ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনেকেই যুদ্ধকালীন সময়ে অনেক ধরনের খারাপ কাজে লিপ্ত থাকে। সুযোগ নেয়। আখের গোছায়। এগুলি ব্যাক্তি পর্যায়ের মানবিক বিকার গ্রস্থতা। ফাঁকা কোন স্থানে ট্রেন দুর্ঘটনার পরবর্তি পর্যায়ে -- যত মানুষ আসে দুর্ঘটনা কবলিতদের উদ্ধারের কাজে,, কখনও কখনও তার চেয়ে বেশী মানুষ আসে কিন্তু দামী দ্রব্যাদি টাকা পয়সা হাতানোর জন্য। দুর্ঘটনা কবলিত একজন হাত বাড়িয়ে দেবে আপনার দিকে --- রক্তাক্ত হাত, উদ্ধার পাবার জন্য। আর আপনি সেই হাত থেকে আংটি খুলে নেবেন---ঘড়ি খুলে নেবেন.... আংটিটা আঙুলে আটকে থাকলে -- আঙুল কেটে হলেও আংটিটা খুলে নেবেন। এই মানসিক ভারসাম্যহীন মানবকুল সারা পৃথিবীতে ছিল, থাকবে। সমস্যা এদেরকে নিয়ে নয়।
একই ঘটনা একটু পেছন থেকে চিন্তা করি। একদল লোক, ডাকাত বলাই ভলো, দীর্ঘ পরিকল্পনার মাধ্যমে একটা ট্রেনকে দুর্ঘটনায় পতিত করলো। শুধুমাত্র ডাকাতি করার জন্য। তারা ডাকাতি করলো.... সাথে অবশ্যই সেই সব মানবিক বিকার গ্রস্থ মানুষও আসবে।
জামায়াতে ইসলাম.. নীতিগত ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশকে চায় নাই। তারা দেশদ্রোহী, দেশদ্রোহীদের সাহায্যকারী, পরিবার পরিজনদের সায়েস্তা করার নিমিত্তে বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তৎকালীণ সময়ে। সাথে লাগিয়েছে ধর্মের লেবাশ। এই ধর্মের লেবাশদিয়েই কিন্তু সেই সব মানবিক বিকার গ্রস্থ মানুষদের আকৃষ্ট করেছে। যারা জামাতে ইসলাম কি জিনিস জানে না, অথচ গনিমতের মাল কি জিনিস তা জানে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০০৭ বিকাল ৪:৩৩