somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"বেকায়দা" আসছে বই হয়ে।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লেখকদের কাতারে আমাকে ফেলা যাবে কিনা জানিনা। গত কয়েককদিন আগে আমাকে কে জানি বলল, আপনি মিয়া ব্লগারদের কাতারেই পড়েন না। ব্লগার পরিচয় নিয়ে কখনো খুব বেশি ভাবিনাই কিন্তু ব্লগারদের কাতারটা কি এটা নিয়ে বিশেষ চিন্তায় পড়ে গেলাম। ব্লগার হতে হলে নিয়মিত পোস্ট দিতে হয় যা আমার মধ্যে আগে ছিল কিন্তু এখন নাই। নিয়মিত ব্লগ লেখার ব্যাপারে সব থেকে বড় প্রতিবন্ধকতা হল আমার ল্যাপটপ যা দিয়ে অভ্র চলেনা। আগে ফ্রী ছিলাম এখন ব্যাংকে চাকুরী করি। মানুষের টাকা পয়সার হিসাব করি। এবার আসা যাক বই বের করার ব্যাপারটা আসলো কোথেকে। ৩১ তম বিসিএস(ভাইভা দিয়েছিলাম আর কি) ধরা খেয়ে তখন ৩৩ তম বিসিএস (রিটেন) দিব কিনা সেই চিন্তায় চিন্তিত। বাংলাদেশ ব্যাংক -এর এডি নামক একটা পোস্ট আছে সেটার জন্য ভাইভা দিতে হবে তবে খুব সুবিধা করতে পারছিনা। ব্যাংকিং ডিপ্লোমা দিব। এমবিএ সেমিস্টার ফাইনাল। বিশিষ্ট লেখক বন্ধু মারুফ রেহমান এসে বলে জিকো ভাই একটা হরর গল্প লিখে দেন। এসব ক্ষেত্রে যতখানি আগ্রহ দেখানো উচিত এবং সবসময় দেখাই এবারের আগ্রহের মাত্রা তার থেকে কম। মারুফ ভাই ঈদের একটা নাটকের স্ক্রিপ্ট রাইটার নাটকের নাম হাউজ-হাসবেন্ড সেখানে নোবেলের ছেলের নাম আমার নামে (জিকো)।সেই নাটকের জিকোকে দেখার পর থেকে আমার মেজাজ খারাপ। এমনিতে বর্ণ বৈষম্য আমার মধ্যে নাই তবে এবার মানতে পারলাম না। নোবেল ফরসা কিন্তু জিকো কালো! শুধু যে নোবেল ফরুসা তা না, নাটকে নোবেলের বউও ফরসা, তার শালীও ফরসা এমনকি কাজের বুয়াও ফরসা। তো এরকম অবস্থায় মারুফ রেহমানের কথা শোনা যায়না। আমি বললাম, ঐ মিয়া আপনি আমার সাথে ফাইজলামী করেন? মারুফ ভাই বললেন, বস চলেন কোক খাই। কোকের কথায় মন দ্রবীভূত হল। মারুফ ভাই বললেন, নতুন এক প্রকাশনা এসেছে, আহসান হাবীব কিছু গল্প যাচাই-বাচাই করবেন, আপনি গল্প দেন, হরর লাগবে। দিলাম একটা গল্প, হরর হইছে কিনা জানিনা তয় পড়ার পর আমার অল্প-স্বল্প ভয় লেগেছে। গল্প গেল সার্জিল খানের কাছে। এবার সার্জিল এসে বলে জিকো ভাই গোয়েন্দা গল্প দেন, দিলাম। সার্জিল বলে, মুক্তিযুদ্ধের গল্প দেন, তাও দিলাম। এরপর সার্জিল এসে বলে ভাই একটা দুঃসংবাদ। দুঃসংবাদ আমি আগেই বুঝে ফেলি, বললাম, গল্প ছাপানো যাবেনা তাই তো? ঠিক আছে বাদ। সার্জিল বলে, ভাই তা না, আমার প্রকাশক চান আপনার নিজের একটা বই বের করতে। কি বলব বুঝলাম না। বললাম, আচ্ছা ঠিক আছে। এর মাঝে বাংলাদেশ ব্যাংকে ভাইভা দিলাম। ভাইভা দিতে গিয়ে আউলায় গেলাম। তারপর একদিন সার্জিলের ফোন, ফোন দিয়ে সে কাউকে ধরিয়ে দিল, যে কথা বলল সে ধমকের সুরে বলল, আপনার লেখা কই? আমি বললাম দিচ্ছি। অনেক ধরনের লিখা আছে, রম্য, ছোট গল্প, বাচ্চাদের লেখা, খলিল সিরিজ, সার্জিলের পছন্দ কিছু রম্য গুছায় দেন। বেকায়দা নামে একটা সিরিজ মাঝে মাঝে লিখি, শুধু সেটা দিয়ে বই করা যায়না, আর লিখা গুলা ছাপার মত গুছানো না। এমবিএ থিসিস নিয়ে ব্যস্ত, ল্যাপটপ খুলে থিসিস করি ডেস্কটপ খুলে গল্প ঠিক করি। ডেস্কটপ মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে বিপদে ফেলে। ইতিমধ্যে আমার বিয়ের দিনক্ষন ঠিক হয়ে গেছে সবাই মিলে শপিং করে আমি বলি এই ঝামেলায় আমি নাই আমার বউ করে মন খারাপ। এমবিএ থিসিস টিচার ,তিনি ঢাবির বিখ্যাত টিচার। তার নামের সাথে যেহেতু আমার নাম যাবে তাই অল্পতে তিনি কোনকিছুই ছাড়েন না না। তা সে এক বেকায়দা অবস্থা।



বেকায়দা বইটাতে কি আছে? আপনারা যারা আমার ব্লগ পড়েন, যারা ফেসবুকে আমার স্ট্যাটাসে মজা পান, এই বই তাদের জন্যই বের করা। বইটা আমি উৎসর্গ আপনাদের নামেই করেছি। বলে দিয়েছি আমার ফেসবুকের সকল বন্ধুদের নামে উৎসর্গ করা হলো। ব্লগের যে লিখাগুলা বইয়ে পাবেন সেগুলো চেষ্টা করেছি হুবুহু না রেখে কিছুটা উন্নত করতে। আমার ভাষাজ্ঞানে স্বল্পতা আছে এটা বুঝতে পেরেছেন প্রুফ রিডার। তিনি বলে দিয়েছেন আপনি এত লেখাপড়া করেছেন আপনার ভাষার এই অবস্থা কেন। আমি বুলেছি, ভাই আমি সবসময় উন্নত করার চেষ্টা করি এই জায়গায় পিছিয়ে পড়েছি, এই জায়গাটাও ঠিক হয়ে যাবে। যাই হোক, বইটির প্রিন্ট শেষ তবে বাইন্ডিং এর কাজ চলছে। আশা করা যাচ্ছে ৪ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৬৪ নং স্টলে (দিনরাত্রি)পাওয়া যাবে। যদি বইমেলা যান, আপনার প্রিয় লেখকদের বই কেনার পর যদি মনে হয় এখনও ১০৫ টাকা খরচ করার মত অবস্থা আপনার আছে তাহলে এটা কিনা নিয়ে যাইয়েন। ভাল লাগলে লাগল, আর না লাগলে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ।

বইয়ের নামঃ বেকায়দা
লেখকঃ রাসয়াত রহমান জিকো
যে স্টলে পাওয়া যাবেঃ দিনরাত্রি (১৬৪ নং স্টল)
মূল্যঃ ১০৫/= (২৫% কমিশন দেওয়ার পর)

বইয়ের প্রচ্ছদটি করে দিয়েছেন আহসান হাবীব স্যার।
২৭টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×