চালিয়ে দেয়ার পর ও অবৈধ অভিবাসীকে ছেড়ে দিতে হলো। যদিও সন্ত্রাসী গ্রেফতার হবার পর জার্মান দের মনে অনেকটা স্বস্তি ফিরে এছেছিলো। কারণ জার্মান সরকার বা পুলিশ ছিল আইনের বেরিকলে বাধা।
আমাদের সমাচার : শুধু এই সরকার এর আমল থেকে নয় , র্যাব এর সৃষ্ট লগ্ন থেকে ---- যারা সরকারে কুদৃষ্টি তে পড়েছে তারাই বলি হয়েছে। সরকার পেছন থেকে সকল কিছু পরিচালনা করেছে , সামনে ছিল RAB অথবা পুলিশ , আর্মি অথবা BGB। যখন কোনো কিছু সরকারের বিপক্ষে যেতে লাগে বা মনে হয় যাবে। সরকার ওটাকে কৌশলে ক্রসফায়ার বলে চালিয়ে দেয়। এটা কিছুটা ওপেন সিক্রেট র মতো। সবাই জানে , কেউ বলার সাহস রাখে না। প্রতিবাদ করার সাহস / দুস্বাহস করে কে বলি হতে চায় ! বিগত অনেক ঘটনা আছে....আমরা বাঙালি খুব সহজে ভুলে যাই। তাই সম্প্রতি একটি ঘটনা উল্লেখ করছি...
গত ১৪ জুন ২০১৬ মাদারীপুর নাজিমুদ্দিন কলেজের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তী সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন। সন্ত্রাসী পরে হাতেনাতে ধরাও পরে। সবার মনে স্বস্থি --সন্ত্রাসী ধরা পড়েছে। খবর বিশ্লেষণে বের হয়েছিল এটা সরকারের কেউ জড়িত। এই ভাড়াটে সন্ত্রাসীকে ক্রসফায়ার এর নাম করে মেরে ফেলা হয়েছে। এযাবৎ যারা গ্রেফতার হয়েছে .... তাদের বেশির ভাগই বলি হয়েছে সরকার পরিচালিত বাহিনী দিয়ে।
সমালোচনা এবং মন্তব্য পাঠকের !
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৫০