somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাই চুইট শর্ট লাপ স্টরি:):DB-)(হার্ট দুর্বল থাকলে পইরেন না)

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পরীক্ষা অনেক তাড়াহুড়া কইরা বাসে উঠলাম
মাথার মধ্যে
সব ফিজিক্স এর সুত্র ঘুরতাছে।আমার দুই
প্রানের বন্ধু
দুইজন ওয়ালা সিটে বসল এবং আমারে তিনজন
ওয়ালা
সিটে একলা বসাইল,পাশে কেউ নাইক্কা।
ভাবলাম ভালাই হইল
আরামছে এখন বই
দেখতি দেখতি যাইতি পারমু।

একটু পরেই বাগড়া বাজল।এক
সুন্দরি ললনা তার সাথে তার
মাম্মি এবং তার পিচ্চি কুচুকাচু বোন
বাসে উইঠা পরল।
পুরা বাসে তিন খান সিট ফাকা।আমার পাশের
দুইখান আর আমার
পিছনে একখান। প্রথমে মেয়েটা আইসা বলল
আমি কি বসতে
পারি?মনে মনে ভাবলাম এর
থাইকা পৃথিবীতে আর ভালা কোন
প্রস্ন কোথাও নাইক্কা:|:D।আসলে গ্রাম
থাইকা ঢাকায় আসার পর
এই প্রথম কোন মেয়ের পাশে বসাত!!!!!!:|:|

আবার বই এর দিকে নজর দিলাম। হঠাত তার
মা আইসা বলল
ওই ছেলে পিছনে গিয়া বস।মনে মনে কইলাম
ওই মহিলা
তোমার দারগা হউয়া উচিত আছিল।কার কপাল
যে পুরাইছ!!X(X(X(
কি আর করার বর্তমানে এই লিঙ্গের মানুষ যাই
কয় তাই
শুনতে হয়।পিছনে গিয়া বসলাম।তবে এইবার
সরাসরি ললনার পিছনে।একটু পরেই তার
মা সামনে একটা
সিট ফাঁকা হওয়ায় এক মহিলার
কাছে গিয়ে বসলেন এবং
সেই ললনার পাশে এসে বসল আরেকজন
মেয়ে হয়ত তার
বান্ধবি হবে।আমি আসলে বই দেখতে খুব
বেস্ত।
কিন্তু একটু পরেই মহারঙ্গ শুরু হইল। ডাল মে কুচ
রঙ্গিন হে!

মেয়েটা খুব অপালক দৃষ্টিতে বার বার চোখ
ফেলছে।:|
খুব লজ্জা রাঙ্গা চেহারায় পিছনে একটু চোখ
রাখছে
আর আমি তাকাতেই চোখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।তার
ঠোঁটের পাশে
খুব ছট্টো একটা তিল।আসলে অসাধারন
লাগছিল। এইরকম
পরিস্থিতিতে জীবনে খুব কম পরেছি তাই খুব
লজ্জা পাচ্ছিলাম।
পাশের বন্ধুরাও ব্যাপারটা খেয়াল করেছিল।
মনে মনে
গালি দিলাম
শালারা আমারে একা রাইখা এখন
বইসা বইসা মজা
লুটতাচ:|:|। ক্রমাগত ললনার তাকানর হার বেড়েই
চলছে এবং
আর সমানুপাতিক হারে আমি যা পরীক্ষার জন্য
মাথার মধ্যে
সঞ্চয় করিয়া আসিয়া ছিলাম তাহা ক্রমাগত
ফাকা হইতাছে।:((:((

সত্যি আমি ভীষণ লজ্জা পাচ্ছিলাম।
মেয়েটা এবং তার বান্ধবি ফিস ফিস
করে কিছু বলার চেষ্টা করছে।কিছু
না ভেবে পেয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে
থাকলাম।হাসমু না কানমু কিছুই
ভাইবা পাইতাছিনা।:)
।বুকে হাত দিয়ে দেখলাম হার্ট সেকেন্ড এ
তিনবার বিট করছে ।:D
মনে মনে ভাবলাম কোন সমায় যে আমার হার্ট
ড্রপ খায় ঠিক নাই!!

তারপর সে মোবাইল বের করল।
মোবাইলে কি যেন একটা উঠাল
মনে হল।তারপর প্রায় অনেক্ষন
মোবাইলটা একটু কাত করে
একভাবে ধরে রাখল।
আমি ওইদিকে না তাকিয়ে জানালার বাইরে
তাকিয়ে থাকলাম। মেয়েটা এইবার
সত্যি অনেক রাগ করল বলে
মনে হল। মেয়েদেরকে রাগলে যে সত্যি খুব
সুন্দর লাগে তা
সরাসরি দর্শন করিলাম।তার ঠোঁটের পাশের
তিল টা যেন
আমাকে ফেভিকলের মত টানছিল। কিন্তু
পরক্ষনেই নিউটনের
তৃতীয় সূত্রের কথা মনে পড়ে গেল।B-)B-)

তারপর সে তার ব্যাগ থেকে কি যেন বের
করে কলম দিয়ে কি যেন
লিখল তারপর বার বার তার
পিচ্চি বোনকে কি যেন বলছিল।পিচ্চি
বোনটা আমার
দিকে তাকিয়ে মুচকি একটা হাসি দিল।
পিচ্চি মেয়ের হাসি দেখে আর লজ্জা পেলাম।
সে কাগজটা আমার দিকে
দেওয়ার সুজুগ খুঁজছে কিন্তু আবার ভয়
পাচ্ছে বলে মনে হল।
আমি এইবার ও
জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকার ভান
করলাম
মেয়েটা এইবার সত্যি ভীষণভাবে রাগ করল
মনে হল।হয়ত
ভাবছিল এই ছেলে মনে হয় এখন লুকায় লুকায়
ফিটার খায়!!B-)B-)B-)

পরক্ষনেই সেই দারগারুপি মহিলার চিৎকার-
এই তোমরা এসে পড় এখনি
নামতে হবে। এইবার আমি খুব করে তার
দিকে তাকালাম ঠোঁটের পাশের সেই
তিলটা যেন আস্তে আস্তে তার
ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে।
নেমে যাওয়ার পড় খুব
মায়াবি দৃষ্টিতে একপলক তাকাল।কেন
জানি ইচ্ছা থাকা সত্তেও আমি তার
দিকে তাকিয়ে থাকতে
পারলাম না।

মানুষটাই আমি এইরকম ফুটবল
খেলতে জানি কিন্তু গোল দিতে
জানি না।

দিন শেষে আমরা দুজনেই একা।
দিনশেষে আমাদের দুজনের পুঁজি
শুন্য। তবে সেই দিন
থেকে আমি বুঝতে শিখেছি জীবনে চলার পথে
সত্যি কাওকে দরকার। যার
কারনে আমি হাসব। যার কারনে আমি
কাদব।যাকে ভেবে ওই নীল আকাশ ছুঁয়ার স্বপ্ন
দেখব। সত্যি সেই
দিনের অপেক্ষায় আছি।
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×