somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শচিন টেন্ডুলকার - মৃদু মানুষের ঈশ্বর

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি খোদাকে দেখছি, উনি তিন নাম্বারে ব্যাটিং করে।
শচিন টেন্ডুলকার এর রিটায়ারমেন্ট নিয়ে যে বাড়াবাড়ি উচ্ছ্বাস তার একটা একজাম্পল দিলাম।গত কয় দিন টেন্ডুলকারকে নিয়ে ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমী জনতার যে উচ্ছ্বাস সেইটা নিয়া কিছু বলতে দুই দিন সময় নিলাম, নইলে মাইর খাওয়ার চান্স ছিল। আমি কিছু কন্ট্রভারসিয়াল কথা বলব। মাইন্ড কইরেন না।

প্রথমত , আই লাভ শাচিন।
এমন একটা মানুষ যার ভক্ত না হয়ে পারা যায় না। ব্যক্তি শচিন একজন সত্যকার এর রোল মডেল। এত টাকা পয়সা সম্মান প্রাপ্তির পরেও সে ফ্যামিলিকে যেই ভাবে গুরুত্ব দেয় - তা একটা উদাহরণ। জীবনের শেষ খেলার ভাষণে যে বলে, আমার সেরা ইনিংস আমার ওয়াইফ এর সাথে তাকে আপনার রেস্পেক্ট করতেই হবে। এবং ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ রান, সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি টেস্ট, ওয়ানডে তে একটা টেন্ডুলকার এর মত একজন অবিস্মরণীয় ব্যক্তির দ্বারাই সম্ভব।

আমি টেন্ডুলকার এর সমসাময়িক প্লেয়ার ক্যালিস, বায়ার্ন লারা, পন্টিং এদের সাথে টেন্ডুলকার এর ২০০০ , ৩০০০ রান এবং ৭/৮ টা কম সেঞ্চুরি, গড়, বেশি খেলা, ভারতের ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেট, এবং ক্রিটি-কাল ম্যাচ এর পারফরমেন্স এবং টিমকে জিতিয়ে আনার মত পারফরমেন্স ইত্যাদি তুলনামূলক পজিশন দিয়ে টেন্ডুলকার এর এচিভমেন্ট কে ছোট করতে চাই না। টেন্ডুলকার গ্রেট এবং তার মত এত দীর্ঘ সময় ধরে ফিটনেস ধরে রেখে খেলা যাওয়া এবং ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ এচিভমেন্ট করা নিয়া একটু বাড়াবাড়ি করাই যায় কিন্তু টেন্ডুলকার বন্দনা এত বেশি হইছে যে সেই বাড়াবাড়িটা একটু বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে গ্যেছে বলেই লাগছে ।

কই পন্টিন ও রিটায়ার করল, বায়ার্ন লারা রিটায়ার করলো কিন্তু তাদের নিয়া ত এইরকম হয় নাই। তারাও গ্রেট। টেন্ডুলকার হয়তো তাদের সবার থেকে বেশি অর্জন করছেন কিন্তু এমনতো না যে তাদের সবার থেকে টেন্ডুলকার অতীব সুপারলেটিভ প্লেয়ার । তারা প্রত্যেকেই একই সময়ে আলো ছড়িয়েছেন এবং একটা ভদ্র সম্মত রিটায়ার নিয়েছেন - যেইটায় এই রকম দৃষ্টিকটু উচ্ছ্বাস হয়নি। এমন মোটেও না যে তারা শচিন টেন্ডুলকার এর সাথে তুলনীয় না।

এর কারণ যদি দেখেন, তাইলে দেখবেন , টেন্ডুলকারকে নিয়ে যে উচ্ছ্বাস তাকে পুরো ভারতীয় উপমহাদেশীয় সর্ব ভারতীয় জাতির বিশ্ব প্রেক্ষাপটে ক্রিড়াঙ্গন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ক্রমাগত পরাজিত হওয়ার হীনমন্যতা থেকে বের হয়ে আসার জন্যে ক্রিকেটকে আঁকড়ে ধরে নিজেকে গ্লরিফাই করার একটা চেষ্টা মাত্র ।

ক্রিকেট ইট-সেলফ একটা অভারহাইপড খেলা। পৃথিবীতে এখনো ২০ টা দেশ সিরিয়াসলি ক্রিকেট খেলেনা। যেই খেলা গুলো সারা বিশ্বে খেলা হয় যেমন ফুটবল, রাগবি , এথলেটিক্স এই সবে আমরা পুরো ভারতীয় উপমহাদেশের লোক সারা বিশ্বে বেইল পাই না। এর কারণ, অনেক দিক থেকে ক্রিকেট খুব দুর্বল একটা স্পোর্টস। আপনি ২ ঘণ্টা খেলার পরেও হয়ত আপনার শরীর ঘামাবেনা। ক্রিকেট খেলতে অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়। গরিব মানুষ ক্রিকেট খেলতে পারেনা। তাই কোন জনপদ বা দেশে ক্রিকেট খেলা যদি প্রধান খেলা হয় তা সেই জনপদের দুর্ভাগ্য। কারণ, ওই জনপদের বা দেশের সর্ব শ্রেণির লোক খেলাটাকে সাপোর্ট করতে পারবে, কিন্তু নিজে খেলতে পারবেনা।

কিন্তু এই ক্রিকেটকে ওভার হাইপ করার দরকার পরছে, ইন্ডিয়ান পাকিস্তানি, শ্রীলঙ্কান এবং সিরিয়াল ধরে বাংলাদেশের ও ।
কারণ, এরা দেখছে এরা আর কোন খেলাতেই বাকি বিশ্ব ত দূরের কথা এশিয়ান লেভেলেই টিকতে পারতাছেনা। ফলে মাত্র ১২ টা দেশ খেলে এমন একটা খেলাকে এই জাতি গুলো প্রমোট করা শুরু করছে। কারন, বারোটা দেশ যেই খেলা খেলে সেই খেলায় আপনি খারাপ খেললেও সারা বিশ্বে ১০ নাম্বার আর ফুটবল বা এথলেটিক্সে আপনি অনেক চেষ্টা করেও সারা বিশ্বে ১৫০ নাম্বার।

এবং এই হাইপ টারে সৃষ্টি করছে এডভারটাইজার রা।
৯০ এর দশকে যখন ইন্ডিয়া ভারতীয় উপমহাদেশের দেশ গুলোতে কাচা টাকা ঢুকা শুরু করছে, মধ্যবিত্তের সাইজ বাড়া শুরু করলো তখন বড় বড় এমএনসির কাছে ইন্ডিয়া এবং এই অঞ্ছল একটা গুরুত্তবপুরন মার্কেট হয়ে উঠে। তারা জানে, মানুষের মন জয় করার সব চেয়ে সহজ রাস্তা দেশপ্রেম বেচা। এবং ইজি দেশ প্রেম বেচা যায় , খেলা ধুলায় এচিভমেন্ট দিয়া। এবং তারা দেখল এক মাত্র ক্রিকেটেই দেশ গুলো কিছু অর্জন করতে পারতাছে কারন, মাত্র ১০ টা দেশ সিরি্যাস্লি ক্রিকেট খেলে।

এবং ইন্ডিয়া হচ্ছে এই অঞ্ছলে সব চেয়ে বড় বাজার ফলে ইন্ডিয়ার ১০০ কোটি লোকের বড় বাজার ধরার জন্য তারা ক্রিকেটে পয়সা ঢালা শুরু করলো। তাছাড়া ক্রিকেট অসম্ভব এডভারটাইজমেন্ট ফ্রেন্ডলি খেলা। প্রতি পাচ মিনিট পর পর এডভারট দেখানো যায়, প্রতি বলের পর এক মিনিটে চাইলে এদ্ভারটাইজমেন্ট দেখানা যায়।এবং লম্বা সময় ধরে খেলাটা চলে। অন্য যে কোন খেলায় প্রায় ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় ।

এবং টাকা ঢালাতে অটোমেটিক ইন্ডিয়া ,পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার খেলা ইম্প্রুভ করে কারণ খেলাতে যেহেতু টাকা ধুকছে, পলাপাইন ধুমসে ক্রিকেটে মনোযোগ দিছে। বাংলাদেশও কম বেশি ইম্প্রভ করছে কিন্তু নিজেদের প্রশাশনিক দুর্বলতার কারনে, পিছায় পড়ে বাট সেইটা অন্য গল্প।

এবং এই সময় এই সব বামনদের মধ্যে সব চেয়ে লম্বা লোক টেন্ডুলকার ।
ইভেন ৯০ এর আগে, ক্রিকেটে ছিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর অস্ট্রেলিয়ার রাজত্ব। বিংশ শতকের প্রথম দশকে এসে ইন্ডিয়া ডমিমেন্ট হয়। এই সময় ইন্ডিয়ান মার্কেট আরও এট্রাক্টিভ হইছে নব্য বেড়ে যাওয়া মধ্যবিত্তের কারণে। ফলে, স্পন্সর আর এদ্ভারটাইজারদের পোয়া বারো । তারা ক্রিকেটকেই ইন্ডিয়ার এবং এই এলাকার অন্যান্য দেশে মান সম্মান ইজ্জত এবং সব চেয়ে বড় অর্জন হিসেবে দেখান শুরু করে। এবং তা ইন্ডিয়া অর্জন করেও। ফলে ইন্ডিয়ার মধ্যবিত্তএর মনে, নিজেরে বিশ্বের সেরা দেখার যে বাসনা তা পূর্ণ হতে থাকে। কয়টা দেশে ? এখনো ১২ টা দেশের মধ্যে। :P

এই সময়কার সেরা আইকন টেন্ডুলকার।

তাই, টেন্ডুলকার কে শুধু গ্রেট না - বানান হয় দেবতা । বানান এডভারটাইযাররা
অথচ, আমি যত দূর ক্রিকেট দেখছি, টেন্ডুলকার অনেক বিচারে তার সমসাময়িক প্লেয়ার থেকে অনেক আহামরি বেশি নন যে উনি খোদার মর্যাদা পাবেন । এমন কি তুলনা করলে টেন্ডুলকার অনেক ক্ষেত্রেই রুহুল দ্রাবিড় থেকে পিছিয়ে পরেন । জয়দীপ ভারমা নামের এক এনালিস্ট , ইন্ডিয়ার ম্যাচ গুলোতে কার রান এর ইমপ্যাক্ট বা ম্যাচ জয়ে অবদান কে কাল্কুলেট করে দেখাইছে রাহুল দ্রাবিড় ইন্ডিয়াকে ৮টা সিরিজ জিতাইছে টেন্ডুলকার জিতাইছে ৬ টা। ২০ টার উপর ম্যাচ খেলছে এই লিস্টের অলটাইমে টেন্ডুলকার এর রান গড় ১৭ তম। ব্রাডমেন যদি, আরও ৬২ টা ম্যাচ খেলত এবং প্রতিটা ম্যাচ এ ০ রান করতো, তাও টেন্ডুলকার থেকে বেশি গড় থাকতো।

টেন্ডুলকার এর অর্জন কে ছোট করে দেখান এই লেখার উদ্দেশ্য না। উনি আসলেই তার সময়ের বা হয়ত অলটাইম সেরা ব্যটসমেন। ওয়ানডে এবং টেস্ট দুইটায় উনার যে অর্জন তা হয়ত কেও ভাঙ্গতে পারবেনা। আবার এও ঠিকযে তার থেকে ভাল কেও আসবেনা তা নয় তার কারণ, হয়ত টেস্ট ক্রিকেট আর ওয়ান ডে আর এত পরিমাণ খেলা আর হবেনা।

এর কোন কিছু টেন্ডুলকার এর অর্জন কে খাটো করেনা, কিন্তু বিষয় হইলো টেন্ডুলকারকে দেবতা বানানোর যে প্রোপাগান্ডা এবং তাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি সেইটা মূলত প্রডাক্ট বিক্রির ধান্দা। টেন্ডুলকার যদি খোদা হয় ত খোদা যেই পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করবে, তা আপনারও ব্যবহার করা উচিত- সেই মামলা।

সেইটা অল্প অর্জন কারি, হীনমন্যতায় ভোগা পুরো ভারতীয় জনগণ খাইছে, কারণ সেইটা তাদের কিছু সেন্স অফ এচিভমেন্ট দেয় মনের মধ্যে ।

আমরা বাংলাদেশি বাঙালিরাও খাইছি, কারণ আমরা বিগত ১০ বছরে আমাদের কালচারাল কাপিটাল গুলো হারিয়ে ভারতীয় কালচার এর দাস হইছি ফলে এখন ইন্ডিয়াকে নিজেদের গুরু মনে করি, তাদের দেবতা মানে আমাদের গুরুর দেবতা । সে ত আরও বড় জিনিষ।

তাই গত কয় দিন টেন্ডুলকার এর বিদায় নিয়ে যে মারসিয়া গীতি চারিদিকে দেখতাছি তা দেইখা একটু দুক্ষ লাগছে। আর আমার বার বার আশরাফুল ছেলেটার কথা মনে পড়ছে। ভারতের একটা জেনারেশানের সেরা ব্যাটস্মান মান সম্মান টাকা পয়সা সব কিছু নিয়ে পুরো ভারত বাসির কাছে দেবতার মর্যাদা নিয়া রিটায়ার করছে আর আমাদের একটা জেনারেসানের সেরা ব্যাটসম্যান অল্প কয়টা টাকার লোভ সামলাইতে না পেরে বেটিং কইরা এখন ইতিহাসের আস্তা-কুড়ে নিক্ষেপিত হইছে। এই পোলাটার ট্যালেন্ট কম ছিলনা- সেও সুযোগ পেলে হয়তো মৃদু মানুষের ঈশ্বর হইতে পারত ।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×