সরকার ঘোষনা দিয়েছে উন্মুক্ত নিলাম পদ্ধতিতে মোবাইল সেবায় থ্রি জি সেবার লাইসেন্স দেয়া হবে। এটা আমাদের জন্য খুব ভালো খবর। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে এই সুবিধা অনেক আগে থেকেই পাওয়া যাচ্ছে। এই সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তিতে বিপ্লব আসবে বলে আশা করা যায়। এই সেবার মাধ্যমে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী একজন অন্যজনকে কথা বলার সাথে সাথে সরাসরি দেখতে পাবে, মোবাইলের মাধ্যমে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যাবহার করতে পারবে, পাবে ইন্টারনেট টেলিভিশনসহ অন্যান্য সুবিধা।
কিন্তু সংশয় জাগছে সরকারের একটি কথায়, যে কেউ এই নিলামে অংশ নিতে পারবে। এটা ঠিক যে এখানে কোন লুকোচুরি নেই কিন্তু উন্মুক্ত পদ্ধতিতে অপেশাদার যে কোনো কোম্পানি এই লাইসেন্স পেয়ে যেতে পারে, যেটা জাতির জন্য উপকারের চেয়ে অপকারী বেশী হবে। এমন একটি উদাহরন হোল গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা দুইটি উন্মুক্ত নিলাম। ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে ও ওয়াইমাক্স নিলামে লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে জতি এখন পর্যন্ত কোন উচ্চমানের সেবা পায়নি। বরং প্রযুক্তি ব্যবসা সম্পর্কে ভালো ও পূর্ব ধারনা না থাকায় নিলামে উচ্চ হারে দর হাঁকিয়ে বিশাল অর্থ দিয়ে লাইসেন্স নেয় একটি কোম্পানি। কিন্তু তারা আজ পর্যন্ত চাহিদা অনুযায়ী সার্ভিস দিতে পারেনী। তাদের গ্রাহক সেবার মানও খুব একটা ভালো মানের নয়, তৈরি হয়নি তেমন ভালো অবকাঠামো। তাছারা এখনও ১ টি লাইসেন্স উচ্চ লাইসেন্স ফির কারনে কোন প্রতিষ্ঠান নেয়নি, আর বিটিসিল এখনও কোন কার্যক্রম শুরু করেনি। তাই লাইসেন্স ফি এখানে এক গুরুত্বপূর্ন বিষয়। তাছারা লাইসেন্স ফি বেশী হলে তার প্রভাব পড়ে সেবা মূল্যের উপর, যা গ্রাহকদের উন্নত এই প্রযুক্তি গ্রহনে অনীহা তৈরি করে।
তাই সরকারকে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির লাইসেন্স প্রদানের আগে কয়েকটি ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে, এই লাইসেন্স যেনো মোবাইল সেবা প্রদানের অভিজ্ঞতাধারী প্রতিষ্ঠান পায় তা নিশ্চিত করা, লাইসেন্স ফি জেনো মাত্রাতিরিক্ত না হয় যার প্রভাব পরবর্তিতে গ্রাহকদের উপর না পরে তা নিশ্চিত করা, অবকাঠামো তৈরির সময় বেঁধে দেয়া, শর্ত অমান্য হলে কোঠর ব্যবস্থা নেয়া।