জাতীয় বীর, চাটুকার এবং করনীয়!!
অভিনন্দনের জোয়ারে গা না ভাসিয়ে, মুস্তাফিজের উচিৎ যত দ্রুত সম্ভব কঠোর অনুশীলনে মনোযোগ দেয়া। মুস্তাফিজের বোঝা উচিৎ এ কেবল মাত্র শুরু। আরও অনেক অনেক দূর, অনেক অনেক কঠিন পথ পেরিয়ে তবেই শিখরে উঠা সম্ভব, সম্ভব চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করা। তার বোঝা উচিৎ দেশকে তার অনেক কিছু দেয়ার আছে। একমাত্র সে চাইলেই তা পারে শুধুমাত্র কঠোর অনুশীলন, অধ্যবসায় এবং নিয়মিত সাধনার মাধ্যমে। তার এও বোঝা উচিৎ দেশটা চাটুকারে ভরা। তার আশেপাশে সেই বিষাক্ত চাটুকাররা প্রতিনিয়ত ঘুরঘুর করে নিজ নিজ স্বার্থ হাসিলে। কাউকে আকাশে তুলতে যেমন এ দেশের মানুষ সময় নেয়না, তেমনি তাকে ভূপাতিত করতেও সময় নেয়না বরং তার চেয়েও কম সময় নেয়।
বিসিবি এবং ক্রিকেটের হর্তাকর্তাদেরও উচিৎ চাটুকারিতা বাদ দিয়ে অতিউৎসাহী না হয়ে, মুস্তাফিজের সঠিক যত্ন নেয়া, নিবিড় পরিচর্যা করা, তাকে আরও অধিক এবং উন্নত অনুশীলনের ব্যবস্থা করে দেয়া। যাতে করে দীর্ঘ সময় সে সুস্থ সবল দেহে তার ফর্ম ধরে রেখে খেলা চালিয়ে যেতে পারে।
কেবল এখনই নয়, বরং আরও ৫ বছর ১০ বছর ২০ বছর পরও, বাংলাদেশের ক্রিকেট যতদিন থাকবে অন্তত ততদিন আমরা তাকে জাতীয় বীর হিসেবেই দেখতে চাই।
আমরা এমন একটা সংবাদ শিরোনাম দেখতে চাই,
"আনন্দে ভাসছে দেশ, মুস্তাফিজই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জয়ের মূল নায়ক"!!!