#আমি_শুয়োরদের_দেশে_বাস_করি
একদা ড্রোনাচার্য বলেছিলেন জামাত শিবিরের কাজকর্ম, নাৎসি বাহিনীর মত। আমি তাঁর এই কথার সাথে একমত ছিলাম এবং এখনো আছি।
২০১৬ বা ১৭ সালে ঠিক মনে নেই,আওয়ামিলীগের জনসভায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসে বাসে কর্মী এসেছিল ঢাকায়। এরা রাস্তায় স্কুল ছাত্রীদের পোশাক টেনে ছিঁড়ে ফেলেছিলো জনসভার আনন্দে!
বাসায় গিয়ে এই হেনস্তার শিকার একজন ছাত্রী, ফেসবুকে বলেন, "এই শুয়োরদের দেশে আমি থাকব না।" শোনার পর খুবই আঘাত লাগে, এমন না আমি নিজে বিদেশে যাওয়া বা ব্রেনড্রেন নিয়ে খুবই শুচিবায়ুগ্রস্ত। কিন্তু যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী,তাই হয়তো আঘাতটা লেগেছিল নিজের। পরদিন আমি ফেসবুকে লিখি "আমি শুয়োরদের দেশে বাস করি।" এটা লেখার পর আমার ওপর ভদ্র এবং অভদ্র মহল থেকে নিজ নিজ ভঙ্গিতে বিভিন্ন রকম মন্তব্য বর্ষন হয়। এঁদের মধ্যে একজন মুক্তিযোদ্ধা বলেন, যে আমার পায়ুপথে কোন এক নির্দিষ্ট মডেলের বন্দুক ঢুকিয়ে গুলি করবেন।
আমি যেদিন থেকে আদর্শগত রাজনীতির সাথে পরিচিত হই, সেদিন থেকে আদর্শগত (বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র,সমাজতন্ত্র,ধর্মনিরপেক্ষতা তথা সকল ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি)কারণে আওয়ামিলীগকে সমর্থন করি। কোন নেতা কি করলো, কে কে দূর্নীতি করলো, পুলিশ লীগ কি করলো, ছাত্রলীগের ধর্ষণ প্রোফাইল। এইসবের সাথে দলের আদর্শগত রাজনীতির কোন ছেদ বিন্দু নেই। আওয়ামীলীগের আদর্শ, আওয়ামীলীগের আদর্শ আপনি মানলে মানেন না মানলে নাই।
কিন্তু এই আদর্শের নামে যে দেহ গঠন করা হয়েছে তার এক অংশে পচন ধরেছে, তা আগেভাগেই কেটে বাদ দিতে হবে। যদি বাদ দেয়া না যায় কর্কট রোগ ছড়িয়ে যাবে। যদি জরীপ করা হয় ছাত্রলীগের কয়জন ছাত্র আর কয়জন বহিরাগত, তাহলে এখন দেখা যাবে ৪০% বহিরাগত আর ৩০% কাগজে কলমে ছাত্র হলেও এদের,মেধা শুন্য, ভবিষ্যত অন্ধকার।
ক্যাডার বাহিনীর প্রয়োজন আমাদের উপমহাদেশের রাজনীতিতে ছিলো, আছে এবং থাকবে। সুতরাং এটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত ব্যাপার। এদের প্রোয়জনীয়তা কতখানি তা আমরা সবাই জানি। দেশের কোন মানুষই ধোয়া তুলশী পাতা না। এই ছাত্রলীগ, যুবলীগ না থাকলে বিএনপি-জামাতের মত সুশৃঙ্খল একটা খুনি ক্যাডার বাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করা যেত না। তাহলে যখন দেখা যাচ্ছে এদের প্রয়োজন আছে, তাহলে ছাত্রলীগ কে বাদ দিয়ে এই কাজে (বিদ্রোহ দমন, সন্ত্রাসবাদ দমন,সাম্যবাদ বিরোধী, রাজনৈতিক প্রয়োগকারী) তুলনামূলক প্রশিক্ষিত, সুশৃঙ্খল, সুনিয়ন্ত্রিত, রক্ষীবাহিনীর মত আধা সামরিক বাহিনীর পুনরুত্থান করা হোক। ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুধু মাত্র কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মিটিং, মিছিল, আন্দোলনে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হোক। ক্যাম্পাসের বাইরে ছাত্র রাজনীতির সকল কার্যক্রম অবৈধ এবং বন্ধ ঘোষণা করা হোক।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার আমাদের দেশের ড্রোনাচার্য জামাত শিবিরের গঠনতন্ত্র এবং কার্যক্রমের ব্যবচ্ছেদ করে গবেষণা করলেও ছাত্রলীগেরটা করেন নি।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৭