somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জিসান সালীম
প্রবাসের ব্যস্ত সময় বয়ে যাচ্ছে সময়ের নিয়মে শ্যামল সবুজ বাংলার বহতা নদীর মত। সময়ের সাথে জীবনের অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে, শুধু যার গেছে সেই জানে কিভাবে গেছে। আমি অন্তঃস্থল থেকে উপলব্ধি করি আমার আমিত্বকে, আমার জীবনে যাকে না পেলে পুরো জীবনটা অসমাপ্ত রয়ে যেত যা.

আমরা প্রবাসীদের এক এক ফোটা চোখের জল শুধুই দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য প্রবাহিত হয়ে থাকে। আমাদের বেদনা বিঁধুর চেহারায় যদি এক চিলতে হাসি ফুটে থাকে তাও দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


দ্যা এডিটোরিয়ালঃ “প্রবাসের কান্না-পর্ব-৯,পূর্ব প্রকাশের পর”০৪-০২-২০১৬
আমরা প্রবাসীদের এক এক ফোটা চোখের জল শুধুই দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য প্রবাহিত হয়ে থাকে। আমাদের বেদনা বিঁধুর চেহারায় যদি এক চিলতে হাসি ফুটে থাকে তাও দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য।
দেশ প্রেম বলতে কি বুঝায় তা প্রবাসী ছাড়া সহজে কেউ উপলব্দি করতে পারবে না।
সরকারী হিসাব মতে বর্তমান প্রবাসীর সংখ্যা ৮০ লাখ এর মত। এটা সম্পূর্ণ অনুমান ভিত্তিক। কেননা সরকারি পরিসংখ্যান কোনোদিন সত্য প্রকাশ করে না। আমাদের হিসাব মতে কম করে হলেও বর্তমানে বাংলাদেশের এক কোটির উপর মানুষ প্রবাসে আছেন। এদের পাঠানো গত দশ বছরের গড় রেমিটেন্সের পরিমাণ মাসে সত্তর কোটি এবং বছরে আটশত চল্লিশ কোটি ডলার। যার অর্থ বাংলাদেশী মুদ্রায় পঞ্চাশ হাজার চারশ কোটি।
এই লিখা থেকে কি বুঝা যায় না যে প্রবাসীদের দান অতুলনীয়? দেশ প্রেমের সংজ্ঞা প্রবাসীদেরকে বুঝাতে হবে না। দেশকে সমৃদ্ধি করার জন্য প্রবাসীরা সব স্বার্থ ত্যাগ করে পড়ে থাকে অজানা অচেনা দেশে বছরের পর বছর যুগের পর যুগ। আমাদের অনুদান দেশের মানুষ যদিও ভুলে যায় তবে ইতিহাস আমাদেরকে ভুলবে না, ইতিহাসের পাতায় প্রবাসীদের নাম স্বর্নাক্ষরে লিখা থাকবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
আমাদের এক এক ফোটা চোখের জল শুধুই দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য প্রবাহিত হয়ে থাকে। আমাদের বেদনা বিঁধুর চেহারায় যদি এক চিলতে হাসি ফুটে থাকে তাও দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য।
দেশ প্রেম বলতে কি বুঝায় তা প্রবাসী ছাড়া সহজে কেউ উপলব্দি করতে পারবে না।
দেশের প্রতি ভালবাসার আরো একটি প্রমান:
আমি প্রতি বছরই দেশে চলে যাই ,মায়ের টানে, দেশের টানে, অথচ আমি ইচ্ছে করলে যে কোন দেশে গিয়ে কাটিয়ে আসতে পারি আমার ১ মাসের ছুটি। আমার মত অনেকেই এই মা এবং দেশের টানে ছুটে যাই নির্মল , নির্যাস আর সবুজ সমারোহের মাঝে নিজেকে ,নিজের সন্তানদের কে উম্মুক্ত করে দিতে।পরিচয় করে দিতে আমার ইতিহাস আর ঐতিহ্যেকে, পরিচয় করে দিতে আমার আত্মার আত্মীয়দের কে, যাদের কারণে আমি আজ এক প্রতিষ্ঠিত মানুষ্ হতে পেরেছি।হতে পেরেছি সত্য, ন্যায়ের একনিষ্ঠ সেবক হয়ে কাজ করার। আর অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করার দীপ্ত প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলেছি।হতে পেরেছি যে কোন দুর্যোগে , দুর্ভোগে মানুষের পাশে মানবিকতার মানসিকতা নিয়ে দাঁড়াতে,এই জন্য মহান আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আদায় করছি। ...চলবে .....
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নারিকেলতলা গ্রামের বাসিন্দাদের উপজেলা সদরে যাতায়াতের জন্য কিছুদিন আগেও ভালো কোনো রাস্তা ছিল না। স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়েদের সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যেতে হতো। গ্রামের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যেতে নৌকা লাগত।
গ্রামবাসীর এমন দুর্ভোগের চিত্র দেখে আহত হন যুক্তরাজ্য প্রবাসী রিজিয়া চৌধুরী। ২০০৬ সালে দেশে আসেন তিনি। সেই থেকে গ্রামবাসীর কল্যাণে কিছু করার স্বপ্ন নিয়ে কাজ শুরু করেন।
রিজিয়া চৌধুরীর একার চেষ্টায় নির্মিত রাস্তা দিয়ে গ্রামের লোকজন এখন উপজেলা সদরে যাতায়াত করে। ছেলেমেয়েরা সাঁকোর বদলে সেতু দিয়ে স্কুলে যাওয়া-আসা করে। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি শতভাগ স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে গ্রামে একাধিক নলকুপ স্থাপন করেছেন তিনি।
রিজিয়া চৌধুরী ছোটবেলায় যুক্তরাজ্যে চলে যান। সেখানে উচ্চশিক্ষা নিয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। ২০০৬ সালে সেখানকার রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নিয়ে নিজ গ্রামে ফিরে আসেন।
আশরাফুর রহমান বলেন, ‘যুগ যুগ ধরে আমরা প্রতিশ্রুতির বাণী শুনেছি। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। রিজিয়া চৌধুরীর বদৌলতে দুই বছরে তিনটি কাঁচা সড়ক, দুটি সেতু নির্মিত হয়েছে। গ্রামে শতভাগ স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে। এর পরও কি বলবেন প্রবাসীর বুকে দেশ প্রেম নেই!!!...চলবে .....
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রান্ত নিথর দেহে প্রশান্তির আখ্যান..... (উৎসর্গঃ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্লগারদের)

লিখেছেন স্বপ্নবাজ সৌরভ, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৪২



কদিন আমিও হাঁপাতে হাঁপাতে
কুকুরের মত জিহবা বের করে বসবো
শুকনো পুকুর ধারের পাতাঝরা জামগাছের নিচে
সুশীতলতা আর পানির আশায়।

একদিন অদ্ভুত নিয়মের ফাঁদে নেতিয়ে পড়বে
আমার শ্রান্ত শরীর , ধীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১


ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাপ, ইদুর ও প্রণোদনার গল্প

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪

বৃটিশ আমলের ঘটনা। দিল্লীতে একবার ব্যাপকভাবে গোখরা সাপের উৎপাত বেড়ে যায়। বৃটিশরা বিষধর এই সাপকে খুব ভয় পেতো। তখনকার দিনে চিকিৎসা ছিলনা। কামড়ালেই নির্ঘাৎ মৃত্যূ। বৃটিশ সরকার এই বিষধর সাপ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×