আমি যে কোচিং সেন্টারে পড়াই (লোকে অবশ্য প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি বলে), সেখানে আমার কলিগ আছেন একজন। নাম বললাম না। উনি আমার সিনিয়র। অনেক পড়াশোনা, কিন্তু তার মননের কোনো পরিমার্জনা হয়নি এই মেধায়। একই পাড়ায় বাড়ি, একসঙ্গে ফিরি। পান চিবুতে চিবুতে অদ্ভুত সব কথা বলেন।
একদিন বাসের লাইনে একজনকে দেখিয়ে বললেন, ওই ব্যাটা সিউর খৃস্টান। আমি অবাক! কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন দাদা কেমন আছেন? ভদ্রলোক চিনতে পারলেন না। নিজেই নিজের পরিচয় দিয়ে নাম জিজ্ঞেস করলেন। এরপর বিজয়ীর হাসি দিয়ে ফিরে আসলেন। তারপর বললেন এই দেশে কুচকুচে কালো যেগুলি দেখবেন স্যুট পড়ে, সব খৃষ্টান। এদের বউগুলি বুড়ো হলে স্কার্ট পড়ে। হিন্দু মেয়েগুলি চেনা যায় সিদুর দেখলে। আর বুড়োগুলোকে চিনবেন যখন দেখবেন বয়স হওয়ার পরও দাড়ি রাখে না। ক্ষৌরি করে। বলে হেহেহে বলে গা জ্বলানো হাসি দিলেন।
আমার ধারণা ভদ্রলোক লাল পাজামা পড়া মেয়ে দেখলেই তার পিরিয়ড হয়েছে বলে ধরে নেন। এই ব্লগেও এমন অনেককেই দেখলাম ভদ্রলোকের মতো উগ্র দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে ধর্মকে ব্যাখ্যা করছেন, তুলে ধরছেন তার অন্ধ বিশ্বাস। এতে ধর্মের কি উপকার হচ্ছে বুঝতে পারছি না, তবে ব্যক্তিটি অন্ধকারে আরো নিমজ্জিত হচ্ছে বলেই মালুম হয়। সবার মধ্যে বিবেক জাগ্রত হোক। হৃদয়ের আগে মস্তিষ্কই যেন চালনা করে সবাইকে। যুক্তি যেন ছিন্ন করে সকল কুসংস্কার। ধন্যবাদ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




