somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসরাইল করলে লীলা খেলা ইরান করলে পাপ কিছু বললে হাজী সাবের মুখটা খারাপ ।।

১০ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ৩:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ইসরায়েলি ইহুদিবাদের কঠোর সমালোচনাপূর্ণ ‘যে কথা বলতেই হবে’ শিরোনামে কবিতা প্রকাশ করে ইহুদিদের তীব্র বাক-আক্রমণের শিকার হলেন নোবেলজয়ী সাহিত্যিক গুন্টার গ্রাস। তবে ওই কবিতা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের অব্যাহত সমালোচনার প্রতিবাদ করেছেন জার্মানির জীবিত লেখকদের মধ্যে সবচেয়ে খ্যাতিমান মুক্তবুদ্ধির লেখক ৮৪ বছর বয়সী গুন্টার গ্রাস।
ইহুদিবাদের সমালোচনা করায় গুন্টার গ্রাসের ওপর খেপেছে ইসরায়েল। তাঁর ইসরায়েল সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইসরায়েলী মন্ত্রিসভা।
ইসরায়েলের ধর্মীয় কট্টরপন্থী সাইস পার্টির সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এলি ইসাই এই জার্মান কবিকে একজন ‘ইহুদি বিদ্বেষী’ বর্ণনা করে ইসরায়েলের মতো পবিত্র ভূমিতে তাঁর ঢোকার অধিকার নেই বলে ঘোষণা দিয়েছেন। অবশ্য বিখ্যাত ইসরায়েলি ঐতিহাসিক টম সেভেক সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে ‘অবিবেচক’ বলেছেন। জার্মান সাপ্তাহিক ডের স্পিগেলকে তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েলের রাজনীতি ইরানের মতোই।’ তাঁর এই মন্তব্যের জবাবে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুডো ভেস্টারভেলে বলেছেন, ‘ইসরায়েল ও ইরানের রাজনীতির তুলনা করা ঠিক হয়নি।’
বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ইসরায়েল সফরে নিষেধাজ্ঞা জারির ঘটনা এটাই প্রথম নয়। প্রায় দুই বছর আগে লেখক নোয়াম চমোস্কিকে ইসরায়েলে প্রবেশে বাধা দিয়ে জর্ডান-ইসরাইল সীমান্ত থেকে ফেরত পাঠানো হয়। ২০১০ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী আইরিশ মানবাধিকার নেত্রী মাইরেড মাগুয়েরের ইসরাইল প্রবেশেও বাধা দেওয়া হয়।
সম্প্রতি ইরানের পারমাণবিক শক্তির অধিকার প্রশ্নে ইসরাইলসহ পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ইরানের যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলেছে সেটাকে উপজীব্য করেই গুন্টার গ্রাস ‘যে কথা বলতে হবে’ শিরোনামে কবিতা লেখেন। এরপর থেকেই এ লেখকের সমালোচনা চলছে জার্মানিসহ ইউরোপ ও মার্কিন সংবাদমাধ্যমে।
জার্মান টেলিভিশনের তিনটি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাত্কারে গুন্টার গ্রাস বলেছেন, ‘কবিতাটির প্রচণ্ড সমালোচনা হবে জেনেই তিনি তা লিখেছেন। আর এই বিষয় নিয়ে বিতর্ক করার এখনই সময়, আমাদের এই বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে হবে।’ তিনি সংবাদমাধ্যমের একপেশে আচরণের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘কবিতাটির মূল বিষয়ে না গিয়ে সংবাদমাধ্যম একই সুরে কথা বলছে। ইসরায়েল যে বহুদিন থেকে পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অনেক আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছে না, দৃশ্যত সেই অনালোচিত বিষয় আমি বলতে চেয়েছি।’
নিজের দেশ জার্মানির সমালোচনা করে গুন্টার গ্রাস বলেছেন, ‘যে জাতির কাঁধে দুই দুটি বিশ্বযুদ্ধের দায়ভারের বোঝা, যুদ্ধের জন্যে ইসরাইলের কাছে ডুবোজাহাজ বিক্রয় করা তাদের উচিত নয়।’ তাঁকে অকারণে ইহুদি বিদ্বেষী বা ইসরাইল বিরোধী বলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে সে দেশটির আচরণে কষ্ট পাচ্ছেন।’ তাঁর কবিতাটির সঙ্গে একমত পোষণ করে অনেকেই ই-মেইল পাঠিয়েছেন বলে তিনি জানান।।।

নিচে কবিতাটির বাংলা ইংলিশ দুইটাই দেওয়া হলো,
কবিতাটির বাংলা :

যে কথা না বললেই নয়

এতদিন কেন চুপ মেরে আছি, কেন মুখ খুলিনি এত দীর্ঘ দিন
একটা খেলা চলছে–যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা
মহড়া চলছে প্রকাশ্যে দিবালোকে–
এ খেলার শেষে আমরা বেঁচে যাই তো হবো পাদটীকা।

খেলার নাম অতর্কিতে হামলার অধিকার
হামলাকারী– এখন জনৈক বাচালের ডাকে সমবেত–
ইরানের জনজাতি ধুলায় মিশিয়ে দেবে
কারণ তার সন্দেহ
তার ক্ষমতার বলয়সীমায় পরমাণু বোমা তাতাচ্ছে ইরান।

অথচ অনেক দিন হলো আর একটা দেশের হাতে পরমাণু শক্তি মজুত আছে
আর সে ক্ষমতা বাড়ছেও দিনে দিনে
তার উপর কারও কোন নিয়ন্ত্রণ নাই, কেননা তা পরিদর্শনের
আওতার বাইরে
সে দেশের নামটা মুখে আনতে কেন রাজি নই আমি?
সারা দুনিয়া খেলছে এই লুকোচুরি খেলা
আমিও মেরেছি চুপ এই লুকোচুরির তলায়
আমার তো মনে হয় এই নিশ্চুপ থাকার চেয়ে
বড় মিথ্যাচার বড় কেলেঙ্কারি আর কিছু নাই
এই মিথ্যার বিরুদ্ধে টু শব্দটি করো দেখি তুমি
দেখবে অভিশাপ ভয়াবহ খড়গ আসছে নেমে তোমার মাথায়
তুমি ‘এয়াহুদি বিদ্বেষী’।

আমার দেশ অপরাধী– কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে সে
বহু বহুবার– অপরাধ তার তুলনাবিহীন।
আর আজ ভাগ্যের ফেরে– হয়তো নিছক ব্যবসাজ্ঞানে
অথচ মুখে বলছে ক্ষতিপূরণ হিসাবে– ঘোষণা করেছে
ইসরায়েলকে আরো এক ডুবোজাহাজ বেচবে সে
দুনিয়া ধ্বংস করতে পারে এমন ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যায়
জাহাজ থেকে, ছোড়া যাবে সে দেশপানে
যে দেশে প্রমাণ নাই পরমাণু বোমা আছে
শুদ্ধ আছে ভয় আর ভয়ই তো অকাট্য প্রমাণ।
তাই আমাকে বলতে হবে যে কথা না বললেই নয়।

তো এদ্দিন, আজতক, কেন চুপ মেরে আছি আমি?
আছি ভয়ে, ভয় জন্মদাগের
এ দাগ কোনদিন মুছবার নয়
এ দাগের ভয়ে এদ্দিন ইসরায়েলের মুখের উপরে
করতে পারিনি আমি সত্য উচ্চারণ
কারণ তার সনে বাঁধা আছি আমি চিরদিন
থাকতেও চাই বাঁধা হয়ে।

যে কথা বলতে পারিনি তো সে কথা বলছি কেন এখন?
এখন বয়স হয়েছে আমার, ফুরিয়ে এসেছে কলমের কালি
এমনিতেই ভাঙাচোরা বিশ্বশান্তি
আর সে বিশ্বশান্তির পথের কাঁটা
হয়ে দাঁড়াচ্ছে ইসরায়েল
এ কথা না বললেই নয়, বড্ড দেরি হয়ে গেছে
বলবার সুযোগ আর নাও থাকতে পারে আর।

আরও এক কারণে বলছি আজ
আমরা জার্মান জাতি, অপরাধভারে নত হয়ে আছি
সামনে আরো এক অপরাধ ঘটতে চলেছে
আর আমরাও হতে চলেছি তার ভাগদার সমান অপরাধী
যে অজুহাতে এতদিন পার পেয়ে গেছি
তাতে দালালি আর হবে না হালাল।

মাপ করবেন, আমি আর চুপ থাকতে পারলাম না আজ
কেননা পশ্চিমা দুনিয়ার ভণ্ডামি দেখতে দেখতে আমি হয়রান
আশা করছি আপনারাও–আরো অনেকেই
মুখে আঁটা কুলুপ খুলে নিরবতা অভিশাপ মুক্ত হবেন
দেখতে পাচ্ছেন এগিয়ে আসছে বিপদ
যে দেশের কারণে হাত জোড় করে সে দেশকে বলুন
বলপ্রয়োগ করবেন না
আর দাবি তুলুন
দুই দেশের সরকারকেই বলা হোক
ইসরায়েলি পরমাণু শক্তি
আর ইরানি পরমাণু ক্ষেত্র
দুইটাই থাক মহাজাতিক সংঘের অবাধ ও স্থায়ী নজরে।

কি ইসরায়েলি কি ফিলিস্তিনি সকলের–
আমাদের সকলের– মায় এই উন্মত্ত ভূখণ্ডের ঘরে ঘরে
যারা করি শত্রুর সঙ্গে করি গলাগলি বসবাস
তাদের সকলের বাঁচবার এ ছাড়া আর পথ নাই।
নাই শুদ্ধ তাদেরই নয়, আমাদের সকলের।


এবং ইংলিশটা হোলো :
What Must be Said


Why I am silent, silent about too long,
what is obvious and in simulations
was practiced, at the end as survivors
, we are at best footnotes.

It is alleged that on the first strike
of the enslaved from bullies
and to organized guided cheers
could destroy Iranian people,
because in the sphere of building
a nuclear bomb is suspected.


But why do I say to myself,
to call that other country by name,
in the years since - though secret -
a growing nuclear capabilities available
but out of control, because no test
is available?


The general concealment of this fact,
which my silence subordinate,
I find incriminating lies
and coercion, the penalty is in prospect,
if he is ignored;
the verdict of "antisemitism" is familiar.


But now, because in my country,
that of innate crimes
that are without comparison,
sought time to time and will be taken to task,
in turn, and purely commercial basis, even if
declared with nimble lip as reparation,
another U-boat to Israel
delivered should be, whose specialty
is all-destroying warheads
to be able to steer to where the existence
of a single atomic bomb is unproven,
but wants to be a fear of evidentiary value,
I say what needs to be said.

But why I kept quiet until now?
As I said, my background,
which is never subject to tilgendem blemish,
forbade this fact as a definite truth
to the land of Israel, whom I am connected
and want to stay, be expected.

Why do I say now only
: aged and last ink
the nuclear-armed Israel is endangering
the already fragile world peace?
Because it must be said
, what could already be tomorrow's too late
- in part because we - as a German burden enough
could be suppliers of a crime are
the predictable, which is why our complicity
by any of the usual excuses
would be to pay off.

And admittedly, I am silent no more,
because I was the hypocrisy of the West
'm tired, is also hoped
it might be a lot rid of silence,
the cause of the apparent danger
call to renounce violence and
are also sure
that an unfettered and permanent control
of Israel's nuclear potential
and the Iranian nuclear facilities
by an international authority
of the governments of both countries will be allowed.

Only then is all, the Israelis and Palestinians,
more than that, all the people in this
region occupied by the delusional
enemies living cheek by jowl
, and ultimately to help us.
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:৫১
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×