somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

One night with a mosquito

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(হাবি জাবি লেখা, রম্যের চেস্টা)

সন্ধ্যার সময় মশাটা কামড়াইলো। আমি বুঝতে পারলাম কিন্তু কিছু করতে পারলাম না। কারন তখন আমি বাথরুমে কমোডে ছিলাম। মশা বুদ্ধিমতী প্রানী। পৃথিবীর একমাত্র মেয়ে প্রজাতি যারা আমাকে কিঞ্চিত ভালবাসে। তবে স্বার্থের উর্ধে নয়। তাদের বাচ্চা-কাচ্চার জন্য ডিম পাড়ার জন্য নাকি আমার দেহের রক্ত খুবই জরুরি। বাথরুম থেকে বের হয়ে মশাটাকে কই খুঁজব বুঝে পেলাম না।

টিভি ছাড়লাম টিভিতে এ্যাড দেখাচ্ছে। মশা আমার ঘরে? উহু আছে মরটিন। তা এই মরটিন ছড়ালে মশা যায় এমন কিছুতে আমি বিশ্বাসী না। একবার এরোসল দিলাম ঘর ভরে। সেই এরোসলের চোটে আমি পারলে মারা যাই মশা মরেনা। মশা গান গা্য, ……

Hey ya, I wanna get closer to you
Hey you, I need to be closer to you
Hey ya, I got to tell you how I feel
Hey ya, oh baby you are the only one for me

টিভি দেখার সময় মশাটা আবার কামড়াইলো। এইবার আর আমি তাকে ছাড়বনা। মশা, তুই আমাকে কামড়েছিস, আজ তোর একদিন কি আমার একদিন। কিন্তু কি করব বুঝে পেলাম না। একটা কয়েল জ্বালায় নিয়ে আসলাম। কয়েলের চোটে শ্বাস নিতে আমার সমস্যা হল তার ফাঁকে মশা আবার কাঁমড়ায় গেল। আসলে কামঁড়ায় নায়। মশা কখনো কামড়ায় না। মশা ঐ কাজটা করে যা প্রভা রাজীবের সাথে করে। যা ছোট বাচ্চারা ললিপপ পাইলে করে।

মশাটা মারার জন্য প্ল্যান অফ অ্যাকশন চিন্তা করতে লাগলাম। জাফর ইকবাল এর টুকুনজিলের মত কিছু থাকলে হইত। রোবট সিনেমার কাইল্লা রোবটটা থাকলেও হইত। মশার সাথে যোগাযোগ করতাম। মশাকে রিকোয়েস্ট করতাম।

মশা

আপনাকে due respect and humble submission দিয়ে জানানো যাচ্ছে যে আপনি দয়া করে আমাকে কামড়াবেননা। আমি যখন বাথরুমে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলাম তখন আপনি আমাকে কামড়ালেন এ কেমন অসভ্যতামী। আশা করি এরুপ কাজ পরহার করবেন আর আমাকে কামড়ানো থেকে থেকে বিরত থাকবেন।

আপনার একান্ত বাধ্যগত গুনগ্রাহী।

নাহ মশাটা মনে হয়না এভাবে সম্মান অনুভব করবে। তাকে মানপত্র লিখা যায়।

হে পতংগ শ্রেষ্ঠ,
আপনার আগমনে ধন্য হল আমার ঘর। মদীনার ঘরে ঘরে আনন্দের ঘনঘটা। ঈদ উৎসবে মাতোয়ারা আমি। মনে খুশির জোয়ার। যেন 'মশা তুমি মোরে করিয়াছ মহান, দানিয়াছ খৃষ্টের সম্মান”।

হে কামড়ানো জগতের শিরমনী,

আমরা কি করে ভুলে থাকব বাথরুমে কামড়ানোর কথা! আপনার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আমি ঘর ছেড়ে পালিয়েছি। কিন্তু আশ্রমে এসেও আপনি কামড় দিয়েই যাচ্ছেন।

হে উড়ন্ত কবি,

আপনার জিমমমমম ঝিমমমম শুনে আমার দুঃখ কমে যায়। সুখ বেড়ে যায়। কান ঝালাপালা হয়।





নাহ এভাবেও হবেনা। মশা ভদ্র না। রিকোয়েস্ট, মানপত্র কোন কিছুতেই সে মানবেনা। তাই মশারী টানাইতে গেলাম। কিন্তু দেয়ালে পেরেক নাই। এক হাতে প্রেক আরেক হাতে হাতুরি ঠিক এই অবস্থায় মশাটা আমার হাতে বসল। বিরক্ত হয়ে হাতুরি দিয়ে আঘাত করলাম। মশার কিছু হয়নায়। লিটেরালি আমার হাতের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ পাড় হয়ে তালগাছ হয়ে গেল। আউউউ আউউউউ আউউউউউউউ আউউউউউউউউউউউউউউউউউউ।

মশারী অনেক কষ্টে লাগালাম। কিন্তু আঙ্গুলের ব্যাথা কমেনায়। আঙ্গুলে ফু দিলাম। মশারীর ভিতর ঢুকলাম। লাইট অফ করলাম। একটু পর দেখি কে জানি কানের কাছে এসে বলতে লাগল,

কাবাডি কাবাডি কাবাডি কাবাডি
কাবাডি কাবাডি কাবাডি কাবাডি

আফসোসের ব্যাপার। মশাটা মশারীর ভিতরে। সে এখন আমার সাথে কাবাডি খেলতে চায়। এইবার আবার লাইট জ্বালাইলাম। মশাটাকে যেভাবেই হোক মারব। দুই হাত মেলে কোনায় গেলাম। মশাটা লোভী। লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। সে এতই রক্ত খেয়েছে যে তার এখন পড়ে থাকা ছাড়া উপায় নাই। উহু এমন অবস্থায় তাকে মারা ঠিক হবেনা। সে আমার আজন্ম শুত্রু কিন্তু সে এখন বিপদে। লাইট অফ করে আবার ঘুমাতে গেলাম।

একটা কথা আছে, “If you think you are too small to be effective, you have never been in bed with a mosquito.”

নিদেনপক্ষে এ তো প্রমান হল আমি কিছুটা effective.
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৩:০৬

অবশেষে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এবং প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবি জানিয়েছে সে ছোটবেলা থেকেই বদমাইশ ছিল। নিজের বাপকে পিটিয়েছে, এবং যে ওষুধের দোকানে কাজ করতো, সেখানেই ওষুধ চুরি করে ধরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×