somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জিসান সালীম
প্রবাসের ব্যস্ত সময় বয়ে যাচ্ছে সময়ের নিয়মে শ্যামল সবুজ বাংলার বহতা নদীর মত। সময়ের সাথে জীবনের অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে, শুধু যার গেছে সেই জানে কিভাবে গেছে। আমি অন্তঃস্থল থেকে উপলব্ধি করি আমার আমিত্বকে, আমার জীবনে যাকে না পেলে পুরো জীবনটা অসমাপ্ত রয়ে যেত যা.

মা,আমার এক একটি পায়ের আঘাত কে গোলাপ ফুলের স্পর্শ ভেবে হাসি মুখে বরণ করে নিয়েছো,অবশেষে, দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবর্ণনীয় প্রসব যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে, তোমার সন্তানের বাস্তবিক রুপ দিয়েছো মা।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মা, মাগো!!ও মা আমার....
তোমার সর্ব ত্যাগের বিনিময়ে লালিত স্বপ্নের প্রতিটি পরতে পরতে বিরাজ করেছে আমার বা আমাদের মত প্রবাসী সন্তানদের প্রতিটি মুহুর্ত।মা,তোমরাই আদর্শ স্থাপন করেছো কতটা অপেক্ষার প্রহর গুণে ভালোবেসে কল্পনার বাস্তব রুপ দিতে হয়।
অসহ্য সব যন্ত্রণা গুলোকে জীবনের স্বাভাবিক নিয়ম মনে করে লুকিয়ে কেঁদে ভুলে গিয়েছো সব।
আমার এক একটি পায়ের আঘাত কে গোলাপ ফুলের স্পর্শ ভেবে হাসি মুখে বরণ করে নিয়েছো।
এমন করেই দীর্ঘ দশমাস দশদিন সীমাহীন সব যন্ত্রণা গুলোকে, স্বপ্ন সার্থকতার সংগ্রাম হিসেবে পরম মমতায় মেনে নিয়েছো।

অবশেষে, দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবর্ণনীয় প্রসব যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে, তোমার সন্তানের বাস্তবিক রুপ দিয়েছো।মৃতপ্রায় রক্তমাখা ক্লান্ত দেহে কর্ণকুহরে যখন আমার বা আমাদের প্রথম কান্নার শব্দ শুনতে পেয়েছো, ভুলে গিয়েছো সকল দুঃসহ স্মৃতি, আমাদের নিষ্পাপ মুখে দৃষ্টি রেখে হেসেছো স্বপ্ন আর সার্থকতার হাসি। মা ও আমার মা।

আমার জন্ম, বেড়ে উঠার পিছনে আমার সংগ্রামী আম্মাজানের কথা বলছি।
অসহ্য সব যন্ত্রণা গুলোকে বরণ করা এক জীবন্ত কিংবদন্তীর কথা বলছি।
জনমদুখিনী এক স্বপ্নদ্রষ্টার কথা বলছি। মা, তোমার ছোট্ট উদরে আমার
দীর্ঘ দশমাস দশদিন ঠাই হয়েছে, কনকনে শিতের রাতে ভেজা আঁচলে গা পেঁচিয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে বুকের মাঝে আমায় ঢেকে রেখেছিলে। একটুখানি চোখের অদেখায় পাগলের মত
ব্যাকুল হয়ে খুজে ফিরেছো আমাকে।
মা,ও আমার মা,প্রবাসের অনলে দহিত জীবনে থেকে কোন খেদ্মত ই করতে পারছিনা আম্মা।
আপন গুণে ভুলগুলো সব করে দাও ক্ষমা।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমার ড্রোন ছবি।

লিখেছেন হাশেম, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

বৃহত্তর প্যারিস তুষারপাত।

ফ্রান্সের তুলুজ শহরে বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার।

হ্যাসল্ট, বেলজিয়াম।

ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ফ্রান্সের ফ্রিওল আইল্যান্ড।


রোডেসিয়াম এম রেইন, জার্মানি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×