somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অসঙ্গতি। (রম্য কিন্তু ১৮ +)

০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এইটা একটা সাধারন কিন্তু অচলিল পোস্ট। ১৮ বছরের নিচে কারো পরা নিষেধ।


ছোট বেলায় যখন আম্মার সাথে রিকশায় করে গভঃ ল্যাব স্কুল এ যেতাম তখন হাতি রাস্তা এলিফ্যান্ট রোড দিয়ে যাওয়ার সময় (তখন রিকশা যাওয়ার পারমিশন ছিল) একটা অদ্ভুত দোকানের নাম চোখে পড়ত। দোকানের নাম বেঈমান হোমিও হল। কে? কি? কেন? কবে? কি জন্য! এরকম একটা নাম রাখল ঠিক বুঝতে পারতাম না। এমনিতে কোন দোকানের নাম যদি সাধু বিতান কিংবা হাজী মুহম্মদ মোহসোন হোমিও হল রাখা হয় তাহলেও দেখা যায় দোকানীরা বেঈমান টাইপেরই হয়। চান্স পাইলেই ঠকায় দিবে। কিন্তু কেউ সেধে সেধে দোকানের নাম বেঈমান হোমিও হল রাখতে পারে জানা ছিলনা।

দোকানের এবং পন্য সামগ্রীর এরকম মজার নাম আমার সব সময় দারুন লাগে। বিটিভিতে একসময় বিজ্ঞাপন দেখতাম পঁচা লন্ড্রী সাবান। সাবান পঁচা কিন্তু সাবান নাকি একনম্বর। আমার বেশ আগ্রহ ছিল জানার ব্যাপারে এরকম নামকরনের কারন কি? এটা কি কোনো ট্রিক্স? নেগেটিভ নাম রাখলে পজিটিভ ইফেক্ট হবে।

ঢাবি এর একটা বাস এর নাম উল্লাস। ঢাবি এর বাস গুলার নাম থাকে। যেমন আমার রুটের যেটা সেটার নাম কিঞ্চিত। যেহেতু আমাদের মন অশ্লীলতায় ভরপুর তাই মাঝে মাঝে কিঞ্চিত এর ই-কার টা ও-কার হয়ে যায়। বাস না আসলে মেজাজ গরম হলে সেভাবেই ডাকা হয়। তবে ঘটনা উল্লাস নিয়ে। প্রতিটা বাস এর কমিটির লোকজন থাকে। কোন এক কারনে তাদের কেউ একজনের পিতা গত হয়েছিল। স্বাভাবিক বাসেই বাস এর জানালায় সেটা টানিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের অমুকের বাবা মারা যাওয়ায় আমরা মর্মাহত। এখন আমার এক বন্ধু এটা পড়ার পর শেষ লাইন আর পড়তে পারছেনা। কারন সেখানে লেখা “ শোকাহত উল্লাস পরিবার”। নামের এরকম একটা কন্ট্রাস্ট যে কিভাবে হয়ে গেল!!

ঝামেলার কোন শেষ কখনই নাই। একছেলের গার্লফ্রেন্ড এর নাম কেয়া। তার জন্য ইত্যাদি দেখা কঠিন ছিল। কারন ইত্যাদিতে এ্যাড যে খালি একটাই দেখাইতো। কেয়া গ্লিসারিন লন্ড্রী সাবান। এক কাপড়ে কাপড় কাঁচা সেই সাবানে গোসল। কিন্তু ঐযে পোলাপাইন সবার মন অশ্লীলতায় ভরপুর। এক সাবানে কাপড় কাঁচা সেই সাবানে (বিপ)চা – এরকম ভাবে তার সামনে অনবরত গাওয়া হলে কার আর সহ্য হয়। এইখানে (বিপ) মানে একি সেটা কেউ বুঝতে না পারলে লেখক বলতে বাধ্য নয় সেটা আগেই বলে রাখলাম।


বিটিভিতে অনেক আগে একটা এ্যাড দেখাতো কারো মনে আছে কিনা জানিনা। আমি তখন খুব ছোট। এক লোক যদি তার বউয়ের জন্য বৌরানী প্রিন্ট শাড়ী কিনে না আনলে বৌ দৌড়ানী দিবে এইরকম সিরিয়াস ব্যাপার। আমার মনে হয় এত হিলারিয়াস এ্যাড খুব কম দেখেছি। লোকটার পিছনে লেখা থাকে। সেটা দেখে রিকশাওয়ালা থেকে অফিসের বস সবাই বলে আজ বাসায় ফিরার সময় বউয়ের জন্য জানি বৌরানী প্রিন্ট শাড়ি নিয়ে আসা হয়। লোকটা বেশ অবাক হয় (কৌতুক অভিনেতা আনিস) এবং বলে ঘরের খবর পড়ে জানল ক্যামনে?


সম্প্রতি একটা খবর দেখুলাম। ব্রিটেন এ ১৩ বছরের এক ছেলে যাকে দেখতে অনেকটা ৮ বছরের মত লাগে সে একজন কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে। সে তো আর দেয়নি সে যার সাথে আকাম কুকাম করসে সে দিসে আর কি। দেখে তেমন একটা অবাক হলাম না। একটা জোক শুনেছিলাম। কেজিতে পড়া এক ছেলে তার ম্যাডামকে গিয়ে বলে ম্যাডাম বেবিদের কি বেবি হয়? ম্যাডাম জবাব দেন , না। কেজিতে পড়া ছেলে তার গার্লফ্রেন্ড কে গিয়ে বলে, দেখলা তুমি শুধু শুধু ভয় পাচ্ছিলা। আমার ধারনা এইটা এখন জোক এর লেভেলে নাই। বলা যায়না ঐ ১৩ বছরের বাপ আবার ১৮ বছরে দাদা হয়ে গেলে!!

ছোটবেলায় আমাদের এলাকায় বেলুন ওয়ালা আসলে আমরা সবাই বেলুন কিনতাম। একবার আমাদের একজন যার নামটা ভুলে গিয়েছি সে বেলুনওয়ালা না আসায় বেশ মন খারাপ করল। বেলুন ওয়ালা কোনোকারনে কয়েকদিন আসতে পারেনি। তখন আমাদের বয়স কোনভাবেই ৮-৯ এর বেশি না। ছেলেটা হটাৎ একদিন উদ্ভট টাইপ বেলুন নিয়ে আসলো। আমরা সবাই অবাক কিরে কি বেলুন এটা। সে বলে উঠল আরে তোরা সবাই গাধা। এইটা আমি পাইসি এক জায়গা থেকে। রাজা বেলুন। ফার্মেসিতেও পাওয়া যায় কিন্তু আমারে দেয় না। যাই হোক আমাদের যুগ এর ব্যাপার ভিন্নছিল। এখন হলে হয়ত তাকে ফার্মেসিতে গেলে সেধে সেধেই রাজা বেলুন দিয়ে দিত।

অশ্লীলতায় ভরা এই পোস্ট শেষ করার আগে একটা জোক দিয়ে যাই। জোকটা আমার খুব প্রিয়। একবার এডাল্ট জোক এর একটা পোস্ট দিয়েছিলাম বিশেষ কারো কারো প্রবল আপত্তির মুখে সেই পোস্ট ড্রাফট করে দিয়েছিলাম।


এক পোলার কথাবার্তায় কোনোই লাগাম ছিলনা। মানে যে সে শুধু খারাপ কথা বলত ব্যাপারটা তা না। সে চাঁপা মারত। সেই চাঁপার আর কি কোন লাগাম ছিলনা। একবার বন্ধুদের সার্কেল এ সে আসল। আর তার সভাব সুলভ চাঁপাবাজি শুরু করল, “আরে দোস্ত কয়েকদিন আগে শিকার করতে গেসিলাম। জঙ্গলে ঢুকলাম দেখি একটা বাঘ। জানস ই তো আমার ভয়ডর বইলা কিছু নাই। এক থাবর দিলাম বাঘ মইরা গেল। এখন পুরা বাঘ টা ক্যামনে নেই? এক থাবা দিয়া বাঘের পা আলাদা করলাম। পা টা কান্ধে ঝুলাইয়া হাটা শুরু করলাম। এরপর কিছুদূর গেলাম দেখলাম একটা সিংহ। এখন জানসই তো আমার ভয় ডর বইয়াল কিছু নাই। এক লাথি মারলাম সিংহ মইরা গেল। এরপর সিংহের পা আলাদা করলাম। দুই পা দুই কান্ধে ঝুলাইয়া হাটতে লাগলাম” ………….. কথা বার্তার এই পর্যায়ে সে চাঁপাবাজ পোলার মোবাইল বেজে উঠল। ১ মিনিট মোবাইলে কথা বলল। অন্য বন্ধুরা অপেক্ষা করল। তারপর মোবাইল রাখার পর চাঁপাবাজ পোলাটা বলল, আমি জানি কি বলতেসিলাম? তাকে ধরায় দেওয়া হইল, ঐ যে দুই পা দুই কান্ধে? …….. ছেলেটার মনে পরল, ও হা, তারপরে যা চু(বিপ)লাম।

আচ্ছা ঠিক আছে আরেকটা জোক। এক ব্যাবসায়ী তার কারখানায় নতুন মেশিন এনেছে। মেশিনে নাকি একদিক দিয়ে শুয়োর ঢুকাইলে আরেক দিক দিয়ে জুস বের হয়। ব্যবসায়ীর ছেলে বাপরে খালি ধরা খাওয়াইন্না প্রশ করে। পোলা বলল, বাপ এমন কোন মেশিন নাই যে জুস ঢুকাইলে শুয়োর বাইর হয়। বাপ বলে, আছে না!! তোর মা।

ভাল কথা আবার পুরানো প্রসঙ্গে ফিরে যাই। ১৩ বছরের ছেলে না হয় বাচ্চার জন্ম দিসে কিন্তু বাধন আপার জামাই নিয়া তো আমি টেনশন এ পড়ে গেলাম? ইনি পারবে তো!! সবাই কিন্তু হুসাইন মোঃ এরশাদ হয় না। যাক অনেক ফালতু প্যাচাল পারলাম। এখন পড়ালেখা করতে যাই। পড়ালেখার বিকল্প কিছু নাই। কারন কবি বলেছেন -

পুথিগত বিদ্যা আর প্রভা-হস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন।

কাজেই জ্ঞান অর্জন করা জরুরি।






সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৮:৫৪
৪৭টি মন্তব্য ৪২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×