somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি তাকে অনেক ভালবাসতাম কিন্তু, সে আমাকে ছেড়ে চলে গেল

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমি তখন দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ি। আমাদের কলেজ ছিল দুই সিফটে মর্নিং এবং ডে। একদিন কলেজে কিছু কাজ থাকার কারনে ক্লাস শুরো হবার এক ঘন্টা আগেই চলে গিয়েছিলাম, কলেজে প্রবেশ করার সময় দেখি দুই টি মেয়ে মাঠের ওপর দিয়ে হেটে বাহির হচ্ছে এর মধ্যে একটি মেয়েকে দেখে আমি ফিদা হয়ে গেলাম কিছু সময় ধরে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থাকলাম এবং সাথে সাথে হার্ট বিট বারতে শুরো করল। হাটতে হাটতে মেয়ে দুই টি গেইট দিয়ে বের হয়ে গেল তখম আর মেয়ে টি কে কিছু বলার সাহস পেলাম না।
ক্লাস শুরো হয়ে গেল স্যাররা এসে কি যেন পড়াচ্ছে মাথায় ঢুকতেছেনা, কি ভাবে ঢুকবে পড়া, এর আগেই সেই মেয়েটির চিন্তা ঢুকে আছে। ক্লাস শেষ হবার সাথে সাথে মেয়েটির সর্ম্পকে সব কিছ জানতে শুরু করলাম। পরে খবর নিয়ে জানতে পারি, সে আমাদের কলেজের একাদশ শ্রেণীতে পড়ে বিজ্ঞান বিভাগে, রোল নং: এক নাম (রিয়া) বাড়ি আমাদের পাশের গ্রাম।
রাতে গুমাতে গেলাম চোখে গুম আসেনা, চোখ বন্দ করলে শুধু রিয়ার মুখখানি চোকে ভেসে ওঠে।পরের দিন ইচ্ছা করে কলেজে ক্লাস শুরো হবার এক ঘন্টা আগে চলেগেলাম সেই মেয়েটি(রিয়া) কে দেখার জন্য, গিয়ে রিয়া কে দেখা পেলাম না, না দেখার কারনে মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেল।
এই ভাবে দিন গুলো কেটে ঝাচ্ছে রিয়ার দেখা আর পাচ্ছি না, একদিন কলেজে অনুষ্ঠান হচ্ছে হঠাৎ করে দেখি রিয়া ও সাথে কয়েক জন মেয়ে দাড়িয়ে কথা বলতেছে, দেখার সাথে সাথে আমার হার্ট বিট বেরে গেল, আজ যা হবার হবে আমার মনের কথা রিয়া কে বলব, হাটি হাটি পা পা করে চলে গেলাম তাদের সামনে গিয়েই হাই কেমন আছ তোমরা সবাই বলেই কথা বলা শুরু করলাম, কিছু সময় কথা বলার পর রিয়াকে একা ডেকে বললাম তোমার সাথে আমার কিছু কথা বলার ছিল, এই কথা বলার সাথে সাথেই ম্যাডাম ডাক দিয়ে বলে এই রিয়া তোমরা সবাই শুনে যাও,ম্যাডাম এর কথ শুনা মাতই চলে গেল রিয়া। এই দিকে আমার মনের কথা মনেই রয়ে গেল।
সামনে এইচ এস সি পরীক্ষা চলে এসেছে, সব চিন্তা বাদ দিয়ে পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করার চেষ্টা করলাম। এইচ এস সি পরীক্ষা শেষ হবার সাথে সাথেই মামা বলল, ঢাকা চলে আয় ভাল দেখে একটা কোচিং সেন্টারে ভর্তি করিয়ে দিব। বেশ চলে আসলাম ঢাকা কোচিং করা শুরু করলাম, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিলাম টিকে গেলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, শুরু করলাম ক্লাস করা, ক্লাস করতে করতে চলে গেল ১৯ মাস।
একদিন বিকেল বেলা একা একা টি এস সি তে হাটতেছি, সামনে দেখি রিয়ার মত একটি মেয়ে সাথে আরো তিন জন মেয়ে টি এস সি তে বসে কথা বলতেছে। সামনে এগিয়ে দেখি সেই রিয়া যাকে আমার মনের কথা বলতে পারি নাই।
রিয়া তুমি এখানে যি আপনি হে আমি। চল হাটতে হাটতে কথা বলি হুম চলেন, রিয়া বলল এই তোরা বসে থাক আমি আসতেছি। রিয়া তুমি এখানে ভর্তি হলে, না আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলাম কিন্তু…. সেই জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে এখানে আছি।তুমি কোথায় থাক আমি রোকেয়া হলে আর আপনি, আমি মহসিন হলে। কথা বলতে বলতে সন্ধ্যা হয়ে গেল, রিয়া বলল চলেন সন্ধ্যা হেয়ে গেছে হে চল যায়, রিয়া তোমার মোবাইল ফোন নাম্বারটা এই নিন ০১………………………৯৯
এই ভাবে এক মাস বিশ দিন চলে গেল, একদিন একটা রেস্টুরেন্ট গিয়ে বসলাম
আমি: রিয়া তুমি কি খাবে বল?
রিয়া: কি খাব ………………… এই গুলো
আমি: রিয়া তোমার সাথে আমার একটা কথা ছিল
রিয়া: কি কথা
আমি: বলব
রিয়া: হে বলে ফেলুন
আমি: I LOVE YOU
রিয়া কিছু সময় আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল
রিয়া: I LOVE YOU Toooooooooooooooooooooooooooooooo
আট মাস যাবত চলতে থাকল আমাদের ভালবাসার দিন গুলো। একদিন হুট করে মা কে বলে দিলাম আমাদের ভালবাসার কথা।
মা বলল কি বলছিস এই সব.... তর বাবা .... ঠিক আছে .... রিয়া কে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আস দেখি আমার ছেলের কেমন .... ঠিক আছে মা ঈদের সময় বাড়িতে আসার সময় নিয়ে আসব। রিয়া কে আমাদের বাড়ি যাবার কথা বললাম, রিয়া বলল ঠিক আছে আমি যাব তুমি টিকেট কাটার ব্যবস্থা কর।
ঈদ ধীরে ধীরে গণীয়ে আসছে, রিয়া কে নিয়ে বাড়িতে যাবার সময় হয়ে আসছে।
চলে গেলাম গাবতলীতে বাড়ি যাবার টিকেট কাটার জন্য, টিকেট পেলাম ঈদের পাঁচ দিন আগে সিট গুলো ছিল বাসের ডান পাশে।
সময় হল বাড়ি যাবার দুই জনে গাড়িতে ওঠে বসলাম, গাড়ি চলতেছে ‘আমাদের কথা চলতেছে’
কথা বলতে বলতে যমুনা সেতু পার হয়ে গেলাম।
যমুনা সেতু থেকে ৬০ কি:মি: যাবার পর দেখি সামনের দিক থেকে একটি ট্রাক আমাদের বাসের সাথে সংগ্রস লেগে যায়, সংগ্রস লাগার সাথে সাথেই মাথায় আঘাত পায়, এর পর আর কিছু্ মনে করতে পারছি না।
৫২ ঘন্টা পর চোখ খুলে দেখি, বাবা-মা মামা বোন বন্ধু আমার পাশে দাড়িয়ে আছে, মা কে জিজ্ঞেস করলাম রিয়া কোথায় ‘মা বলল রিয়া চলে গেছে’ কোথায় চলে গেছে, মামা বলল ‘রিয়া আমাদের কাছ থেকে না ফেরার দেশে চলে গেছে।কি বলতেছ তোমরা এই সব। রিয়া রিয়া রিয়া রিয়া রিয়া
রিয়া চলে গেছে দশ বছর হয়ে গেল, এখনো সেই কলেজে প্রথম দেখা প্রথম ভালবাসার দিন গুলো মনে পরে।
রিয়া যেখানেই থাক ভাল থাক (I LOVE YOU) রিয়া (I LOVE YOU)
{গল্পটা কাল্প:}

বানান অশুদ্ধ হলে অনুগ্রহ করে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। অশুদ্ধ বানান গুলো ধরিয়ে দিবেন
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪১
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×