১। ‘অনুশীলনের সময় খেলোয়াড়েরা পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হলে আমি স্বাস্থ্যসম্মত এগ স্যান্ডউইচের কথা বলেছিলাম। কিন্তু অপারেশনস কমিটি থেকে জানানো হয়, ওটার বাজেট নেই।’
২। ‘আমি বারবার দলের কম্পিউটার অ্যানালাইসিস পদ্ধতি পরিবর্তনের কথা বলেছি। কিন্তু সেটা পরিবর্তন করে দেওয়া হয়নি। আমার কাছে যে অ্যানালাইসিস পদ্ধতি ছিল, সেটা একটি স্কুল ক্রিকেট দলের হতে পারে, কোনো জাতীয় দলের নয়। পরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
ের সময় সেই অ্যানালাইসিস পদ্ধতির পরিবর্তন হয়, ততক্ষণে সর্বনাশ যা হওয়ার হয়ে গেছে। খুব সম্ভবত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশই ছিল একমাত্র দল, যাদের কাছে প্রতিপক্ষের দুর্বলতা ও শক্তি বিচার করার কোনো পদ্ধতি ছিল না।’
৩। 'দলের সঙ্গে বিদেশ সফরে যাওয়া বোর্ড কর্মকর্তারা আসলে সফরে গিয়ে দলের ম্যানেজারের মতোই থাকতে চায়। অথচ তারা সফরে গিয়েছে দলনেতা হিসেবে। এরা প্রতিটি টিম মিটিংয়ে থাকতে চায়, ড্রেসিংরুমে বসতে চায়, টিম বাসে করে ভ্রমণ করতে চায়।’
৪। ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ত্রিনিদাদ সফরে আমি দুজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়েছিলাম। এরা সামান্য বিষয় নিয়ে খিটিমিটি বাধিয়ে দিচ্ছিল। আমি চেয়েছিলাম,বিশ্রাম নিয়ে এরা ফুরফুরে হয়ে উঠবে বিশ্বকাপের আগেই। একটি ম্যাচের পর ত্রিনিদাদেই রাত একটার দিকে ওদের ডেকে পাঠান সেই দলনেতা। ওদের বকাঝকা করা হয়। বলা হয়, এমন করলে ওদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ওই আলোচনায় আমার কোনো অংশগ্রহণ ছিল না।’
৫। ‘ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির আচরণ দেখলে মনে হয়, জাতীয় দলের কোচের চেয়েও ক্রিকেটটা তারা ভালো বোঝে।’
৬। ক্রিকেট বোর্ডে অনেকে আছেন, যাঁরা সত্যিকার অর্থেই ক্রিকেটকে ভালোবাসেন, ক্রিকেটের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চান। কিন্তু রাজনীতির কারণে এই ক্রিকেটকে ভালোবাসার মানুষগুলো কোনঠাসা হয়ে আছেন।’
৭।‘দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বিসিবিতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না। এখানে কোনো করপোরেট কাঠামো নেই। সবকিছুর জন্য ওপরের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়।'
ক্রিকইনফোকে কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ দলের সদ্য বিদায়ী কোচ রিচার্ড পাইবাস !
ফেসবুক থেকে কপি- পেষ্ট।