somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খলিল গেল ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল ও কলেজ (খলিল সিরিজ-৫)

২২ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফেসসবুকে খলিল সিরিজ ফ্যান পেজ

All characters including Khalil appearing in this work are fictitious. Any resemblance to real persons or Khalil, living or dead, is purely coincidental.


অনেকদিন খলিলের কোনো খবর পাচ্ছিনা কারন খলিল তখন সেন্টমার্টিন। আমরা ঢাকা। হটাৎ একদিন ফেসবুকে খলিলের স্ট্যাটাস আপডেট হল তাও সেটা সেন্টমার্টিন ত্থেকেই। গাধাটা ঐখান থেকে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিসে যে, সে এখন সমুদ্রের পাড়ে বসে ডাব খাচ্ছে যদি কোনো ভাবে তার পাশে ভিকারুন্নেসার কোনো জিএফ থাকত তাহলে কত ভালো হত। কি আর বলব!! খলিল তো খলিল ই।

মজার ব্যাপার হচ্ছে ভিকারুন্নেসা স্কুল ও কলেজ এর হেড গার্ল রুমানা তখন সেন্টমার্টিন এই ছিল। খলিল যেখান বসে ডাব খাচ্ছিল সেখানেই কয়েকটা চেংরা পুলাপাইন ক্রিকেট খেলছিল। সাইজে মোটা গুলাই সাধারনত ব্যাটিং ভাল করে সেরকম আদনান সামির মত মোটা একটা পোলা যখন সিক্স মারতে গেল বলটা গিয়ে লাগল রুমানার গায়ে।খলিল ব্যাপারটা খেয়াল করেনায় কারন খলিল ডাব খাওয়ার পাশাপাশি হেডফোন এ গান শুনছিল। মোটকা পোলাটা খলিল কে তখন এসে বলল ভাইয়া ব্যাট তা একটু ধরেন তো, বলেই দৌড়ায় পালায় গেল। রুমানা এসে দেখে খলিলের হাতে ব্যাট। রুমানা এসেই ঝাড়ি মারা শুরু করল। খলিল ঝাড়ি কিছুই শুনতে পাইলনা। কারন হিন্দি সিনেমায় যেরকম হয় যে এমন সময় ব্যাকগ্রাউন্ড এ মিউজিক বাজতে থাকে খলিল এর কানেও “Whoa whoa, yea yea / I love you more than I can say” এর মিউজিক বাজতে লাগল।

সেন্টমার্টিন এর দ্বিতীয় দিন যখন একি পজিশন এ খলিল ডাবের পানি খাচ্ছিল আর চেংরা পোলাপাইনগুলা ক্রিকেট খেলছিল তখন আশে পাশে কোথাও রুমানা ছিলনা। চেংরা পোলাপাইনের দলের আজকের বলটা সরাসরি এসে খলিলের ডাবে লাগল আর ডাবটাই উল্টায় পরে গেল। খলিল মেজ়াজ় খারাপ করে যখন বলটা দূরে কোথাও মারতে গেল তখন খুবই অদ্ভুত ব্যাপার ঘটল। আজকে কোথাও রুমানা ছিলনা কিন্তু বলটা গিয়ে আবার সেই রুমানার গায়ে লাগল। রুমানা আজকে আরও ব্যাপক খেপে গেল। খলিল এবার মনে বেশ দুঃখ পেল তবে “Whoa whoa, yea yea / I love you more than I can say” ঠিকি শুনতে পেল। পরের দিন খলিল ঠিক করল ডাব খাইতে আর ঐসব চেংরা পোলাপাইনের দিকে যাবেইনা। আজকে সে অন্যদিকে গেল। এবং অবাক নয়নে লক্ষ্য করল দূরে রুমানাকে ঘিরে ২-৩ জন হাইজ্যাকার। খলিল চিন্তা করল রেপুটেশন ঠিক করার এটাই ভাল সময়। এমনিতেও সে রেড বেল্ট। খলিল আরো চিন্তা করল দূর থেকে ডাবটা মেরে একজন কে কাবু করা গেলে তাতে কাজ অর্ধেক হয়ে যাবে। খলিল খুব নিশানা করে ডাবটা মারল। খুবই আজব ব্যাপার। ৩ জন হাইজ্যাকার ছিল আর ডাব কিনা গিয়ে লাগল রুমানার মাথায়। রুমানা অজ্ঞান হয়ে পরে গেল আর হাইজ্যাকার গুলাও ভয়ে পালায় গেল। খলিল এখন কি করবে বুঝল না। দৌড়ায় গিয়ে ঐখানে যাবে কিনা চিন্তা করল। যাওয়া উচিত। রুমানার কাছে হিরো হওয়ার ভাল সুযোগ। কিন্তু কোথেকে জানি হটাৎ করে স্পাইডারম্যান চলে আসল। রুমানা তখন জেগে উঠল। রুমানা মনে করল স্পাইডারম্যান তাকে বাঁচিয়েছে। আর খলিল কে দেখে সে বেশ খেপে গেল। আপনি আবার এখানে কি করতেসেন!!?? “Whoa whoa, yea yea / I love you more than I can say”

খলিল এখন ঢাকায়। ভিকারুন্নেসার ডিবেট আর সাইন্স ফেয়ার আমাদের ছেলেদের জন্য খুবই জনপ্রিয় একটা ইভেন্ট। বিশেষ করে এই সময়টাতেই আমরা সাইন্স এর সত্যিকার অর্থ খুজে পাই। সাইন্স এর প্রতি এত দরদ আর এত মহিমা আমরা অন্য কোনো সময় দেখাই না। খলিল ও ঠিক করে রেখেছিল সাইন্স এর মহিমাটা বুঝতে যাবে কিন্তু বিধি-বাম। হেডগার্ল যে রুমানা আর সে খলিল কে দেখেই বলে দিয়েছে কেউ জানি তাকে ঢুকতে না দেয়। ঐদিন বিকালে আমরা ক্রিকেট খেলছিলাম। দুইটা দামি ডানলপ নতুন ডিজাইন এর বল। এই বল বাংলাদেশ এ কেউ কোনোদিন দেখেনি। খেলা শেষে খলিল আমার কাছ থেকে বল দুইটা চেয়ে নিয়ে গেল। আমি বললাম কেন? সে বলল ক্যাচ ক্যাচ প্রাকটিস করবে। পরের দিন ভিকারুন্নেসায় গেলাম। খলিলকে আনাই হয়নাই কারন তাকে যে ঢুকতেই দেওয়া হবেনা। বেশ ভাব নিয়ে সব সাইন্স প্রজেক্ট দেখতে লাগলাম। তখন একটা রুম এর দিকে গিয়ে বেশ লম্বা একটা মেয়েকে দেখে বেশ অবাক হলাম। কোথায় জানি এই মেয়েটাকে দেখেছি আগে!! যাই হোক যখন বের হতে যাব তখন শুনি ধর ধর মার মার আওয়াজ। কি ব্যাপার বুঝলাম না। ঐদিকে কিছু দূর যাওয়ার পরে দেখলাম আমার ডানলপ বল একটা পরে আসে। ওহ নো। তাড়াতাড়ি পালাইলাম।

ঐদিন রাতে রুমানাদের এপার্টমেন্ট এ যখন আগুন লাগল তখন সবাই বের হতে পারলেও রুমানার ছোট ভাই পারল না। খলিল তার মাইর খাওয়া চেহারা নিয়েই আগুনের ভিতর পুরা নায়কের মত করে ভাইকে বাচালো। কিন্তু যখনি সেটা রুমানা দেখতে যাবে কোথেকে আবার সেই স্পাইডারম্যান এসে হাজির। রুমানা এবারও ভাবল স্পাইডারম্যান তার ভাইকে বাঁচিয়েছে আর খলিলের দিকে কটমট করে তাকিয়ে থাকল। ঐদিন রাতে খলিল যখন মেজাজ খারাপ করে তার নিজের বাসার ছাদে বসে ফান্টা খাচ্ছিল তখন কোথেক আবার স্পাইডারম্যান চলে আসল। তাদের মধ্যে কথা বার্তা হল।

স্পাইডারম্যানঃ বুঝলেন খলিল ভাই। With great power, always comes great responsibility.

খলিলঃ তোমার বালের কথা বন্ধ করলে খুশি হই। সব সময় চামবাজের মত লাস্ট টাইমে আস ক্যান!!

স্পাইডারম্যানঃ আরে খলিল ভাই টেনশন নিয়েন-না। আপনার পাওয়ার লাগব কিনা কন? মাইয়ারা সুপারম্যান স্পাইডারম্যান খুবই লাইক করে। আমারে যেই ল্যাবরেটরিতে মাকড়সায় কামর দিসিল ঐখানে এখন মৌমাছি নিয়ে গবেষনা হয়।

খলিল প্রথমে না করলেও পরে যাইতে রাজি হল। সেখানে গিয়ে মৌমাছি তাকে কামড়ও দিল। কিন্তু কি আচানক ব্যাপার। কিছুই হইল না। বিরাট আফসোস। খলিলের মুখে মৌমাছি হুল ফুটাল এখন খলিলের মুখটাও ফুলে গেল। খলিল স্পাইডারম্যান কে গালি দিতে দিতে বাসায় চলে গেল।

ভিকারুন্নেসা স্কুল অনির্দিষ্ট কালিনের জন্য বন্ধ হয়ে গেসে। কারন কোনো এক অজ্ঞাত কারনে সেখানে প্রতিদিন মৌমাছিরা আক্রমন করে মেয়েদের হুল ফোটানোর চেস্টা করে। হেডগার্ল রুমানা আগেরদিন আক্রমনের স্বীকার হইয়েছিল। ব্যাপারটা কি কেউ বুঝতে না পারলেও আমরা বুঝলাম। স্পাইডারম্যান যেভাবে সুপারনেচারাল ক্ষমতা পেয়েছিল খলিলের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উলটা ঘটেছে। উলটা খলিলের পাওয়ার মৌমাছি গুলা পেয়ে গেছে। খলিল তো খলিল ই।


সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০২
৩৬টি মন্তব্য ৩৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৯

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???



আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×