তোমাকে বুঝি কি না জানি না,তবে বুঝতে চাই অবিরত
শিশু,যৌবন আর বৃদ্ধকালের বাস্তবতায় তোমাকে চাই স্বপ্ন মিশ্রিত।
আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা বা হাইজেনবার্গের অনিচ্ছয়তায় নয় তোমাকে
চাই জীবনান্দ দাশের রুপসী বাংলার কাব্যের কোনো এক সহজ পঙক্তিতে।
চাই না তোমাকে শেকসপীয়ার বা বার্নাড শ এর জটপাকানো নাগরিক জীবনে
তোমাকে চাই রবী ঠাকুর বা নজরুলের সহজ প্রেমের দেবীর স্বপ্নজালে।
রাজনীতি বা বিতর্কের মঞ্চে তোমাকে নিয়ে চাই না ঝড় তুলতে
শেষ বিকেলের ক্লান্ত শরীরে দিগন্তের কাছে তোমাকে নিয়ে চাই ভাবতে।
উচ্চ বা মধ্যবিত্ত জীবনের টানাপোড়নে তোমাকে চাই না ফেলতে
তোমাকে চাই জীবনের প্রয়োজনে কোন এক সহজ স্বীকারোক্তিতে।
হেরে যাওয়া কবির মুমূর্ষু পদাবলীর মাঝে তোমাকে চাই না খুঁজতে
যুদ্ধের বিজয়ী সৈনিকের দুর্বার এগিয়ে চলাতে চাই তোমাকে।
কুটিল বুদ্ধির অভেদ্য জালে চাই না তোমাকে আটকাতে
প্রভাতের স্নিগ্ধ আভায় সুরের মুর্চনার চাই তোমাকে।
যদি চার দেয়াল প্রকম্পিত করতে হয় গগণ বিদারী চিৎকার দিয়ে
তাও আমি আকাশ-বাতাস মৃশ্রিত হয়ে বলব চাই তোমাকে।
যেমন ছিলাম জন্মের সময় অতি যত্নে মায়ের কোলে
আঁকড়ে ধরে বলতে চাই তোমাকে রাখবো আমার কাছে।
নিঃসঙ্গতার মাঝে জীবনের শেষ বেলাতে
দুজন থাকতে চাই একঘরে,একসাথে।